বর্ধমান সফর... (পর্ব ১) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
রোড ট্রিপ! অনেকদিন পর কোনো রোড ট্রিপে যাওয়ার সুযোগ হলো। পুজোর শেষে শুশুনিয়া পাহাড় থেকে ঘুরে আসবার পর থেকেই বাড়িতে আটকে পড়েছি কোথাও বিশেষ যাওয়া হয়না। আসলে যাওয়া হয়না বলাটা ভুল হবে, যতবার যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে করোনা আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাজের সূত্রে বর্ধমান যেতে হয়েছিল সেই সুবাদেই ঘুরে ফেললাম বর্ধমান শহরটা। কলকাতা থেকে বর্ধমান প্রায় দু ঘন্টার রাস্তায় তাই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিলাম।
বিবেকানন্দ সেতু পেরিয়ে জাতীয় সড়কে দিয়ে গাড়ি ছুটছে পক্ষীরাজ ঘোড়ার ন্যায়। গ্রামের পর গ্রাম পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি গন্তব্যের দিকে। পক্ষীরাজ ঘোড়া যে এদিকে ভুল পথে চলছে তখন খেয়াল করিনি। রাস্তা দেখে আমার সন্দেহ হওয়া মাত্রই গুগল ম্যাপের শরণাপন্ন হলাম।
সন্দেহ সত্যি! রাস্তা ভুলে বর্ধমানের পরিবর্তে দীঘার পথে চলেছি। ততক্ষণে বেশকিছু কিলোমিটার চলে এসেছি আবার গাড়ি ঘুরিয়ে পুনরায় বর্ধমানে দিকে যাত্রা আরম্ভ হলো। মাখনের মতন জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়ি যেন উড়তে শুরু করলো। জানলা অল্প খোলা থাকায় বাতাসের আওয়াজ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিলো।
উড়ন্ত পক্ষীরাজে বর্ধমান শহরে পৌঁছালাম। ভুল পথে কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে না গেলে আরো আগে পৌঁছে যাওয়া যেতো।
বর্ধমান শহরের ঢুকে কিছুটা দূরে এগিয়ে নজরে এলো বিজয় তোরণ।
১৯০৩ সালে বিজয় চাঁদ রোড ও গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের সংযোগস্থলে স্থাপিত বিজয় তোরণটি নির্মিত হয়েছিল তৎকালীন বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদ মহতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে। যদিও ১৯০৪ সালে লর্ড কার্জনের বর্ধমান সফরের পর এই গেটের নাম বদলে করা হয় কার্জন গেট। স্বাধীনতার পর পুনরায় নাম পরিবর্তন করে পুরোনো নামে ফিরিয়ে আনা হয়।
আজকে এপর্যন্তই, পরের পর্বে আমরা বাকি শহরটা ঘুরে দেখবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম, বিজয় তোরণ এই ছবিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে
ইতালিয়ান স্থাপত্যের উপরে বানানো হয়েছিল, এখন বেশ সুন্দর আছে।
এই ব্যাপারটি জানা ছিলোনা।
আমিও জানতাম না। লোকের মুখে মুখে কার্জন গেট কিন্তু গিয়ে দেখি বিজয় তোরণ লেখা। তারপর অল্প ইতিহাস ঘেঁটে জানতে পারলাম।
বর্ধমানের পথে পোষ্টটি সম্পর্কে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বর্ধমান কে চিনতে এবং দেখতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে তা শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল দাদা
বর্ধমান শহরের ঢোকার মুখেই বিজয় তোরণ তাই ঐখান থেকেই শুরু করলাম।
দাদা,আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে দাদা,আপনার ভিডিওটি দেখে খুবই ভাল লেগেছে। রাস্তাটা খুব নিরিবিলি চারিপাশে সবুজ আর সবুজ। দাদা,ঠিক বলেছেন এই করোনার জন্য কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করল সেই প্ল্যান নিমেষে শেষ হয়ে গিয়েছে।যাইহোক দাদা, আপনার বর্ধমান সফর করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে।কারন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ টা এখন অনেকটাই কমেছে প্রত্যেকটা দেশে। দাদা,আপনার পুরোটা পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে তবে মধ্যের কিছু লেখা পড়ে আমার খুবই হাসি পেয়েছে।বিবেকানন্দ সেতু পেরিয়ে জাতীয় সড়কে দিয়ে গাড়ি ছুটে চলছে পক্ষীরাজ ঘোড়ার মত ভালোই লেগেছে।পরে যখন পড়লাম পক্ষীরাজ ঘোড়া রাস্তা ভুলে গিয়েছে তখন খুব হাসি পেয়েছে।। পক্ষীরাজ ঘোড়া রাস্তা ভুলে যায় আগে জানতাম না😊 যাইহোক দাদা,আপনি বর্ধমান সফর করা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাস্তাটি শুধু দুপুরেই নিরিবিলি। ফেরার পথে অন্যরকম ছিলো, পুরো রাস্তা জ্যামে আটকে আটকে ফিরতে হয়েছে।
ঘোড়া রাস্তা ভুলবেই যখন ঘোড়সওয়ার ঘোড়াকে ভুল পথে নিয়ে যাবে। 😂