রেসিপি : ঠেকুয়া // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago



নমস্কার,

দীপাবলির কয়েকদিন পর ছট পুজোর সমাপ্তি দিয়েই পুজোর মাসের ইতি হয়। ছট পুজো সূর্যদেব ও তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে করা হয়। উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ছট পুজো আধিক্য বেশি দেখা গেলেও, বাঙালিদের কিছু অংশেও ছট পুজো হয়। আর পুজোর সাথেই জুড়ে থাকে প্রসাদ। ছট পুজোর প্রধান প্রসাদ হলো ঠেকুয়া। ঠেকুয়া এক ধরনের শুকনো মিষ্টি। আটা, ময়দা, সুজি আর চিনি দিয়ে বানানো হয়।

আমাদের বাড়িতে ছট পুজো না হলেও দিদির দৌলতে ঠেকুয়া বানানোর প্রচলন শুরু হয়েছে। এই বছরে আমিও ঠেকুয়া বানানোয় পূর্ণ রূপে অংশগ্রহণ করেছি। উপকরণ দিদি মেপে দিলেও আমি মাখিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে গুলতি বানানো সবেতেই হাত লাগালাম। ভাজার দায়িত্বে ছিলো, গ্যাসের ওভেন আর গরম তেল😛।

বেশি কথা আর নয়, সোজা রান্নার দিকে চলে যাবো।


উপকরণ

  • ২ কাপ আটা
  • ২ কাপ ময়দা
  • ১ কাপ সুজি
  • ১.৫ কাপ চিনি
  • ২ কাপ দুধ
  • ১০ টা এলাচ
  • ২ চামচ ঘি
  • ২০০ গ্রাম বাদাম
  • ১ টা নারকেল
  • ১ চামচ বেকিং পাউডার
  • সাদা তেল


উপকরণ


রন্ধনপ্রণালী

ধাপ ১

  • প্রথমে ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে শুকনো ভাবে এলাচ ভেজে থেঁতে নিলাম।

ধাপ ২

  • দুটো কাপে দেড় কাপ চিনি ভাগ করে নিয়ে, দুধ দিয়ে দিলাম।


ধাপ ৩

  • ২ কাপ আটা, ২ কাপ ময়দা, ১ কাপ সুজি, বেকিং পাউডার আর থেঁতানো এলাচ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম।


ধাপ ৪

  • আটা, ময়দা, সুজিতে নারকেল আর দুধ চিনি দিয়ে মিশিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে মাখিয়ে ঠেকুয়ার মন্ড তৈরী করলাম।

ধাপ ৫

  • মন্ড দিয়ে ছোটো ছোটো চ্যাপ্টা গুলতি বানিয়ে নিতে হবে।


ধাপ ৬

  • এবারে কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে গরম হতে দিলাম, তারপর দু চামচ ঘি গরম তেলে দিয়ে দিলাম।

ধাপ ৭

  • আলতো ভাবে একটা একটা করে গুলতি গরম তেলে দিয়ে দিলাম। তারপর অল্প আঁচে ভাজতে শুরু করলাম।

ধাপ ৮

  • ১২ মিনিট দু দিক ভেজে নামিয়ে নিলাম। ব্যাস ঠেকুয়া তৈরী।


ঠেকুয়া



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  

সত্যি ভাইয়া নতুন একটা রেসিপি ও আপনাদের নতুন একটা ধর্মের কথা প্রথম শুনলাম আজকে। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার রেসিপিটা। প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

 3 years ago 

পুজো পার্বন একই তবে প্রসাদের ভিন্নতা থাকে। ধন্যবাদ 🤗

 3 years ago 

আপনার ঠেকুয়া রেসিপি টি খুবই ইউনিক হয়েছে । আজ আমি আপনার কাছ থেকে এই রেসিপিটি শিখে নিলাম। দারুন লেগেছে আমার কাছে রেসিপিটি ।প্রতিটি ধাপ আপনি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago (edited)

ধন্যবাদ দিদি 🤗।

বাড়িতে বানানো কুকিস বলা যায়। বানিয়ে কৌটোতে রেখে দিলে ৮-১০ দিন বেশ ভালো থেকে যায়।

 3 years ago 

আপনার ঠেকুয়া রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি খুব ভালোভাবে ধাপে ধাপে এই রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল🥰।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই 🤗

 3 years ago 

আমি এই প্রথম দেখলাম এই ঠেকুয়াটি। দেখেই তো লোভ লেগে গেলো মনে হচ্ছে খুবই মজার একটি খাবার ।কত সুন্দর ভাবে দুধ চিনি ঘি ঘি মিশিয়ে আপনি খাবারটা তৈরি করলেন আবার তেলে ভেজে নিলেন মনে হচ্ছে খেতে অসম্ভব টেস্টি ।আমি সবসময় আপনার কাছ থেকে নতুন নতুন রেসিপি শিখছি।আজও শিখে নিলাম ভবিষ্যতে কোনো একদিন অবশ্যই ট্রাই করবো। আপনার কাছ থেকে এখন একটা খেয়ে নিই দিবেন নাকি ভাই ?শুভেচ্ছা রইল।

 3 years ago 

লোভের জিনিসই দিদি, মাত্র দুদিনে ৬০ টা ঠেকুয়া শেষ 😆। আমিই ৬-৭ টা খেয়ে ফেলেছি 😁।

অবশ্যই ট্রাই করবেন 🤗

 3 years ago 

নামটা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে দৌড় দিয়েছি, যাই হোক ভালো কিছু একটা হবে এই প্রত্যাশা নিয়ে। পরে দেখলাম এখানে আটা, ময়দা সুজি সবগুলোর দারুণ উপস্থিতি রয়েছে, ব্যস বুঝা হয়ে গেলো এর স্বাদটা কতটা দারুণ হতে পারে।

সত্যি আমার কাছে বেশ আনকমন এবং ইউনিক মনে হয়েছে, এই রেসিপিটি আগে দেখি নাই। খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।

 3 years ago 

বানানো খুব একটা কঠিন না, তবে বেশ সময় সাপেক্ষ। রাত দশটায় ভাজা শুরু করা হয়েছিল শেষ ব্যাচ ভাজা শেষ হতে রাত ১১:৩০ বেজেছিলো।

বাড়ির বানানো কুকিস বলা যেতে পারে দাদা।

 3 years ago 

অসাধারণ ছিল আপনার ঠেকুয়া বানানোর পদ্ধতি। আপনি অনেক সুন্দর করে পর্যায় ক্রমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং কি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে বর্ণনাও করেছেন। দিন দিন আপনার রেসিপির এত উন্নতি দেখে অবাক হচ্ছি কারণ আপনি যে পরিমাণ রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন ভবিষ্যতে আমাদের বৌদির প্রয়োজন হবে না, হাহাহা। আমাদের সাথে এত সুন্দর ঠেকুয়া মিষ্টি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ভালোবাসা অবিরাম দাদা।

 3 years ago 

উন্নতি আর কোথায়! ভারী রান্নায় হাত দিতেই ভয় লাগে 😅। বৌদি পড়াশোনা নিয়েই থাকুক আমিই নাহয় রান্না করবো।

 3 years ago 

ঠেকুয়া প্রথমবার শুনলাম নাম। এবং এটাই স্বাভাবিক। তবে উপাদান এবং রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো খেতে এই ঠেকুয়া।
আর কত শত খাবার আছে পৃথিবীতে যেগুলো আমার দেখা বাকি।

 3 years ago 

খেতে একদম কুকিসের মতো। অবশ্যই সাইজে ছোটো ছোটো বানাতে হবে তবেই মুচমুচে হবে।

আমারও। শেখার শেষ নাই, আজীবন শিখি তাই। ধন্যবাদ ইমন 🤗

 3 years ago 

ছট পুজোর প্রধান প্রসাদ হলো ঠেকুয়া। ঠেকুয়া এক ধরনের শুকনো মিষ্টি। আটা, ময়দা, সুজি আর চিনি দিয়ে বানানো হয়

  • দাদা এগুলো নাম কোনদিন শুনি নাই এবং আজকে জানতে পারলাম এগুলোর সম্বন্ধে।আপনি এত সুন্দর ভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আমার খুবই ভাল লাগল আর আপনার রেসিপি সত্যিই একদম ইউনিক। অনেক কিছু শিখতে পারি আপনার মাধ্যমে। অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল দাদা।
 3 years ago 

এইবার তো শিখেও নিলে, মা কে সাথে নিয়ে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলো। আর সবার সাথে ভাগ করে খাও। 🤗

 3 years ago 

ঠিক বলেছেন দাদা💗💗

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার রেসিপিগুলো সবসময় একটু ইউনিক হয়। আপনার রেসিপির গুলো একেবারে আনকমন হয়। ঠেকুয়া নামটা প্রথম শুনলাম। রেসিপি পড়ে যা বুঝতে পারলাম এটি না ভাজা অবস্থাতে মনে হয় খাওয়া যায়। ভাজতেতো আরো বেশি মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

দিদি, ঠিক ধরেছেন না ভাজা অবস্থাতেই খাওয়া যায় তবে ভাজলে আর বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ 🤗

 3 years ago 

দিনকে দিন আমাদের কমিউনিটির সবাই এক একজন রন্ধন বিশারদ হয়ে যাচ্ছে। দাদা আপনাদের এত সুন্দর সুন্দর আইটেমের ভিড়ে আমরা নতুনরা তো আস্তে আস্তে চাপা পড়ে যাচ্ছি 😃😃। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

হাঃ হাঃ! আমি এখন শিক্ষানবীশ। শেখার বাকি অনেক। তবে ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য 🤗

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57621.01
ETH 3094.14
USDT 1.00
SBD 2.32