রেসিপি : ছানার ডালনা // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
গত শুক্রবার থেকেই পিসিরা নেই, নৈনিতাল ঘুরতে গেছে। সেকারনে কয়েকদিনে প্রায় ১.৫ লিটার দুধ জমেছে। সাধারণত রোববার মানেই মাংস আবশ্যিক, তবে এই সপ্তাহটা একটু আলাদা ছিলো। মাংসের পরিবর্তে ছানার ডালনা রান্না করলাম। প্রক্রিয়া বেশ সময় সাপেক্ষ হলেও, ছানার ডালনা আমার খেতে অসাধারন লাগে। আদ্যোপান্তে এই নিরামিষ রান্নায় পেঁয়াজ বা রসুনের ব্যবহার করা হয় না, আমিও করিনি। বেশি কথা না বাড়িয়ে রান্নায় দিকে এগিয়ে যাবো।
- ১.৫ লিটার দুধ
- ছানা কাটা পাউডার
- লেবু (১ টা)
- আলু (২ টো)
- ৪০ গ্রাম আটা
- তেজপাতা
- শুকনো লঙ্কা
- ১ টেবিল চামুচ গোটা জিরে
- ২ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ২ টেবিল চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ২ টেবিল চামুচ লংকার গুঁড়ো
- নুন
- চিনি
- ঘি
- গুঁড়ো গরম মশলা
- সাদা তেল
রান্নাটি তিনভাগে করেছি। প্রথমভাগে ছানা, দ্বিতীয়ভাগে ছানার বড়া এবং শেষে ডালনা।
ধাপ ১
- শুরুতেই গ্যাসের ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে তাতে অল্প আঁচে দুধ ফুটতে দিলাম।
ধাপ ২
- কয়েক মিনিট পরে দুধ ফুটে এলে ছানা কাটার পাউডার দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই ছানা কেটে গেলো। সে অবস্থাতেই একটা গন্ধরাজ লেবু কেটে দুধে দিয়ে দিলাম। এতে ছানায় একটা সুগন্ধি আসবে।
ধাপ ৩
- ছানা গুলোকে কড়াইতে থেকে নামিয়ে একটা ছাকনিতে জল ঝরার জন্য রেখে দিলাম।
ধাপ ৪
- এইভাবে ১৫ মিনিট রাখার পর ছানা গুলোকে একটা থালায় ঢেলে নিয়ে, ভালো করে চটকে দিলাম। তারপর পরিমান মতো আটা, হাফ চামুচ হলুদ, হাফ চামুচ জিরে গুঁড়ো, এক চিমটি নুন দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ ৫
- নুন-হলুদ ভালোভাবে মাখিয়ে নেওয়ার পর হাফ চামুচ লঙ্কা গুঁড়ো আর অল্প চিনি দিয়ে মন্ডটা তৈরী করলাম। তারপর ছোটো ছোটো গুলতি বানিয়ে ফেললাম।
ধাপ ৬
- ওভেনে আবার একটা কড়াই বসিয়ে তেল দিলাম। তেল গরম হতেই আঁচটা কমিয়ে দিয়ে ছানার গুলতি গুলো এক এক করে দিতে থাকলাম।
ধাপ ৭
- বেশ খানিকটা সময় ধরে হালকা আঁচে ছানার বড়া গুলো ভাজলাম। এইভাবে মোট তিনবারে সমস্ত বড়া ভাজা হয়ে গেলো।
ধাপ ৮
- গ্যাসের আরেকটা ওভেনে একটা পাত্রে ছড়িয়ে অল্প জল ফুটিয়ে তাতে অল্প নুন দিলাম। তারপর ভেজে রাখা সব ছানার বড়া গুলো জলে কয়েক মিনিটের জন্য চুবিয়ে দিলাম। এতে ছানার বড়া গুলো খুবই নরম হবে।
ধাপ ৯
- গ্যাসে আবার কড়াই চড়িয়ে তেল দিলাম। তেল গরম হতেই গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা আর তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নিলাম। তারপর কেটে রাখা আলুগুলো সব দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম
ধাপ ১০
- আলু তারপরে হলুদ দিয়ে ভাজলাম। ভাজা শেষ হলে একটা বাটিতে অল্প জল নিয়ে তাঁতে লঙ্কার গুঁড়ো গুলিয়ে দিয়ে দিলাম। অল্প ভেজে নিয়ে আবার এক চামুচ জিরে গুঁড়ো দিয়ে উল্টে পাল্টে দিয়ে কষতে রেখে দিলাম।
ধাপ ১১
- মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিচ্ছিলাম। মিনিট চারেক এভাবেই মাঝারি আঁচে ফুটতেই আলু কষে গেলো, এরপর আমি দুই কাপ জল নিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
ধাপ ১২
- আঁচটা বাড়িয়ে দিয়ে ঝোল ফুটতে রেখে দিলাম।
ধাপ ১৩
- ঝোল কমে যেতেই সবগুলো ছানার বড়া কড়াইতে পাচার করে দিলাম। আঁচটা বাবার কমিয়ে দিলাম
ধাপ ১৪
- ছানা দিতেই ঝোল বেশ অনেকটাই টেনে নিলো। নিরামিষ রান্নায় ঘি আর গরম মশলা না দিলে হয়? আমি এক চামুচ ঘি আর হাফ চামুচ গুঁড়ো গরম মশলা দিয়ে ছানার ডালনা নামিয়ে নিলাম।
খেতে গিয়ে বুঝলাম, গরম জলে দেওয়াটা খুব কাজে দিয়েছে। ছানার বড়া গুলো তুলতুলে নরম হয়েছে।
||আমার বাংলা ব্লগ পেজ & ডিসকর্ড||
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
অভাবনীয় একটি রেসিপি।এমন কখনো দেখা তো দূর,নামও শুনিনাই।দেখতে খুবই ভাল্লাগছে 🥰খেতেও নিশ্চয়ই দারুণ হয়েছে।
হ্যাঁ। খেতেও বেশ ভালো ছিলো। ধন্যবাদ 🤗
দাদা,এই রেসিপিটি একদম আমার কাছে নতুন আমি কখনো এরকম রেসিপি খাইনি। ছানার ডালনা রেসিপিটি নাম মনে হয় আমি প্রথম শুনেছি। তবে দাদা,রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।দাদা,আপনার এই রেসিপিটি আমি শেয়ার করে রেখে দিচ্ছি এক সময় ঘরে তৈরি করে খেয়ে দেখব।ছানার ডালনা রান্নার প্রতিটি ধাপ বর্ণনাসহ করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ,এত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
নিরামিষের দিন ছানার বড়া খাওয়ার চল আগে থেকেই আছে।
অবশ্যই রান্না করে দেখবেন, ভালো লাগবেই। নিশ্চিত থাকুন দিদি। ধন্যবাদ আপনাকেও আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। 🤗
চানা ডাল বড়া সত্যিই স্পেশাল দাদা। কেউ না থাকায় মাংসের পরিবর্তে চানা ডাল বড়া বানিয়েছেন এবং কি অনেক সুন্দর করে সানা ডাল বড়ার উপকরণ গুলো সাজিয়ে দিয়েছে। এবং এটা তৈরি করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে। আরে সানার ডালবড়া আমার কাছে একবার এই নতুন। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে দেখিয়েছে। আপনার চানা ডাল বড়া রান্না খুবই সুন্দর হয়েছে। ছাড়া ডাল বড়া রেসিপি টির কালার টি খুবি সুন্দর হয়েছে দেখার মত। দেখে জিভে জল এসে গেছে দাদা। দেখেই বুঝা বুঝা যাচ্ছে এর স্বাদ অতুলনীয়। আমাদের সাথে নতুন একটা চানা ডাল বড়া রেসিপি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
সময় তো লেগেছে। প্রায় দেড় ঘন্টা। ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা এতো দারুন দারুন সব রেসিপি দেখে দেখে আর জল আটকানো জায় না।আমার কাছে রেসিপিটি একদম।নতুন আর এই খাবার এর সাথে নতুন পরিচিত হলাম।আপনাদের কল্যান এ নতুন নতুন সব খাবার এর সাথে পরিচিতি হতে ভালো লাগে।ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো দাদা।
হাঃ হাঃ। বাড়িতে বানিয়ে নিলেই লোভ সংবরণ করা যাবে। 😛। ধন্যবাদ ভাই 🤗
তোমার রান্না গুলো দেখে বড় ইচ্ছে করছে একদিন তোমার বাড়িতে ঘুরে আসি। খুব সুন্দর রংটা এসেছে ,টেস্ট কতটা ভালো হয়েছে তুমি বলতে পারবে। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটা ছানার ডালনা আমাদের সামনে রাখার জন্য।
আসতেই পারো। আরো ভালোভাবে শিখে নিই। তারপর একদিন ডাকবো। 🤗
আপনার ছানার ডালনা রেসিপিটা আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই বারবার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনার উপস্থাপনা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি, এটি আমি খুবই সুন্দর ভাবে শিখতে পেরেছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই 🤗। তুমি বাড়িতে করে দেখতে পারো।
এই ধরনের খাবার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। এই প্রথম দেখছি এই রকম রেসিপি। খুব ভালো লাগলো দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। দাদা এতো সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ❤️❤️
খাওয়া হয়নি যখন খেয়ে দেখো। ভালো লাগবেই। ধন্যবাদ ভাই 🤗।
অনেক সুন্দর আর ইউনিক রেসিপি মনে হচ্ছে আমার কাছে। খুব সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন দাদা। আমি কখনোই এরকম রান্না দেখিনি, আজকে প্রথম দেখলাম আপনার কাছে। অসাধারণ রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ দিদি 🤗
আমার কাছে আপনার তৈরি রেসিপিটি একদম ইউনিক লেগেছে। আসলে ছানা দিয়ে দিয়ে আবার ঝালের রেসিপি তৈরি করা যায় সেটা আপনার পোস্ট না দেখলে একদমই বুঝতে পারতাম না। সচরাচর ছানা বলতে আমরা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য বুঝাই। আপনার তৈরি রেসিপিটি বোধহয় খুব মজা হয়েছে আমি দেখে যা বুঝতে পারলাম। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেশি ঝাল দিলে হবেনা। অল্প ঝাল দিতে হবে। নইলে ছানার স্বাদ একদম নষ্ট হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকেও আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।
আমার কাছে রেসিপিটা একদমই নতুন। আমি ভাবতে পারিনি যে ছানা দিয়ে কখন তরকারি করা যায়। জানিনা এর টেস্ট টা কি রকম। তবে দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে।
ছানা দিয়ে আরো বেশ কয়েকটা তরকারি করা যায়। খেতেও দারুন লাগে। বেশি দুধ জমে গেলে ছানার তরকারির দিকেই দৌড়াই, দুধ গুলো কাজে লেগে যায় আবার সুস্বাদু। বড়া গুলো মোলায়েম হয়। দারুন লাগে। একদিন বাড়িতে করে দেখুন ভাই 🤗