বাসস্ট্যান্ডের আগন্তুক : পর্ব ৪

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


Copyright free Image : Pexels

বাসস্ট্যান্ডের আগন্তুক : পর্ব ৩ এর পর...


বাসস্ট্যান্ডের আগন্তুক : পর্ব ৪


চাতালে ওঠার কিছু সময়ের মধ্যে অবশেষে আকাশ জুড়ে মেঘের দেখা পাওয়া গেলো, যা দেখতে পাওয়ার পর অমিত যেন মনে বল ফিরে পেলো। সন্ধ্যে থেকেই তার সাথে যা সব অদ্ভুতুড়ে কান্ড ঘটে চলেছে। সেকথা ভাবতে ভাবতেই বৃষ্টির বেগটা বেশ বেড়ে গেলো।

বৃষ্টির ছিটে ফোঁটা অমিতের পায়ের দিকের প্যান্টের অংশটা ভিজিয়ে দিচ্ছিলো। বাধ্য হয়ে অমিত ঝুঁকে প্যান্টটা হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে নিলো। প্যান্ট গুটিয়ে যেই না অমিত দাড়িয়েছে সেই সময়ই হুড়মুড় করে চাতালের ত্রিপল ফেটে চাতালে জল পড়া শুরু হলো। অমিতের দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভিজতে শুরু করলো। আর সে ছাতাও নিয়ে আসেনি যে বৃষ্টি থেকে অন্তত মাথা টুকু বাঁচিয়ে রাখবে।

অমিত মনে মনে ঠিক করলো করলো যে বাস স্ট্যান্ডই তার জন্য ভালো, কারণ স্ট্যান্ডের ছাদটা পাকা পোক্ত। সেখানে দাড়ালে সে অন্তত পুরোপুরি ভিজবে না। অমিত ঠিক করলো তার ব্যাগটা মাথায় উপর দিয়ে সে স্ট্যান্ডের দিকে জোরে দৌড় মারবে। তাই আগে মোবাইলটা ফটাফট ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলো।



Copyright free Image : Pixabay


অমিত রাস্তার দু দিকে তাকিয়ে মাথার উপরে ব্যাগটা নিয়ে বাস স্ট্যান্ডের দিকে হাঁটা দিলো। বাস স্ট্যান্ডের দিকে যেই না দু পা এগিয়েছে অমিত দেখতে পেলো স্ট্যান্ডের মুখে সেই লোকটি রাস্তার ওপারে দাড়িয়ে রয়েছে। অমিত ভয়ে ভয়ে রাস্তা থেকেই লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করলো,

"দাদা আমার কাছে বাড়ি যাওয়ার মতো টাকা-পয়সা ছাড়া বিশেষ কিছু নেই। আপনার যদি টাকা-পয়সা লাগে কিংবা আমার মানিব্যাগ লাগে তাহলে আমি দিয়ে দিচ্ছি সাথে আমার মোবাইলটাও রাখুন তবে দয়া করে আমার পিছু ছেড়ে দিন।"

লোকটি কোনো কথা না বলে সেখানেই কয়েক মিনিট চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।


মিনিট দুয়েক দাড়িয়ে থাকার পর হঠাৎ যেমন করে বৃষ্টি এসেছিলো তেমনি আবার থেমেও গেলো। তখন সেই অজ্ঞাত পরিচয় লোকটি অবশেষে গলা-খাকরানি দিয়ে উঠে বলে উঠলো, "না রে অমিত, তোর মানিব্যাগের কিংবা টাকার দরকার আমার নেই রে।"

লোকটির গলা শুনে অমিতের যেন একটু খটকাই লাগলো। অমিত বিজ্ঞানের ছাত্র, ভূত প্রেতে সে বিশ্বাস করে না ঠিকই কিন্তু লোকটার গলাটা কেমন যেন জীবিত মানুষের মতো মনে হলো না। তারপর হঠাৎ অমিতের খেয়াল হলো, সে তো লোকটিকে তার নাম বলেনি, তাহলে উনি জানলো কিভাবে?

লোকটা ফের বলে উঠলো, "আমি তোর নাম জানলাম কিভাবে সেটা নিয়ে অতো ভাবিস না। আর পৌলমীকে ফোন করে জানিয়ে দে তোর জন্য সে যেন অপেক্ষা না করে। তুই আর বাড়ি ফিরবি না।"

অমিত যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে। মাথাটা বনবন করে ঘুরছে। ঠিক তখনই রাস্তার উপরে খুব জোরে বাজ পড়লো। অমিত দেখতে পেলো...


চলবে....




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 2 years ago 

বাসস্ট্যান্ডের আগন্তুক আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি, না পড়ে হয়তো অনেক মিস করেছি, গল্পটিতে আগন্তুকের যে চরিত্র তাতে করে আমি নিজেই ভিয় পেয়ে যাচ্ছি, আর অমিত তো ভুক্তভুগী তার যে কি অবস্থা সেটা অনুমেয়। কারন অমিত না বলা সত্বে ও তার নাম জানা, পৌলমীকে ফন করে জানিয়ে দেওয়ার কথা আসলেই ভীতিকির একটা বিষয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা লেখা পোস্ট করার জন্য। সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আগের পর্বের লিংক শুরুতেই দিয়ে দিয়েছি।

 2 years ago 

দাদা,এই গল্পটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম এত মনোযোগ দিয়ে গল্পটা পড়ছিলাম কখন যে শেষ হয়ে গেছে নিজেও বুঝতে পারলাম না। দাদা, এত ছোট করে কেন গল্পটা লিখেছেন? দাদা, অজ্ঞাত লোকটি আমার মনে হচ্ছে কোন ভূত হবে পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম অধির আগ্রহ নিয়ে। ধন্যবাদ দাদা 💐💐

 2 years ago 

আগে তিনটে পর্ব হয়ে গেছে দিদি।

 2 years ago 

ওরে বাবা গো! আমি লাইট অফ করে ঘুমিয়েছিলাম।কেনো যে পড়তে গেলাম এখন। সকালে উঠে পড়লেই ভালো হত। এখন নআইট ল্যাম্প জ্বালিয়ে শোব নাকি মা কে ডাকব তাই ভাবছি।

 2 years ago 

খিক খিক। আলো জ্বালিয়ে পড়তে হবে। 😁

 2 years ago 

দাদা, ড্রামার এমন এক পর্যায়ে এসে থেমে গেলেন যে আপনার বাকি পর্ব না দেখা পর্যন্ত একটা অস্থিরতায় থাকবো। অসাধারণ ভাবে এগুচ্ছে দাদা আপনার এই গল্প কাহিনীটি। ভারতীয় বাংলা সিনেমার মতো। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

অস্থিরতা তৈরী করতে পেরেছি সেটাই আমার সার্থকতা

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64349.87
ETH 2775.11
USDT 1.00
SBD 2.65