দিনপঞ্জি ১৬-ই ভাদ্র, ১৪২৮ // সবজি বাজার, কাজ আর ডিসকর্ড হ্যাংআউট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
ঘুম ভাঙ্গলো বাজার যা এই চিৎকারে। ধড়ফড় করে উঠে মুখ চোখ ধুয়ে নিলাম। অনেক বেলা হয়ে গেছে চা খাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না এদিকে বাজার যাচ্ছি একটু সময় লাগবে তাই ভাবলাম হালকা ব্রেকফাস্ট করেই যাওয়া ঠিক হবে। বাজার থেকে ফিরতে কতক্ষণ সময় লাগবে তার ঠিক নেই। ইচ্ছে হলো ডিম সিদ্ধ খাবার।
যেমন ইচ্ছে তেমন কাজ বসিয়ে দিলাম, জল গরম হতে। আমি ডিমসেদ্ধ খাচ্ছি দেখে বাড়ির সবারই ইচ্ছে জাগলো। প্রথমে দুটো ডিম দিলেও টটাটপ আরো তিনটে ডিম ছেড়ে দিতে হলো। ডিম গুলো দেবার পর এক চিমটি নুন দিয়ে দিলাম। ঘড়িতে তখন ১০:৪৪। ৮ মিনিট হতেই ওভেনের আঁচ বন্ধ করে দিলাম। গরম জল ফেলে দিয়ে ঠান্ডা জলে কিছুক্ষনের জন্য ডুবিয়ে রাখলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYhiZTrM4iMh1JgFVnsvzjy9t8svsQEcFQdCftvjCG82E/Water%20Boil.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQ4zSNa8pGfQKkRD8fkzhYpEFs4PejqMguznQeFJ3pKTS/Egg%20Boil.jpg)
কিছুটা সময় যেতে ডিমের খোসা ছাড়িয়ে দুভাগ করে নিলাম, তাতে অল্প নুন আর অল্প গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে সকালের জলখাবার তৈরী হয়ে গেলো।
ডিম খেয়েই বাজার ছুটলাম। বাজারে লোকজন নেই বললেই চলে। ফাঁকায় ফাঁকায় বেশ কিছু সবজি কেনা গেলো।
আজকের বাজার, গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, পেঁপে এইসব। আগামী ৪-৫ দিন আরামসে চলে যাবে। সামনের কয়েকদিন শুধুই সবজি খাওয়া হবে। বিগত ৩ সপ্তাহ ধরে শুধুই মাছ মাংস আর ডিম। আমিষ থেকে অবশেষে মুক্তি।
বাড়ি ফিরবো এমন সময় পিসির আবার ফোন, মুড়ি, আলু, লঙ্কা গুঁড়ো আনতে হবে। কি আর করা আবার মুদির দোকানে গেলাম। ভাগ্যিস সাথে আরেকটা ব্যাগ ছিলো। বাড়ি ফিরলাম দুটো ব্যাগ নিয়ে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2s3PepbWEnxWtdcbXEiae2et4MGuNVQuGaF8eKncKzK/Bag.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdHePjbxFZUCn6JuWqUt1jZzeSnatjruwpH7ZYZ5qt16t/Bazar.jpg)
বাড়ি ফিরেছি মাত্র ক্লাইন্টের ফোন, খুব জরুরি কাজ আজকে একবার যেতেই হবে। তাই আলসেমি করার সুযোগ ছিলো না বাড়ি ঢুকেই সোজা স্নানে চলে গেলাম। স্নান করেই খাওয়াদাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়লাম, তবে আজ কাজের জায়গায় বেশিক্ষণ সময় দিতে পারিনি। প্রয়োজনীয় সব কাজ ঝটপট করে বেরিয়ে পড়লাম।
নবনিতাদের বাড়ির যেতে হবে কয়েকটা কাজ আছে। স্টেশনে গিয়ে বিপত্তি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর ট্রেন পেলাম। পড়ন্ত বিকেলে ট্রেনে উঠলাম ওদের ওখানে ঢুকতে ঢুকতেই প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেলো। আমি পৌঁছনোর আগেই কাজ অনেকটা শেষ।
কাজ শেষ হতে রাত হয়েই গেলো। এবার বাড়ি ফেরার পালা।
বাড়ি ফেরার ট্রেনে উঠেছি আর আমাদের সপ্তাহের হ্যাংআউট একটু পরেই শুরু হলো, প্রতিদিনের মতোই আজকেও @shuvo35 দাই পরিচালনায় বেশ চলছে। দাদা হ্যাংআউট পুরো জমিয়ে দেন। প্রথম ভাগে কমিউনিটির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছিল। সেসব শেষ হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে গেলো। তারপর হ্যাংআউটের মেজাজ একটু হালকা করতে আইরিন দিদি গাইলেন আমার পরান যাহা চায়। আহা। খুব সুন্দর গাইলেন উনি। আমার কাছে এইগুলো সবচাইতে সেরা লাগে। একটা ভার্চুয়াল কমিউনিটি ধীরে ধীরে আমার বাংলা ব্লগ পরিবার হয়ে উঠছে তা সত্যিই ভালো লাগছে। এটা সম্ভব হয়েছে সমস্ত এডমিন এবং মড দাদাদের আন্তরিকতায়। প্রত্যেকটা মেম্বারের ভালোমন্দ খোঁজ-খবর রাখা। বাড়ির মতো। এইজন্যই সপ্তাহের ছটা দিন অপেক্ষা করে থাকি, কবে বৃহস্পতিবার আসবে। আমি যেখানেই থাকি না কেন চেষ্টা করি যুক্ত হবার।
হ্যাংআউট চলাকালীন যখন বাড়ি পৌঁছালাম তখন নতুন কনটেস্ট বর্তমান অথবা বিলুপ্ত প্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা চলছিল। আমাদের কমিউনিটির যা মান এই কনটেস্টে ভালো ভালো কিছু পোস্ট পাবোই এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কনটেস্টের ব্যাপারে আমার কিছু জানার ছিল সেটা বিশদে @shuvo35 বুঝিয়ে দিলেন।
সবশেষে @rme দাদা ভবিষ্যতের স্টিম আর্মি সম্পর্কে আমাদের জানালেন। আমাদেরকে একটা স্ট্রং কমিউনিটি হিসেবে স্টিমের প্রতিষ্ঠা করাই যে দাদার লক্ষ্য সেটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। চোখের সামনে একটা ভিন্নদেশের এক ভাষাভাষী মানুষের ভার্চুয়াল কমিউনিটি কিভাবে একটা যৌথ পরিবার হয়ে উঠেছ এটা আমার কাছে সত্যিই ভালোলাগার বিষয়।
আমাদের পরিবারের নতুন সদস্যদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই। একনিষ্ঠ হয়ে চলুন। নিজের লেখার মান বাড়ান। অধৈর্য্য হবেন না। নিশ্চিত হয়েই বলছি কমিউনিটি আপনাদের নিরাশ করবে না। আমার বাংলা ব্লগ আপনার স্টিমিট বেশ সুখকর করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
ডিম দিয়ে শুরুটা ভালো করেছেন, তারপর সারাদিন বেশ প্রাণবন্ত ও ব্যস্ততার সাথে কাটিয়েছেন। কিন্তু ল্যাপটপের উপরে চা বিষয়টি সুবিধার মনে হচ্ছে না। কারন আমার ভাগিনার ল্যাপটপটি নষ্ট হয়েছিলো এভাবে, হঠাৎ হাতের সাথে লেগে সেটা ল্যাপটপকে নষ্ট করে দেয়। বাকি সব ঠিকঠাক ছিলো। ধন্যবাদ।
ছবি তোলার পরেই ব্যাপারটা মাথায় এলো। সত্যিই, আমরাই ভুল গরম চা মনের ভুলে রেখে দিয়েছিলাম। সত্যিই চা একবার ছলাৎ পড়ে গেলে পুরো নষ্ট হয়ে যাবে।
ফুল প্যাকেজ দাদা। দুর্দান্ত প্রকৃতির মধ্যে দিয়ে বাজার করার চমৎকার মুহূর্ত এবং লোভনীয় খাবার। সব মিলিয়ে কন্টেন্ট টা কোয়ালিটি মাত্রা অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছো। অনেক শুভেচ্ছা দাদা
কোথায় কোয়ালিটি ভাই! রান্না করে ফাটিয়ে দিচ্ছ তুমিই। আমি চেষ্টা করছি মাত্র
অনেক সুন্দর একটি দিনলিপি উপহার দিয়েছেন আপনি।ডিম খুব পুষ্টিকর কিন্তু আমি ডিম খেতে পারি না। ডিমের ভেতরে থাকা কুসুম আমার কাছে বেশি বিরক্তিকর লাগে। উপরের সাদা অংশ খেতে পারি শুধু।
গত রাতে হ্যাং আউট অনেক সুন্দর হয়েছে অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পেরেছি।শুভ ভাইয়ের উপস্থাপনা সত্যিই খুব ভালো ছিল😍
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এতোদিন উল্টোটাই দেখেছি। সাদা খায় না, কুসুম খায়। গন্ধ লাগার ব্যাপার আছে নাকি?
ডিসকর্ড মাতিয়ে দেন উনি।
দাদা সময়টি অনেক ব্যাস্ততাই কাটিয়েছেন।তবে বাজার করা বেশ কঠিন কাজ।
কঠিন নয়। তবে দরাদরি না করে অনেকবার ঠকিয়ে নিয়েছে
এইজন্যই তো বললাম দাদা কঠিন কাজ।নাহলে তো বাজার করার মধ্যে আলাদা একটি মজা পাওয়া যায় ।বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে ভালোই লাগে।