এলোমেলো আলোকচিত্র // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
কবিতা বা গল্প লেখা যেমন একটি মানুষের সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দেয় তেমনিই আলোকচিত্র ফটোগ্রাফারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। আর ছবি তুলতে কার না ভালো লাগে? আমার তো বেশ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় ছবি তোলার তবে আমার ছবি তোলার হাত খুব একটা ভালো না, মাঝে মধ্যে একটা দুটো ছবি ঠিকঠাক আসে তবে বেশিটাই মানসম্মত না। ছবি তোলার সময় হাত কাঁপলে আজকে আমি আমার তোলা কিছু ছবি ভাগ করে নিতে চাই।
গতমাসে যখন বাড়ি গিয়েছিলাম তখন বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। আদ্যোপান্তে গ্রাম তাই ছবি গুলো বেশিরভাগই বাড়ির আশেপাশ থেকেই তোলা।
প্রথম ছবিটি আমাকে আলাদাভাবে চেনাতে হবেনা, এক্কেবারে শহুরে মানুষ না হলে মোটামুটি সবাই চেনেন। কৃষকের কষ্টের ফসল, নতুন ভাবে বছরের সূচনা, নতুন আশা। নবান্নের আগমন।
অপরাজিতার আক্ষরিক ভাবে, যে পরাজিত হয়নি বা হারেনি কখন তাকেই বলে। অপরাজিতা নজর কাড়তে কখনই হারেনি। অপরাজিতা ফুলের অদ্ভুত মাধুর্য্য আছে। গাঢ় নীল রঙের মাঝে হালকা সাদা -হলুদ আলাদা মাত্রা যোগায়। মা দুর্গার অনেকগুলি নামের মধ্যে অপরাজিতা একটি।
তৃতীয় যে ছবিটি আমি তুলে ধরবো তা আমাদের গ্রামের খাঁড়ির। আসলে এইবার উত্তরবঙ্গের বিশেষ একটা বৃষ্টি হয়নি, তাই এবারে অনেকটাই জল কম। খাঁড়ি ধরে সোজা চলতে থাকলে বাংলাদেশে পৌঁছে যাওয়া যায়।
নাম না জানা ফুলের মধু খেতে ব্যস্ত পিঁপড়েদের দেখে আমি বেশ অবাক। কত পরিমাণে মধু থাকলে এতো গুলো পিঁপড়ে একসাথে পেট ভরতে পারে। প্রকৃতি সত্যিই মাতৃ স্বরূপ। খাবারের অন্বেষণে।
গতমাসে বাড়িতে যখন গিয়েছিলাম, শরৎ তখন মাঝামাঝি। ধানি জমির পাশে কাশফুলের ঝাড়। আর কাশফুলের ভেতর থেকে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে চারদিকটা মুখরিত হয়ে উঠেছিল। সাথে ছিলো গোধূলি বেলার রক্তিম আভায় আকাশ।
ষষ্ঠ ছবিটি একটি কাঠমালতি ফুলের। অত্যন্ত সাধারণ একটি ফুল, অথচ গন্ধ যেকোনো ফুলকেই আরামসে ধরাশায়ী করে। গুরুত্বহীন ভাবে বেড়ে তবে প্রাণশক্তি অফুরান। প্রতিবছর অল্প করে ছেটে দেওয়া হয় পরের বর্ষা আসতেই আবার ঝোঁপ তৈরি করে ফুলে ভরিয়ে দেয়। সাধারণের অতিসাধারণ হয়ে ওঠা।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ফটোগ্রাফি করা কিংবা কারো ফটোগ্রাফি দেখা বরাবরই দুটোই আমার কাছে খুব রোমাঞ্চকর। আপনার তোলা ছবিগুলো প্রত্যেকটি অসাধারণ। প্রত্যেকটি ছবিতে এই যেনো প্রকৃতির সব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে। খুব সুন্দর আর মিষ্টি লাগতেছে ছবিগুলোকে দেখতে।
ধন্যবাদ ভাই। চেষ্টা করছি যাতে আরো ভালো ছবি তুলতে পারি 🤗
বড় ভাই আপনার কথা গুছিয়ে বলার কোয়ালিটি মাশাল্লাহ। খুব সহজ ভাষায় মনের ভাব টা প্রকাশ করতে পারেন।👌👌🥰🥰ছবি গুলা মনে হচ্ছে জীবন্ত।
কোথায় আর ভালো 😅। চেষ্টা করছি মাত্র। ধন্যবাদ সাইফুল 🤗
কে বলেছে ভাইয়া আপনার ছবি তোলার হাত ভালো নয়, অসাধারণ ফটোগ্রাফি সবগুলো, দেখেই মনটা ভরে গিয়েছে। আপনার মত আমিও পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করা, কিন্তু আপনার মতো এতো এক্সপার্ট নই,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই ফটোগ্রাফিগুলো আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি মোটেই এক্সপার্ট নই দিদি। চেষ্টা করছি, একটু আধটু তোলার জন্য। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। 🤗
আমি মোটেও এই কথার সাথে সম্মতি প্রকাশ করতে পারছিনা। কারণ আমার জানা মতে এবং আমার দেখা মনে আপনি খুব সুন্দর ছবি তুলতে পারেন। বিশেষ করে ধানের ছবিটা জাস্ট ওয়াও।
মানসম্মত টা Auto Correct হয়ে নাম সম্মত হয়ে গেছে 😆। আমি মোটামুটি পারি, ভালো হতে হবে। 🤗
বাহ বায়ুমণ্ডল সত্যিই আশ্চর্যজনক এবং ফুলগুলি খুব সুন্দর, আপনার ফটোগ্রাফি সত্যিই ভাল
আপনাদের মতো মোটেই নয়। আপনারা হলেন এক্সপার্ট। 🤗
প্রত্যেকটি ছবিই খুব সুন্দর ও আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বহন করে।খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।অপরাজিতা ফুল সম্পর্কে নতুন কিছু ধারণা পেলাম।আর শেষ ফুলটিকে আমরা মিনি টগর ফুল বলি।ধন্যবাদ দাদা।
আরেকটা নাম আছে, সেটা আবার শিব ঠাকুরের নাম।
টগর গাছটার যা সাইজ তাঁতে মিনি টগর বলা যায়।
কিং পরশ ভাই প্রতিটা ছবিই অসাধারণ হয়েছে, অনেক অনেক শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
ভাইয়া অসাধারন সুন্দর হয়েছে আপনার ফটো গ্রাপি গুলো। ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর ভাবে আপনি বর্ণনা করেছেন তা সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই 🤗।