আশীষের স্টিমিটে রেজিস্ট্রেশন // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আমি প্রথম যখন স্টিমিটের ব্যাপারে জানতে পারি, সাথে সাথেই নবনিতা কেও অ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলি। নবনিতা রাজিও হয়ে যায় তারপর আমরা একসাথেই স্টিমিট অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল আমার ধীরে ধীরে বন্ধু-বান্ধবদেরকে স্টিমিটে রেজিস্ট্রেশন করানোর। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন ব্লগে নিয়ে আসার। বেশ কয়েকদিন আগে আশীষের সাথে আমি স্টিমের ব্যাপারে আলোচনা করি, ওকে কিছুটা সময় রিসার্চ করতে বলি। সেই সূত্র ধরে সকাল বেলায় আশীষ ফোন করে একটু আগেই ক্লায়েন্টদের কাছে যাবার কথা বলে, সেখানেই ও স্টিমিট রেজিস্ট্রেশন করে নেবে।
আমিও তাই স্বাভাবিক সময়ের একটু আগেই কাজের ওখানে চলে যাই। আগে কিছু কাজ মিটিয়ে নিয়ে তারপর ওর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পৌঁছে কাজের সুযোগ আর পাইনি। আমরা বেশ কিছুটা সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়েই আলোচনা করলাম।
তারপর ওকে নিয়ে রেজিস্ট্রেশনে বসলাম। রেজিস্ট্রেশনের আগে স্টিমিটের কি সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা দিয়ে রাখলাম। রেজিস্ট্রেশন করার পরে যখন মাস্টার পাসওয়ার্ড জেনারেট হলো আমি ওকে মাস্টার পাসওয়ার্ড এর তাৎপর্য বুঝিয়ে দিলাম, এটা হারালেই ওর অ্যাকাউন্ট কোনোভাবেই যে রিকভার করা সম্ভব নয় সেটাও জানিয়ে রাখলাম।
রেজিস্ট্রেশন করে পোস্টিং কি, একটিভ কি সহ সমস্ত কি এর কাজ বুঝিয়ে দিলাম। রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হলে সমস্ত প্রাইভেট কি এর পিডিএফ ডাউনলোড করে সেটাকে ওর ড্রাইভে আপলোড করিয়ে দিলাম। সাইন আপ করে ওকে সময় নিয়ে একটা পরিচিতি পোস্ট লিখতে বললাম। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে খেয়াল করিনি, তাই ক্লায়েন্টদের কাজ মন দিলাম।
কাজ শেষ হতে সন্ধ্যে ৭:৩০ বেজে গিয়েছিল, অনেক সকালে বেরিয়েছিলাম যেহেতু আমার একটু খিদে পেয়ে গিয়েছিল। আশীষ আর আমি ঠিক করলাম রাম মন্দির যাবো। কলকাতা ভেজিটেরিয়ান স্ট্রিট ফুডের স্বর্গ। সমস্ত দোকানে শুধু ভেজ। আমার যদিও একটু নন ভেজ খেতে ইচ্ছে করছিলো তবুও আশীষের যেহেতু নিরামিষ আছে তাই রাম মন্দিরে যাওয়া হলো।
আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যদি ভেজ খেতে ইচ্ছা হয় তাহলে বাড়িতে খুব সুন্দর ভাবে বানিয়ে খাবো, বাইরের দোকানে কি মিশিয়ে দেয় ঠিক নেই। যাক সেসব কথা। অনেকদিন পর রাম মন্দির আসলাম, এখানে খুব ভালো ভালো চিজ স্যান্ডউইচ পাওয়া যায়। প্রথমে বেবিকর্ন খাওয়া ঠিক হলো। খেতে বেশ ভালোই উপরে হাল্কা এক ধরনের মিষ্টি কোট দিয়ে ভেজেছে।
বেবিকর্ন খেয়ে নর্মাল স্যান্ডউইচ খাবো, কিন্তু আশীষের ইচ্ছে ছিলো একটু আলাদা ভাবে খাবে। আশীষই ইনস্ট্রাকশন দিলো। স্যান্ডউইচের পুরটা ব্রেডের উপরে দিয়ে অল্প চিজ দিয়ে সেটাকে বেক করে দিতে বললো। ফাইনাল প্রোডাক্টটা বেশ ভালোই হয়েছিল, অনেকটা পিজ্জার মতো মনে হতে পারে, তবে পিজ্জা নয়।
রাম মন্দির থেকে ফিরে আশীষের সাথে স্টিম নিয়ে আরো বিস্তারিত কথা বললাম। আলোচনা যেন শেষ হচ্ছিলো না, এদিকে আমি দেখলাম বেশ রাত হয়েছে। আমি ওকে পরদিন এসে এটা নিয়ে আরো আলোচনা হবে এই আশ্বাস দিয়ে বাড়ির পথে রওনা হলাম।
@tipu curate
খুব ভালো একটি কাজ করেছেন ভাইয়া । আপনি সত্যিই খুব ভালো মনের অধিকারী তানাহলে আপনি সময় দিয়ে তাকে অ্যাকাউন্ট খুলে দিতেন না। আসলে এই ভাবেই উচিত যারা খুব কাছের মানুষ তাদেরকে একটি ভালো অবস্থানে যোগদান করিয়ে দেয়া।
খুব ভালো লাগলো শুনে দাদা, যে আপনি আপনার বন্ধুকে এই স্টিমিটে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন।তবে দাদা আমাদের হবু বৌদি মানে নবনিতা কি নামে একাউন্ট খোলা আর উনি কি পোষ্ট করেন?ধন্যবাদ দাদা।
নবনিতা আর পোস্ট করেনা। সময় পায় না বিশেষ।
ব্যাপারটা বেশ ইউনিক তো!
পিজ্জা স্যান্ডউইচ।
একের ভিতর ই দুইয়ের স্বাদ।
আশা করি আশীষ ভাইয়ার স্টিমিট যাত্রা শুভ হবে।
ইম্প্রভাইজেশন করে বানানো হলো। ভালোই লাগলো।
অনেক ভালো লাগলো দাদা। আপনি অত্যন্ত ভালো একটি কাজ করেছেন আপনার বন্ধু যেন এখানে কাজ করে স্বাবলম্বী হোক এবং নতুন কিছু শিখতে পারে। এই প্লাটফর্মে কাজ করতে সত্যি অনেক আনন্দ লাগে অনেক কিছু শিখার আছে
ও স্বাবলম্বীই, তবে স্টিমটে কাজ করলে ভালোই হবে। নতুন কিছু তো শিখবেই।