ফুড রিভিউ : দা সামোসা ল্যাবের ফুলকপির সিঙ্গাড়া ও কড়াই চিকেন সামোসা // ১০% লাজুক 🦊-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,

সিঙ্গাড়া ভালোবাসেন না এমন মানুষ হয়তো খুবই কম পাওয়া যায়। আলু, মটর কিংবা ঋতু বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন সবজি'র তরকারির পুর দেওয়া ত্রিভূজ আকৃতির এই মুচমুচে জনপ্রিয় জলখাবারটি আমাদের দেশের সর্বত্রই পাবেন। সাধারণত বিকেল বা সন্ধ্যেতে চায়ের সাথে গরম গরম সিঙ্গাড়া পরিবেশন করা হলে যে কেউই সচরাচর না করেন না। মূলত সন্ধ্যের দিকে খাওয়া হলেও আমি বহু জায়গাতে সকালের জলখাবার হিসেবেও সিঙ্গাড়া খেতে দেখেছি।

সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সিঙ্গাড়া খাবার অভিজ্ঞতা আমার হয়নি তবে আমার জেলার প্রায় সব কটি নামকরা দোকানেরই সিঙ্গাড়া আমি উদরস্ত হয়েছে। কলকাতাতেও সেটার অন্যথা হয়নি, কলকাতার যেখানেই যাই না কেন সেখানের নামকরা সিঙ্গাড়া আমার খাওয়া আবশ্যিক। বলতে পারেন সিঙ্গাড়ার সাথে আমার অল্প ভালোবাসা আছে 💕।

সিঙ্গাড়ার প্রতি সেই ভালোবাসা থেকেই আমি নতুন নতুন সিঙ্গাড়ার দোকান খুঁজতে থাকি। আজ সেরমই খুঁজতে খুঁজতে ফুড ডেলিভারি আ্যপ থেকে নতুন এক সিঙ্গাড়া দোকানের হাতের নাগালে পেলাম। দোকানটির নামটা বেশ, দা সামোসা ল্যাব। বেশ কয়েকমাস আগে কলকাতার বুকে শুধুমাত্র সিঙ্গাড়া নিয়েই তৈরী হয়েছে, দা সামোসা ল্যাবের। মেনুতে শুধুই সিঙ্গাড়া, সবমিলিয়ে ৮ ধরনের পুরের। দাম দেখে আমার চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। কোনোমতে সাহস জুগিয়ে আমি দু ধরনের সিঙ্গাড়া খাওয়া স্থির করলাম, তারপর অর্ডার দিয়ে দিলাম, ফুলকপির সিঙ্গাড়া ও কড়াই চিকেন সামোসা। দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ডেলিভারি পেলাম, প্রমান সাইজের কাগজের ব্যাগ, তাঁতে নানা কোড। কোড দিয়ে লেখা রয়েছে সিঙ্গাড়ার প্রকার ভেদ।

কাগজের ব্যাগটা ছিঁড়তেই বেরিয়ে পড়লো আরো তিনটে বাক্স, যার মধ্যে দুটিতে পেলাম সিঙ্গাড়া আর আরেকটির মধ্যে কিছু কাটলারির সাথে টক-ঝাল চাটনি ও মিষ্টি চাটনি।

দুটো ব্যাগ থেকে একটা করে ফুলকপির সিঙ্গাড়া আর কড়াই চিকেন সামোসা প্লেটে সাজিয়ে নিলাম। সাধারণ দোকানের থেকে সাইজের তিনগুন বড়ো। খানিক সময় তো তাকিয়ে তাকিয়ে কাটিয়ে দিলাম।

হুঁশ ফিরতে খাওয়া শুরু করে দিলাম। ফুলকপির সিঙ্গাড়ার মুচমুচে খোলস খুলতেই মুখে এলো ফুলকপি আর মটরশুঁটির পুর, সাথে ছিলো অল্প আলু। ফুলকপির সিঙ্গাড়ার খাওয়া শেষ করার পরে হাতে নিলাম কড়াই চিকেন সামোসা। প্রথমেই সিঙ্গাড়াটার মাঝ বরাবর ভেঙে দিলাম, সিঙ্গাড়ার খোলসটা অল্প নরম মনে হলেও ভেতরে ছিলো প্রায় ১৫০ গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা। সুসিদ্ধ আর পরিমিত মশলায় মাংসের সিঙ্গাড়াটা খুবই ভালো লাগলো।


আমার অভিমত

সাইজ আর পুরের গুণমান দেখে সিঙ্গাড়ার দামগুলো আমার সঠিকই মনে হলো। প্রতি পিস ফুলকপির সিঙ্গাড়ার দাম ছিলো ৪১ টাকা আর প্রতি পিস কড়াই চিকেন সামোসার দাম ছিলো ৬৯ টাকা। গুণমান ও স্বাদ অনুযায়ী আমার অভিজ্ঞতা দারুনই হলো। অনায়াসে ১০/১০ পাওয়ার যোগ্য।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

আমি আসলে সিঙ্গাড়ার এতো দাম শুনে অবাক হইনি। কারণ সিঙ্গারা গুলোর মধ্যে যে পরিমাণ পুর দিয়েছিল এমনকি সিঙ্গারা গুলোর সাইজ তাছাড়া এখন জিনিসপত্রের দাম অনুসারে আমার মনে হয়েছে ঠিক ছিল। কিন্তু এরকম সিঙ্গারা খাওয়ার অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি। আপনার প্রথম কথাটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগলো সত্যি এখন সিঙ্গারা পছন্দ করে না এরকম লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার সাথে ফুলকপির হলে তো আমার জন্য কথাই নেই। কারণ আমি ফুলকপি ভীষণ পছন্দ করি। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক সুন্দর একটা অনুভূতি হলো।

 2 years ago 

সাধারণ সিঙ্গাড়ার থেকে দাম অনেকটাই বেশি তবে যে পরিমানে পুর ছিলো টাকা পুরোটাই উসুল।

 2 years ago 

এত দাম একটি সিঙ্গারার, তবে সাথে সাথে অন্যান্য যাইতাম গুলো দিয়েছে সেই হিসেবে ঠিক আছে 😁। তবে দাদা বাংলাদেশে আসলে দিনাজপুরে আশিয়েন, এক টাকার সিঙ্গারা খাওয়াবো আপনাকে। দিনাজপুরের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়,এমনকি দূরদূরান্ত থেকে শুধু এই সিঙ্গারা খেতে মানুষ ভিড় জমায় সেখানে।

 2 years ago 

আচ্ছা দিনাজপুর গেলে অবশ্যই যাবো। আমাদের দেশেও কিছু কিছু জায়গায় এক টাকার সিঙ্গাড়া পাওয়া যায়, তবে ভেতরে পুর হিসেবে কিছুই থাকে না 😆।

 2 years ago 

দাদা আপনার ফুলকপির সিঙ্গাড়া এবং কড়াই চিকেন সামোসা রিভিউ পরতে গিয়ে জ্বিবে জল চলে আসলো, সামোসার ভিতরে ১৫০ গ্রামের মাং থাকবে এটা ভাবিনি, যাই হোক দাদা আপনি অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন, আজকে আমিও একটু স্পেশাল সিঙ্গারা খাইতে যাবো দাদা, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 2 years ago 

প্রচুর পরিমানে মাংসের কিমা দিয়েছিলো।

 2 years ago 

দাদা আপনার ফুলকফির সিঙ্গাড়া ও কড়াই চিকেন সামোসার রিভিউ পড়তে গিয়ে জ্বিবে জল চলে এলো।সিঙ্গারা গুলো দামি হলেও বেশ মজার মনে হচ্ছে। যাইহোক সব মিলিয়ে সুন্দর রিভিউ করেছেন।রিভিউ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাম বেশি হলেও খেতে বেশ ভালো ছিলো।

 2 years ago 

ফুলকপির চিকেন ছমুচা বাহহ দাদা বাহারি খাবার রিভিউ করেছেন এটা কখুনো খাওয়া হয়নি কারণ আমাদের এদিকে পাওয়া যায়না কলকাতা গেলে কখুনো খাওয়া হবে দারুন রিভিউ করেছেন।

 2 years ago 

ফুলকপির সিঙ্গাড়া কলকাতায় খুব জনপ্রিয়। শীত আসলেই খোঁজ শুরু হয়।

 2 years ago 

আপনার প্রত্যেকটি রেসিপি আমার খুব ভালো লেগেছে। প্রতিদিনের ন্যায় আজকের রেসিপি টা খুব সুন্দর। বিশেষ করে সমোচাটা। যাই হোক ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা দেখে। আশা করি আরও সুন্দর সুন্দর টপিকস আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।

 2 years ago 

সিঙ্গাড়া আর সামোচা একটু ভিন্ন ধরনের হয়।

Saludos Steemian, @kingporos, Tu post ha sido recompensado por @alejos7ven del Cotina Team.


Si deseas apoyar a la comunidad considera delegar Steem Power a @cotina o Votar por nuestro Witness

 2 years ago 

Gracias 🤗

 2 years ago 

এই খাবারটাকে আমরা সিঙ্গাড়া বলি। আমি এই খাবারের বিরাট ভক্ত। জীবনে প্রচুর সিঙ্গাড়া খেয়েছি। তবে কখনও কড়াই চিকেন সিঙ্গারা খাওয়া হয়নি। নামটা শুনেই খেতে ইচ্ছে করছে। কখনো যদি কলকাতায় যাওয়া হয় তাহলে আপনার কাছ থেকে এই সিঙ্গাড়ার একটা ট্রিট চাই।

 2 years ago 

আমরাও সিঙ্গাড়া বলি। হিন্দিতে সামোসা বলে।

কলকাতা আসলে একসাথে যাওয়া যাবে।

 2 years ago 

আহা মুখে পানি চলে আসলো।সিঙ্গাড়া তো আমার ও ভীষণ প্রিয়।তবে কেনো জানিনা সিঙ্গাড়া দেখলেই মটুপাতলুর মটুর কথা মনে পরে।🤪এতো বড় সাইজের একটা খেতে পারলেই হতো।

 2 years ago 

হাঃ হাঃ। মটু পাতলু।

সিঙ্গাড়া দুটো বেশ মটু ছিলো 😆

 2 years ago 

দাদা এটা কিন্তু ঠিক হল না। এই সিংগারা সামোসা দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা, কি যে করলেন দাদা কোথায় পাই এখন😰😥

আমার সব থেকে বেশি প্রিয় সিংগারা সামোসা । কোথাও গেলে সিংগারা সামোসা খাওয়া ছাড়া বাড়ি ফিরি না।
তবে এগুলোর অনেক দাম দেখছি, মজা মনে হয় অনেক বেশি।

 2 years ago 

দাম হলেও খেতে ভালোই লাগলো।

আমিও ঘুরতে গেলে চায়ের সাথে সিঙ্গাড়া খাই 😆

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56477.82
ETH 2390.38
USDT 1.00
SBD 2.33