হরিনাম সংকীর্তন শুনতে... // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
পিসেমশাইয়ের গ্রামের বাড়ি আসার উদ্দেশ্য অষ্টপ্রহরে কীর্তন শোনা। যদিও আমি শহরের বাসিন্দা নই তবে গত তিন বছর ধরে কলকাতায় থাকার সুবাদে বিশেষ একটা কীর্তন কানে আসেনি তাই যখনই কীর্তন শোনার আমন্ত্রণ পেলাম, সুযোগটা হাতছাড়া করিনি। ২৫ তম বছরে পদার্পণ করা পিসেমশাইয়ের গ্রামের কীর্তনের মূল আকর্ষণ তিন দিনব্যাপী তিন ধরনের হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশন। আমদের নাম কীর্তনের দিনেই যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। বলে রাখা ভালো, নামকীর্তন হলো শ্রীকৃষ্ণের নাম গান করা, অনেকে আবার নাম সংকীর্তন বলে। নাম কীর্তনের সাথে নাচ করা অন্যতম অংশ। তাছাড়া অষ্টপ্রহরের নামকীর্তনের সাথে নানা রাগ ফুটিয়ে তোলা হয়।
মহারাণী পিসির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পিসের গ্রামের ঢোকা মাত্র কৃষ্ণ নামে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছিলো। অধীর অপেক্ষারত ছিলাম অনেকদিন পর কীর্তন শুনবো বলে, গ্রাম ঢোকা মাত্রই মন প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। সারা গ্রাম জুড়ে কৃষ্ণ নাম বাজছে। যদিও দুপুরবেলায় ঘর পৌঁছে কীর্তনের স্থানে আর যাওয়া হয়নি, ঘর থেকেই কীর্তন শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সন্ধ্যের দিকে যখন ঘুম ভাঙলো আমি বোনকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলাম কীর্তনের জায়গায়। আহা! কৃষ্ণ-রাম নামে চারিদিকটা সম্মোহিত করে দেওয়ার আবহ তৈরী করেছে!
নানান সুর ও তালে কৃষ্ণ-রাম নাম হয়ে চলছে। কীর্তনের একের পর এক তাল উঠতে থাকলো। কীর্তনের মাহাত্ম্য এতোটাই যে কোথা দিয়ে দু'ঘণ্টা বেরিয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না। কৃষ্ণ নামের সাথে প্রসাদ অন্ন গ্রহণ করার ব্যবস্থা তাই, প্রসাদ গ্রহণ করে আবার বসলাম কীর্তন শুনতে। শেষে ঠান্ডা বাড়তে থাকায় ঠাহর হলো বেশ রাত হয়েছে তাই ইচ্ছে না থাকলেও বাড়ির পথে ধরলাম।
রইলো বাংলা ব্লগের জন্য কীর্তনের কিছু অংশ।
আমার বাড়িতে রোজ সন্ধ্যাবেলায় মা টিভিতে অনেক জোরে কীর্তন চালিয়ে শোনে। অনেকটা অভ্যেস হয়ে গেছে এখন আমার। বেশ ভালো লাগে। তবে এমন নাম কীর্তনের আসরে অনেকদিন যাওয়া হয় নি দাদা। তোমার দেওয়া ভিডিও দেখে খুবই ভালো লাগলো সত্যি। আসলেই এমন শুদ্ধ একটা পরিবেশে থাকলে সময় যে কিভাবে চলে যায় একদম বোঝা যায় না। মনেও বেশ শান্তি পাওয়া যায়।
অনেকদিন পরে কীর্তন শুনলাম আর কীর্তনিয়ারা সত্যিই দারুন করছিলেন তাই সময় কোথা দিয়ে পেরিয়ে গেলো বুঝতেও পারিনি।
নমস্কার,
দাদা খুব ভালো লাগলো আমিও অনেক দিন ধরে অষ্ট প্রহর কির্তন শুনিনা কৃষ্ণ কথা শ্রবন করে ভালো লাগলো ৷
দাদা আমি একজন বাংলাদেশি আসলে আমাদের এই দিক হয় তবে সব জায়গায় তেমন একটা হয় না ৷আর দুরে হলেও আমি ও অষ্ট প্রহর শুনতে যাই ৷আর সত্যি এই কৃষ্ণ নাম কীর্তন শুনে মনের যত সকল অন্ধকার নাশ হয়ে মন ভালো হয়ে যায় ৷
ধন্যবাদ দাদা অষ্ট প্রহর কীর্তন গিয়ে আবার আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ৷
নমস্কার ভাই, তোমার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🏾
তোমরা অল্প অল্প চাঁদা তুলে নিজেদের গ্রামে করতে পারো। প্রথমেই অষ্টপ্রহর না করলেও, ধীরে ধীরে শুরু করো।
হুম দাদা এবার আমার ও আর কয়দিন
পর হরি পুজার সময় আমাদের গ্রামে চাঁদা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিছি ৷আর্শিবাদ করবেন যেন দিতে পারি