দিনপঞ্জি ১-লা ভাদ্র, ১৪২৮ // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
আজ পয়লা ভাদ্র। নতুন মাসের সূচনার সাথে সাথেই শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন যাত্রা শুরু আজ থেকেই। ঝুলনযাত্রা বৈষ্ণবদের অন্যতম বড়ো উৎসব। রাধা কৃষ্ণের প্রেমের উদযাপন হয় এই উত্সবের মধ্যে দিয়েই করা হয়। শাস্ত্রমতে, বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণর প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে এই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়, তারপর থেকেই এই আচার চলে এসেছে
ছোটো বেলায় ঝুলন মানেই ছিলো ছোট ছোট পুতুল দিয়ে ঝুলন সাজানো। আমি এবং আমার কিছু ভারতীয় আর্মি, ট্যাংক এসবের প্রতিকৃতি সাজিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতাম 😁। তবে আজকাল এই ঝুলন সাজানোর প্রচলন অনেকটাই কমে গেছে। আমিও বড়ো হয়ে আর ঝুলন সাজাতে পারি না।
আজকেও গতকালের মতো সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙে গেছে। কাক বাবাজি আজকে আর আসেননি তবুও ঘুম আর এলোনা। ঘুমের আড়ষ্টতা কাটাতে চা বানিয়ে নিলাম তবে আজকে আর চায়ের ছবি তুলতে ভুলিনি। চায়ে ডুবিয়ে ডুবিয়ে টোস্ট বিস্কুট। আহা!
সকাল নয়টার দিকে সবার যখন ঘুম ভাঙলো, নতুন করে আরো একবার চা পর্ব মিটল। এবার আমি খাইনি। জলখাবার হবে একটু পরেই। আজকের জলখাবার হার্ড বয়েলড ডিম সেদ্ধ। খোসা ছাড়িয়ে মাঝ দিয়ে দুফালি করে হালকা নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো। ব্যাস।
ডিম টা খেয়ে স্টিমিট নিয়ে বসলাম। সিটমিটের নোটিফিকেশন খুলে দেখি লাজুক খ্যাঁক ভোরবেলার দিকে ভোট দিয়েছে। আহা মনটা খুশিতে নেচে উঠলো। তবে আরেকটি জিনিস মাথায় ঘুরলো @rme দা কি কখনো ঘুমোন না? মানুষটার অদ্ভুত প্রাণশক্তি। একদিকে দৈনিক কাজ মেটাচ্ছেন আরেকদিকে ভোর রাত পর্যন্ত জেগে জেগে আমাদের ভোট দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে যদি দাদার সাথে কখনো দেখা হয় তবে এতো প্রাণশক্তির রহস্য টা জেনে নেবো।
স্টিমিট ঘাটতে বেলাটা একটু গড়িয়ে গেলো। বোন পড়া শেষ করে উঠে বললো "চল হর্ষদা কিছু ফ্রোজেন ফুড কিনে আনি"। চিকেন সসেজ, চিকেন সালামি এইসব আরকি। আমিও না করিনি, আমারও কিছু ফ্রোজেন মটরশুঁটি কেনার ছিলো। একটা পদ রান্না করার ইচ্ছে আছে আগামী শুক্রবার, তাই একবার ট্রায়াল আজকেই দিয়ে নেবো।
বেরিয়ে পড়লাম দু ভাই-বোন রোজকার মতোই। এপ্রিলিয়া স্কুটার নিয়ে। বোন বললো চ আগে চা খেয়ে আসি। আমিও মানা করলাম না।
দাদার দোকানে পৌঁছে যেতেই দুটো ছোটো ভাঁড় চা বলা হলো। দাদার চাটা বেশ ভালো, নিজে না খেলে বোঝা সম্ভব না।
সেখান থেকে সোজা ফ্রোজেন ফুডের দোকানে গেলাম।
আজকে অফার চলছিলো, একটার সাথে আরেকটা ফ্রী। বোন হাতের সামনে যা পারলো তুলে নিলো, তবে আমার যেহেতু শুধুই ফ্রোজেন মোটোশুটি। তাই সেটার দুটো প্যাকেট তুলে নিলাম। ৬০ টাকায় ৫০০ গ্রাম কড়াইশুঁটি। মন্দ ডিল না।
পুরো ব্যাগ ভর্তি ফ্রোজেন ফুড নিয়ে টুকটুক করে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
মাটির কাপে চা খেতে দেখে পুরনো একটি দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমি যখন প্রথমবার ইন্ডিয়াতে যাই , মায়াপুর থেকে ফেরার পথে পথের মাঝে চা খেতে নেই মাটির কাপে করে। ওটাই ছিল আমার প্রথম মাটির কাপে চা খাওয়া। মজার ব্যাপার হলো, আমি একবারে কাপটা হাতে নিতে পারছিলাম না এত গরম লাগছিল আমার। কিন্তু আমার চারপাশের অনেক মানুষ দিব্যি খেয়ে যাচ্ছিল,, আমি অবাকই হয়েছিলাম ঐদিন, তখন মনে হলো এভাবে হয়তো তাদের একটি অভ্যাস হয়ে উঠেছে মাটির কাপে চা খাওয়া। যাই হোক চা টা একটু ঠাণ্ডা হলে তারপরে আমি খেয়ে নেই । এটা আমার কাছে বেশ মজার একটি অভিজ্ঞতা ছিল। 😀😊
কলকাতা ও কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাঁড়ে চা একটা ঐতিহ্য। আমিও উত্তরবঙ্গের ছেলে। প্রথম প্রথম এসে আমারও ভয়ানক অসুবিধে হতো। মায়াপুর কেমন লেগেছিলো?
মায়াপুরের অভিজ্ঞতা এবং তার সৌন্দর্য বর্ণনা করা সত্যিই অসম্ভব একটা ব্যাপার। আমি পরপর দুইবার গিয়েছি সেখানে। সকাল থেকে সারাদিন থেকে সন্ধ্যা আরতি দেখে তবেই ফিরেছি। সর্বশেষ যখন গিয়েছিলাম তখন ইসকন মন্দির পুরোপুরি কমপ্লিট হয়নি,, মন্দিরটি কমপ্লিট হয়ে গেলে আবার যাব অবশ্যই।
আমি একবার গিয়েছি। বেশ ভালো ছিলো দিনটা
আপনে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিনটা পার করেছেন। আপনার খাবারের সকল ছবিগুলো আমার কাছপ বেশ সুন্দর লেগেছে, তবে দ্বিতীয় ছবিটা আমার বেশ মন ছুয়েছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে চা খেতে বেশ ভালোবাসি। তবে মাটির কাপে এখনও চা খাওয়া হয়ে ওঠে নাই। আপনার পোষ্টটা পড়ে বেশ ভালো লাগল। শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।
সিদ্ধ ডিমের ছবি তুলতে ভালোই লাগে। রং দারুন আসে।
কলকাতায় কোনোদিন এলে ভাঁড়ে চা খাবেন। বেশ লাগবে।
যানি না কলকাতায় কোনো দিন যাওয়া হবে কিনা। তবে আমার খুব ইচ্ছা যাওয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কাজ না থাকলে আসবার সুযোগও নেই। একটা জিনিস করতে পারো, কুমোর কে দিয়ে একটা শক্তপোক্ত মাটির ভার বানিয়ে নিতে পারো।
এটা অবশ্যই ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন। চেষ্টটা করবো।
দাদার দেখি চায়ের প্রতি আলাদা একটি আকর্ষণ আছে।সেটা আপনার অনন্য সকল ব্লগ ঘাটলেই বেশ অনুমান করা যায়।চা খাওয়াটা ভালো অভ্যেস।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
আমার নেশা নেই কিন্তু। না খেলেও চিন্তা নেই। তবে ভালোই লাগে। ২০২০ শুধু গ্রিন টি খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছি
আপনার আজকের ডায়েরি টা অনেক বেশি ধারাবাহিক ও প্রাসঙ্গিক ছিল ।প্রতিদিনের সামান্য ঘটনা গুলো গুছিয়ে লিখলে সেগুলো পড়তে সত্যি ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য ।।
ধন্যবাদ @blacks দা! @winkles এই ব্যাপারে আমাকে Guide করেছে। স্টিমিটের তিনমাসের অভিজ্ঞতায় আমার মনে হয়েছে Daily Diary চিন্তনটা বেশ ভালো।
অনেক ব্যাস্ত দিন পার করেছেন। আর মনে হচ্ছে অনেক মজাও করেছেন।
ঘুমটা হচ্ছে না এটাই দুঃখের 😭
দাদা প্রথমেই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আপনার লেখনীর দ্বারা দিনের এক সময় সুন্দর মুহূর্তে কাটানোর বিষয় তুলে ধরেছেন সত্যিই দারুন লেগেছে। দারুন উপস্থাপনার সাথে ধর্মীয় বিষয় তাও তুলে ধরেছেন। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে।
আসলে আমার ঝুলন সাজাতে দারুন লাগতো। লিখতে গিয়ে সেটাই মনে পড়লো। আর অনেকেই হয়তো ঝুলন সম্পর্কে জানেন না। তাই একটু Background story আরকি
আপনি অনেক সুন্দর দিন অতিবাহিত করেছেন।
আমরা এটাকে মটকা চা বলে থাকি। বাংলাদেশে মাটির ভাড়ে বিক্রি করা চা খুব একটা পাওয়া যায় না।
ভারতে মটকা চা আবার আলাদা জিনিস। একবার খেয়েছিলাম। স্থান অনুযায়ী নামের কতো ভিন্নতা আসে।
ঠিক বলেছেন দাদা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বাংলা মাসের পহেলা ভাদ্র উদযাপন করেছেন। সেই সাথে আরো ধন্যবাদ জানাই মাটির কাপে চা খাওয়া দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাটির কাপে চা খাওয়ার মজাটা সত্যিই অনেক মজার। আমি যখন বাইরে থাকি , আমাদের ওইখানে একটি দোকানে মহিলা চা বিক্রয় করে, আমরা ওই দোকানটি মামির চার দোকান নামে চিনে থাকি। মামির চার দোকানে শুধুমাত্র মাটির কাপে চা পাওয়া যায়।
বাহ! একদিন ছবি দিও ভাই