দিনপঞ্জি ৪-ঠা অশ্বিন, ১৪২৮ // কাজ আর ভেজিটেবল চপ // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সোমবার সারাটা দিন ছিলাম ঘরবন্দি, তার পেছনের কালপ্রিট বৃষ্টি। সারাদিন হয়েছে অঝোরে বৃষ্টি যা রাত পর্যন্ত চলেছে। একসময় মনে হচ্ছিলো থামার কোনো প্রকার ইচ্ছেই নেই। এমনকি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ভেবেছিলাম মঙ্গলবার সকালে হয়তো ঘুম থেকে উঠেও একই রকম আবহাওয়া দেখবো। অসম্ভব বৃষ্টি। সৌভাগ্যবশত তা আর হয়নি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আকাশ পরিষ্কার। রাস্তা ঘাট ভিজে রয়েছে তবে বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া ঠান্ডা। বেশ খুশিই হলাম অবশেষে আজ একটু বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে। বাড়িতে আটকে পড়লে কেমন যেন আবদ্ধ লাগে।
ফ্রেস হয়ে সকালের জলখাবার সবে খেয়েছি, পিসি বললো যে একটু মাংস নিয়ে আয়। আমিও খুশিতে আত্মহারা। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঝালঝাল মাংস। আহা। পুরো জমে যাবে। খুব আনন্দে জামাকাপড় পড়ে পিসির সামনে এলাম, পিসি হাতে ১০০ টাকা গুঁজে বললো কোহিনূরদের চিকেন শেষ হয়ে গেছে, ওদের জন্য চিকেন নিয়ে আয়। সব আশায় জল ঢেলে দিলো।আশায় জল ঢেলে দিলো। কি আর করা যাবে মনটা খারাপ করেই কোহিনূরদের জন্য মাংস আনতে গেলাম।
মাংস কিনে বাড়ি ঢুকেছি ক্লায়েন্টের ফোন, ব্যাংকের কাজ আটকে আছে তাড়াতাড়ি কাজে যেতে হবে। আমি ১২ টার দিকে দুপুরের জন্য যা অল্প রান্না হয়েছিলো তা খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে কাজে যাওয়া হয়নি, এমনকি সোমবারে যাওয়ার কথা ছিল বৃষ্টির কারণে সেটাও হয়নি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় কি জ্যাম লেগে গেছে।
বাসে উঠে কারণটা জানতে পারলাম, রাস্তার সামনের দিকটায় মানে চিনারপার্কের দিকে এখনো জল আটকে আছে তাই ট্রাফিক খুবই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। আমি বুঝতে পারলাম যে আজ ফিরতেও দুর্ভোগ আছে। বাস পেতে মিনিট দশেক লেগে গেলো, চারিদিকে জ্যাম ছিলো তাই সাধারণের থেকে ১৫ মিনিট লেটে পৌঁছালাম।
পৌঁছে প্রথমেই ব্যাংকে গেলাম, কিছু ফান্ড ট্রান্সফার করার ছিলো, তারপর কাজের জায়গায় ফিরে এলাম তারপর তিন ঘন্টা মাথা তুলতে পারিনি, চার দিনের কাজ শেষ করতে বিকেল ৪ টা বাজলো। কাজ মোটামুটি শেষ করে বসে একটু আরাম করছি জন্য এমন সময় আশীষ এলো। খানিকটা ওর সাথে গল্প করে আবার কাজে ফিরলাম।
সন্ধ্যে ৭ টার দিকে সব কাজ শেষ করে বেরোব এমন সময় নতুন একটা কোটেশন বানিয়ে দিতে বললো, আমি বেরিয়েই যাচ্ছিলাম আটকে যেতে হলো।
সব শেষ করতে করতে সন্ধ্যে আটটা বাজলো আমিও বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। বেরিয়ে পড়েই সমস্যায় আটকে গেলাম, প্রায় কুড়ি-পঁচিশ মিনিট বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি এদিকে বাসের দেখা নাই।
বাড়ি ফেরার পথে ভিআইপি রোডে দেখি এখনো ড্রেনের জলে ভাসছে, কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট হাসি পেল এর পেছনে শহরের মানুষজনই দায়ী। যত্রতত্র নোংরা ফেলে ড্রেন গুলো জ্যাম করে দিয়েছে। স্বভাবই এর কর্মফল পেতে হতোই।
বাড়ি পৌঁছেছি রাত ৯:২০ র দিকে ফ্রেস হয়ে জামাকাপড় বদলিয়ে বসেছি, পিসি চিৎকার করে উঠলো, 'ভেজিটেবিল চপ এনেছিল তোর জন্য দুখানা রয়েছে'। মাংস যখন হলো না চপেই শান্তি।
ভাই চপ গুলা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে খুব,ভেজিটেবল চপ আগে খাওয়া হয় নি কখনো। ব্যাস্ততায় একটি দিন কাটিয়েছেন। অনেক শুভকামন রইল।
অনেকধরনের সবজি মিলিয়ে চপ বানায়।
অনেক ব্যস্ততা মোয় দিনটি আপনি কাটিয়েছেন।উপস্থাপনার সাথে সাথে আপনার পোস্টে যুক্ত করা ছবি গুলো পোস্ট কে মার্জিত করে তুলেছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ছবি না দিলেই কথা গুলো কথায় থেকে যায়। ছবি অন্য মাত্রা দেয়। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য
দাদা তোমার পোষ্ট পড়ে মুগ্ধ হয়ে যায়। তারকারণ তুমি সারাদিনের কাজ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখে আমাদের সাথে ভাগ করে নাও। সত্যিই এটি খুব প্রশংসনীয় ।ভালো লাগলো ফুল একটা প্যাকেজ পড়ে। শুভেচ্ছা নিও।
ধন্যবাদ ভাই। 🤗
বেশ ব্যাস্তময় সময় কাটালেন। ভেজিটেবল চল আমার খুব বেশি পছন্দ। অবশ্য পেটুক হিসেবে সবটাই পছন্দ। 😜
আমাদের এখানেও সেইম অবস্থা,পানি আর পানি তাও আবার কলে নয় রাস্তায়।
এই কারণে মাঝেমধ্যে অনেক রাস্তা এভয়েড করি আমি।
চপ মোটামুটি সবারই ভালো লাগে। তবে মাঝে মাঝে খাই।
কলকাতা পুরো ডুবে গিয়েছিল।
আপনে সব সময় আপনার দিনগুলো ব্যস্ততার মাঝে কাটান। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আসলে আমাদের সব সময় উচিত সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। সময়টাকে হেলায় ফেলায় না কাটিয়ে তাকে সঠিক দিকে কাজে লাগানো। ভেজিটেবল চপটা বেশ সুন্দর লাগে আমার কাছে এতো সুন্দর একটা দিনলিপি এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
ব্যস্ততার মধ্যেই কাটছে, না চাইলেও কাটছে। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।