৫-ই ভাদ্র ১৪২৮ // রাখিবন্ধন // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাক-কে
৫-ই ভাদ্র, ১৪২৮
নমস্কার,
আজ শ্রী কৃষ্ণের ঝুলন যাত্রার সমাপন, আবার রাখিবন্ধন। দিদি ও বোনেরা ভাইয়ের/দাদার মঙ্গল কামনায় হাতে রাখি পরিয়ে দেয়। সম্ভত ক্যালেন্ডার মেনে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রাখি বন্ধন উৎসব হয়।
বাঙালিদের কাছে রাখির তাৎপর্য অনেকটাই বেশি। ১৯০৫ সালে বঙ্গের আয়তনকে অজুহাত করে তৎকালীন ব্রিটিশ লর্ড কার্জন বঙ্গ ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেন। ব্রিটিশ সরকার ১৯০৫ সালের আগস্টে বঙ্গভঙ্গের আদেশ পাশ করেন, যা ওই বছরের ১৬ ই অক্টোবর কার্যকর হয়।
এই বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। তিনি কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট সকল ধর্মের মানুষের কাছে আহ্বান করেছিলেন একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার জন্য। কবিগুরুর এই ডাক উপেক্ষা না করে হাজার হাজার মানুষ রাখি পূর্ণিমার দিন রাখি পরিয়ে একতার ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছিলেন। ১১৬ বছর পরেও রাখি আমাদের কাছে ততোটাই তাৎপর্যপূর্ণ যতটা পরাধীন ভারতে ছিল।
আমাদের বাড়িতেও আজ রাখি পালন হলো, বোনের উদ্যোগে। সকাল থেকেই বাড়িতে তাই তোড়জোর শুরু। বাজার ঘাট করা। ঘর দোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা। মাঝে কয়েকটা জিনিস ভুলে যাওয়ায় আমি আর বোন বাজারে বেরোলাম। আকাশে শরতের আমেজ। হয়তো গরম ভাবটা আর কয়েকটা দিন পরে কেটে যাবে।
স্কুটার নিয়ে যাওয়া হলো তেঘরিয়ার বাজারে। আমরা বেশ বেলায় যাওয়ায় বাজার মোটামুটি ফাঁকা।
বেলা বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা কম দামে পাওয়া গেল। ২২০ টাকা কিলো চাইলেও, ২০০ টাকায় পাওয়া গেলো। ১ কেজি ৮৫০ গ্রামের রুই।
বাজার করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেলা গড়িয়ে দুপুর, তাই ঝটপট করে স্নান সেরে নিলাম। তারপর বোন রাখি পরিয়ে দিলো। আশীর্বাদ করি বোন আরো বড় হোক।
এত কিছুর মাঝে দুপুরের রান্না শেষ হতে অনেকটাই সময় লেগে গেলো, তবে খাবারের মেনু এমন হলে অনন্ত কাল অপেক্ষা করা যায়। রেওয়াজি খাসি, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, পনীর, মাছ ভাজা। আহা! গরম ভাতের সাথে খাসির মাংস জমে গেলো। স্বাভাবিকের তুলনায় এক হাতা ভাত বেশি খেয়ে ফেললাম। 😁
রোববারের দুপুর সাথে এতো ভালো খাবার, খাওয়া শেষ করে চোখ খুলে রাখা গেল না। ঘুমিয়ে পড়লাম। সন্ধ্যের দিকে আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করেনি। তাই স্টিমিট আর ল্যাদ খেয়েই বাকিটা সময় কাটিয়ে দিলাম।
আপনাদের রা বন্ধন সম্পর্কে আগে অনেক শুনেছি। আজ এর ইতিহাস টা আপনার পোস্ট থেকে জানলাম। ১১৬ বছরেও আপনারা এই রীতি পালন করছেন। এটা খুবই গর্বের একটি বিষয়। রাখি বন্ধনের মূল উদ্দেশ্য টা আজ বুঝলাম।
রাখি প্রায় ৩০০০ বছরের পুরোনো প্রথা। তবে কবিগুরু বঙ্গভঙ্গ রদে রাখির ব্যবহার করেন, তাই রাখির তাৎপর্য অনেকটাই বেশি
আরো অনেকটা জানা গেল। ধন্যবাদ।
টিকে থাকুক আজীবন আপনাদের ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের মধুর সম্পর্ক।খাবারগুলি খুবই সুস্বাদু।ধন্যবাদ দাদা।
রাখি বন্ধনের পূরো বিষয়টা আমি আপনার পোষ্ট থেকে আজকে বুঝতে পারলাম। এভাবেই যুগ যুগ ধরে টিকে থাকুক, আপনাদের ভাই বোনের সম্পর্কটা। শুভ কামনা রইল।