আশীষের ল্যাপটপ কেনা // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আবেগতাড়িত কেনাকাটা বোঝেন? যদি না বোঝেন তবে চলুন আজ আপনাদের একটা গল্প বলি।
মঙ্গলবার রাত সবেমাত্র দ্বিতীয় লেভেলের ক্লাস শেষ করে ছাদ থেকে ফ্ল্যাটে নামছি এমন সময় আশীষের ফোন! আমি একটু আশ্চর্যই হলাম। ফোন ধরা মাত্র বলে উঠলো,
-ভাই ৩০ হাজার টাকার মধ্যে একটা ভালো ল্যাপটপ দেখ তো। আমার একটা নতুন ল্যাপটপ কিনতেই হবে।
-ঠিক আছে ভাই, দেখে রাখবো
রাতের বেলাতেই ল্যাপটপের দাম নিয়ে অল্প বিস্তর দাম নিয়ে ঘাটাঘাটি করে আমি আশ্চর্য। ইন্টেলের i3 দিয়েই ৩৫ হাজারের নীচে ল্যাপটপ নেই।
বুধবার অন্যদিনের তুলনায় বেশ সকাল সকাল আমি কাজে হাজির হই। বিশেষ প্রয়োজনে হাইকোর্ট চত্বরে যেতে হবে। আশীষ সঙ্গ নিলো। আমার কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা দুজনে কিছু দোকানে গিয়ে ল্যাপটপ হাতে নেড়েচেড়ে দেখবো আরকি। আদপে ধর্মতলার পাশেই ই-মল বলে একটি মল আছে যেখানে ইলেকট্রনিক্সের বহু দোকান আছে, সেগুলোতেই ঢুঁ মারা।
কাজ সেরে ঢুকে পড়লাম ই-মলে। হুড়মুড়িয়ে ঢুকে তো পড়লাম কিন্তু কোন ল্যাপটপ ব্র্যান্ড বেশি ট্রেন্ডিংয়ে কিংবা বেশি বিক্রি হচ্ছে তা মোটেই জানা নেই। কোন ব্র্যান্ডের বিক্রয় সেবা ভালো, আর কোনটারই বা খারাপ সে সম্পর্কেও ধারনা প্রায় শুন্য। তবে আমার এক ভাগ্নের হাতে লেনোভোর ল্যাপটপ আমার খুব নজর কেড়েছিল। আমার বেশ মনে আছে লেনোভোর ল্যাপটপটা বেশ পাতলা ও হালকা ছিলো। আর দেখতেও মর্ডান। তাই মলে ঢুকে যখন লেনোভোর দোকান টা সবার আগে দেখলাম সেখানেই ঢুকে পড়লাম।
নতুন ল্যাপটপ পরপর সাজানো। আহা! যেন স্বর্গে এলাম। আমাদের দেখে সেলসম্যান এগিয়ে এসে আমাদের প্রয়োজনীয়তা জানতে চাইলে আমরা তাকেই ল্যাপটপ সাজেস্ট করার জন্য বলি। মাথায় রাখা দরকার আশীষের সাথে আমার কথা অনুযায়ী ওর বাজেট ৩০,০০০ টাকা। হঠাৎই ও বেঁকে বলে উঠলো ওর কোন পরিচিত বলেছে,
-নিজের জন্য কিনছিস যখন ভালো দেখে কিনিস।
আর সে কথা শুনে বাজেট ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ৫০ হাজারে ঠেকেছে। আমি তো বেশ খুশিই হলাম। অবশেষে ভালো কিছু ল্যাপটপ দেখা যাবে। সেলসম্যানকে আমাদের নতুন বাজেট বললাম আর ইন্টেলের পরিবর্তে এএমডির প্রসেসরের ল্যাপটপের কথাও বললাম।
সেসলম্যান মাত্র দুটো কম্পিউটারই দেখালো, নতুন জেনারেশনের আইডিয়াপ্যাড ৫ আর লিজিঅন ৫। আইডিয়াপ্যাড দেখেই আমাদের পছন্দ হয়ে গেলো। দামটাও সাধ্যের মধ্যে মাত্র ৫৪ হাজার টাকা।
পছন্দ করেই শুরু হলো দর কষাকষি। অনেক দর করে ল্যাপটপের সাথে ৩ হাজার টাকার ওয়ারেন্টি ও আসিসিডেন্টাল ড্যামেজ সহ 55 হাজারে করা গেলো। ল্যাপটপ তারপর সেটআপ করে হাসিখুশি ভাবে বেরিয়ে এলাম। মাঝখান থেকে ৩ ঘন্টা সময় কোন দিকে বেরিয়ে গেছে বুঝতেও পারিনি।
৩০ হাজারের পরিবর্তে ৫৫ হাজার টাকা। হ্যাঁ, এটাই আবেগতাড়িত কেনাকাটা। মানুষের কখন ।মাথায় চাপবে বলা সত্যি মুশকিল তবে নিজের জন্য অল্প আধটু আবেগতাড়িত কেনাকাটা ঝোঁক থাকা ভালো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনাদের আবেগতাড়িত কেনাকাটার গল্প পড়ে ভালোই লাগল। আসলে আমরা অনেকেই আছি যে জিনিসটি পছন্দ হয় তা আর বাজারে রেখে আসতে পারি না, হয়ত আপনাদের বেলায় এটাই হইছে।শুভ কামনা রইল আপনাদের জন্য।
আহহ দাদা একদম আমার মতো সেইম কাহিনী ঘটেছে।আমার ঠিক এমন হয়েছিলো ৩৫ থেকে ৬০ এ চলে গেছিলাম।নতুন ল্যাপটপ টি দেখে ভালোই লাগলো।মিষ্টি খেতে হবে এবার।😁😁😍
ল্যাপটপ কেনার অভিজ্ঞতা আপনি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আসলে শখের জিনিস কেনার সময় টাকার থেকে নিজের সখের জিনিস টা বড় করে দেখা হয়। শখের যেকোনো জিনিস কেনা যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনার বন্ধুর ল্যাপটপ কেনার গল্পটা পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম। সত্যি অনেক আবেগ তাড়িত একটি গল্প। প্রথমে 30 হাজার টাকা বাজেট করে এরপর তা পঞ্চাশে উঠে গেল। শেষমেষ নিজের পছন্দ অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে পারলো জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আবেগতাড়িত কেনাকাটা বুঝব না কেন। আমি নিজেও কতবার করেছি। এবং যে বাজেট প্রথমে বললেন ঐ বাজেটে ভালো ল্যাপটপ নতুন টা পাওয়ার কথা না। কিন্তু পরবর্তীতে বাজেট বাড়ায় যে ল্যাপটপ টা নিয়েছেন সেটা বেশ ভালো হয়েছে। সুন্দর লাগছে ল্যাপটপ টা।
দাদা আসলে কিনতে গেলে এমনই হয়। সাধ আর সাধ্যের কম্বিনেশন হওয়া খুবই মুশকিল। বর্তমান বাজারে 30 হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া অনেকটা দুঃসাধ্যই বলতে গেলে। আমিও এই বাজেটের মধ্যে অনেক খুজেছি কিন্তু এখনো পাইনি।