৬-ই ভাদ্র, ১৪২৮ // ট্রিস প্ল্যানেট রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাক-কে
৬-ই ভাদ্র, ১৪২৮
নমস্কার,
গত কয়েকসপ্তাহ নবনিতার জন্য জিনিস পত্র কেনার ব্যস্ততার মধ্যে কাটার পরে আজ অবশেষে দুজনের হাতে একটু সময় পেলাম। তাই দুয়ে মিলে একটা রেস্টুরেন্টে যাওয়া হবে স্থির করা হলো। ঠিক করলো নবনিতাই। কল্যাণীর কাছে ট্রিসপ্ল্যানেট নামের একটা নতুন রেস্টুরেন্ট খুলেছে। জে আই এস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঠিক পাশেই। এক্কেবারে নতুন।
আমরা ডিনারের একটু আগেই গিয়েছিলাম। আমাকে রাতে ট্রেনে বাড়ি ফিরতে হবে। যখন ঢুকলাম পুরো রেস্টুরেন্ট টাই ফাঁকা। তবে বেশ সাজানো গোছানো। প্রাচ্যের ইজিপ্ট থিমে বানানো।
রেস্টুরেন্টে ঢুকে মনে হলো হয়তো সব কিছুরই দাম গলা কাটা হবে। তবে বেশ আশ্চর্য লাগলো মেনু দেখে, দাম তুলনামূলক বেশ কম।
স্টার্টার মেনুটা বেশ লম্বা। তবে আমার কাবাব সেকশন বেশি পছন্দ। চিকেন ট্যাংরি কাবাব অর্ডার করলাম। কিছুটা সময় বসতে হলো তারপরেই হাজির চিকেন তন্দুরি।চারটে চিকেন লেগ পিস, সাথে কিছু স্যালাড। বেশ ছোটখাটো সাইজের চারটে ঠ্যাং। মুরগি গুলো নিশ্চই অপুষ্টির স্বীকার ছিলো। 😁
খেতে মন্দ ছিলো না, তবে সাইজে আরেকটু বড়ো হলে ভালো লাগতো।
ইতোমধ্যে আমাদের মেইন কোর্সের জন্য দেখে নিলাম। নবনিতার জন্য গার্লিক নান আর আমার জন্য জিরা রাইস।
আর সাথে চিকেন টিক্কা মাসালা আর হায়দ্রাবাদী চিকেন। আমার ঝাল বেশি পছন্দ তাই হায়দ্রাবাদী চিকেন।
আহা দুইয়ের সঙ্গতে জমে গেলো।
রেস্টুরেন্টের রান্না বেশ ভালো হলেও, পরিমাণে অনেকটাই কম। আরেকটু বেশি পরিমান হলে তাহলে অন্তত রাতের খাওয়া না খেলেও হতো।
শেষ পাতে মৌরীর সংযোগটা বেশ সুন্দর। বিল মিটিয়ে মৌরীর সুগন্ধি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রেস্টুরেন্ট থেকে।
৯:১০ এ কৃষ্ণনগর লোকাল পেয়ে গেলাম। রাতের দিকের ট্রেনে এখন একটা অদ্ভুত একাকিত্ব রয়েছে। যা বলে বোঝানো সম্ভব না। মাঝে মাঝে যখন রাতে ফিরি তখন টের পাই। পারিপার্শ্বিকের নিস্তব্ধতা চিঁড়ে ট্রেন এগিয়ে চললো আমি জানলার বাইরে তাকিয়ে রইলাম ....
খাবার গুলো খুব দৃষ্টিনন্দন ছিল। আপনাদের ট্রেনে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। ভারতীয় একটা মুভি দেখছিলাম ৮ টা ৮ এর বনগাঁ লোকাল। সত্যি দাদা এই নামে কী কোনো ট্রেন আছে।
কলকাতা শহরতলীর জন্য লোকাল ট্রেন আশীর্বাদ। আর বনগাঁ লোকালে ৮:০৮ এ সত্যিই একটা ট্রেন আছে। নামটা আজগুবি না, ওটা থেকেই নিয়েছে। প্রচন্ড ভীড় হয়
জী দাদা। মুভিতেও ওইরকমই দেখাই।
খাবারের আর রেস্টুরেন্টের ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
খাবারের পরিমাণ কম ছিলো তবে খেতে ভালোই
দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন আজ।মাঝে মাঝে বাইরে মজার মজার খাবার খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।ধন্যবাদ দাদা।
সেতো একশবার। মাঝে মধ্যে বাইরে খেতেও ভালো লাগে
আপনার বাংলা তারিখ ভুল হচ্ছে। যদি আজকের তারিখ হয়।
আমরা সোমবার গিয়েছিলাম। একদিন পোস্ট না করায় আমি দুদিন পিছিয়ে গেছি। একদিন যদি বাদ দিই তাহলে ঠিক হয়ে যেতে পারে।
তাহলে ঠিক আছে, আমি ভাবলাম আজকের তারিখ।
ঠিক করার চেষ্টা করছি।
জিভের জল টপটপ করে পড়ার মত অবস্থা 😀😀,, খাবারগুলো যে কতটা তৃপ্তিভরে খেয়েছেন সেটা ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছিল। আর আপনাদের ওখানকার রেস্টুরেন্টের রান্না গুলো বেশ ভালো। যদিও বাংলাদেশ ও ভারতের রান্নার স্বাদে কিছুটা পার্থক্য পেঁয়েছি। তবে মজার ছিল সবকিছুই।
রসুনের ব্যবহারের পার্থক্য!?
এটা আসলে বলা আমার পক্ষে বেশ মুশকিল। 😀 তবে কিছু একটা হবে 🤗🤗