দিনপঞ্জি ৫-ই অশ্বিন, ১৪২৮ // নবনিতার কলেজের ফি পেমেন্ট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
নবনিতার ইউকে যাওয়া মোটামুটি তিন সপ্তাহ হতে চলল, আগামী ২৭ তারিখ থেকে কলেজ শুরু হবে। আর কলেজ শুরু হওয়ার আগেই ওর সেমিস্টার ফির কিছুটা অংশ কলেজকে দিয়ে দিতে হবে আর বাকিটা আগামী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে করলেই হবে। কয়েকদিন আগে এই কাজটা করার কথা থাকলেও সময়ভাবে পারিনি। গতরাতে বাড়ি ফিরে ওর সাথে কথা বলে ঠিক করে নিয়েছিলাম আজকেই করে দেবো। সেইমতো আজকে ওদের ওখানে গিয়েছিলাম।
সকাল বেলাতেই বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে বাস ধরলাম বিধান নগর স্টেশন যাবার জন্য। বাস পেতে বেশ বেগ পেতে হলো। অনেক জায়গায় রাস্তা থেকে বৃষ্টির জল নামেনি তাই যানজট লেগেছে। বুদ্ধি করে বাড়ি থেকে একটু আগে ভাগেই বেরিয়েছিলাম।
বিধাননগর স্টেশন থেকে ট্রেনে ৭০ মিনিটের রাস্তা। সকাল বেলা তাই কলকাতার বিপরীতের ট্রেন মোটামুটি ফাঁকাই ছিলো, দুটো স্টেশন পরেই সিট পেয়ে গেলাম। স্টেশনে নেমে আটো করে এইচডিএফসি ব্যাংকে পৌঁছাতে মিনিট দশেক লাগলো।
কিছুক্ষন পরেই নবনিতার মা এলেন, তারপর আমরা একসাথে ব্যাংকে ঢুকলাম। পুরো কাজকর্ম শেষ করতে প্রায় ঘণ্টা খানেক লেগেই গেলো তারপর ট্রান্সমিশন জানার জন্য আরো আধ ঘন্টা। সব কাজ সেরে কনফারমেশন পেয়ে যখন ব্যাংক থেকে বেরোলাম, ঘড়িতে ২:৩০ বাজে। নবনিতার মা কে একটা টোটো রওনা করিয়ে আমিও স্টেশনের দিকে এলাম। এখান থেকে সোজা যাবো ক্লায়েন্টদের কাছে।
স্টেশনে ঢুকেছি তখন দেখি কলকাতার ট্রেন মিনিট পনেরো লেট আছে এদিকে অল্প খিদে পেয়েছে। ঘুরঘুর করছি তখন দেখলাম একটা খুব ভালো ঘুগনির দোকান অবশেষে খুলেছে, লক ডাউনের পর আজকে প্রথম খুলতে দেখলাম। নবনিতার সাথে শেষ খেয়েছিলাম। খুবই ভালো ঘুগনি, আলু একদমই কম দেয়। খেতেও বেশ ভালো। প্রচুর বিক্রি। প্রায় ৬-৭ মাস পরে খেলাম। খাওয়া শেষ অমনি ট্রেন অন্যাউন্স হলো।
কলকাতা ফেরার পথে ট্রেনে ছিলো ভয়ানক ভীড়। পুরো ৭০ মিমিটের রাস্তা দাড়িয়েই আসতে হলো। সেখান থেকে সোজা ক্লায়েন্টের দোকানে, আজকেও বেশ কিছু কাজ ছিলো। বিল বানানোর সাথে কিছু ডিউ পেমেন্ট এর তথ্য বের করতে হলো। অন্যদিন আশীষের অফিসে বসি তবে আজকে কাজের জন্য ক্লায়েন্টের দোকানেই বসতে হলো, বসার জায়গার অভাব একটা উঁচু জায়গায় পা গুটিয়ে গুছিয়ে বসলাম। কাজের এতোটাই মগ্ন ছিলাম ক্লায়েন্ট কখন চা দিয়ে মনেই নেই। প্রথম বারের চা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় আবার ভাঁড়ে চা এনে দিলো। কাজের মাঝে চা ব্রেকটা খুবই রিফ্রেসিং লাগে। অল্প মোবাইল ঘাটার সুযোগ পাওয়া যায়। 😛
কাজ শেষ করে আজকে একটু আগেই বেরোলাম। আমি কলকাতার বাইরে কাজে গিয়েছিলাম তখন খুব বৃষ্টি হয়েছে তাঁতে জ্যাম হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। যা ভাবা তাই হলো, শুধুমাত্র বাস পেয়ে ৮-১০ মিনিটের রাস্তা লেগে গেলো আধ ঘন্টা। ৪৫ মিনিটের রাস্তা শেষে বাড়ি ঢুকতে লেগে গেলো প্রায় ৯৫ মিনিট। বাড়ির রাস্তায় বাস ঢুকলে দেখি রাস্তার উপরে ড্রেনের জল উপচে পড়েছে।
আপনার এই দিনটিতে অনেক ব্যাস্ত সময় কাটিয়েছেন ভাই। আর রাস্তায় শুধু জ্যাম সব জায়গায় একেই অবস্থা, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনটির মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইলো
সাধারণত জ্যাম অল্পই থাকে তবে আজকে বৃষ্টির কারণে একটু বেশিই ছিল। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
নবনিতা খুব লাকি কিন্তু মানে আজকালকার চিন্তা ভাবনা হচ্ছে আমি কি তার চাকর যে তার কাজ করবো!
এই চিন্তাভাবনার বাইরে কাওকে দেখলে খুব খুব শান্তি লাগে।
আচ্ছা এই ঘুগনিটা কি?
চাকর হবার কিছু নেই, দুজন দুজনের পরিপূরক হওয়াটাই লক্ষ্য।
গোটা মটর দমে রান্না করে বানায়। চাইলে রেসিপি পোস্ট করতে পারি।
করবেন তাহলে। ❤️❤️❤️
১৫ মিনিট তো অনেক কম দাদা। আমাদের দেশে আধাঘন্টা লেট করা স্বাভাবিক। এবং ট্রেন লেট করলে ট্রেনে ভীড় বেশি হয় এটা আমিও অনেকবার দেখেছি। ঘুগনী টা যে খুব টেস্টি ছিল আপনার লেখা দেখেই বুঝতে পারলাম।
এইটা অনেক জায়গা হবে এটা আমি জানি দাদা। কিছু মনে কইরেন না। এটা টাইপিং মিসটেক।
১৫ মিনিট অনেক লেট, কতকিছু হয়ে যায় ১৫ মিনিটে। ঘুগনি টাS সেরা ছিলো।
মনে করার কিছুই নাই। ওটা টাইপিং মিসটেকই।