মহারাণী পিসির বাড়িতে // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,

সইফের বৌভাত থেকে আসার পর থেকে মন বলছিলো আবার হয়তো কাছে পিঠে হলেও কোথাও ঘুরতে যাওয়া হতে পারে। সেটা মিলেও গেলো, যখন পিসেমশাইয়ের গ্রামের বাড়ি থেকে কীর্তন শুনতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলাম। কীর্তন শনিবারের দিন হওয়ায় আমার যাওয়ার জন্য কোনো বাধাই ছিলো না তাছাড়া অনেকদিন কীর্তন শুনিনি তাই আমি সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।

সকাল সকাল কলকাতা থেকে বেরিয়ে পড়া হলেও মূল গন্তব্যে যাওয়ার আগে আরেকটি জায়গাতে ঢুঁ মেরে নিয়েছিলাম, মহারাণী পিসির বাড়িতে। মহারাণী পিসি, চলো, চলো, আমার বাড়ি চলো, আমার ছেলে খুব ভালো মাংস রাঁধতে পারে বলে অনেকদিন প্রলোভন দেখালেও আমাদের কারোরই সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

পিসেমশাইয়ের বাড়ির পথেই মহারাণী পিসির বাড়ি তাই কলকাতা থেকে রওনা হয়ে প্রথমে মহারাণী পিসির বাড়িতেই যাওয়া হলো। নতুন পাকা ঘর, মেঝে প্লাস্টার হয়নি। বাড়ির সামনেই পুকুর। ছিমছাম গ্রামের বাড়ি যেমনটি হয় আরকি।

ঠাকুরমাকে পেয়ে মহারাণী পিসির নাতি-নাতনি গুলো যারপরনাই হুটোপাটি শুরু করে দিলো। যদিও আমার কাছে ডাকলেই বাচ্চাগুলো পালিয়ে পালিয়ে যায়! চমশা পড়ি বলেই হয়তো ভয় পেয়েছিলো ওরা।

কিছুক্ষণ ঘরে বসতে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা শুরু হলো। খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রচুর ব্যবস্থা ছিলো। ভাতের সাথে ডাল, আলুভাজা, খাসির মাংস, মুরগির মাংস আর স্যালাড।

ব্যবস্থা দেখে তো আমি বেশ অবাক হলাম। আজকাল অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী আত্মীয়দের বাড়িতে গেলে যেখানে এক কাপ চা জোটেনা সেখানে এই মানুষ গুলো তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী কতোকিছুর আয়োজন করেছেন। জিন্সের প্যান্ট পড়ে মেঝেতে বসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আর যেন উঠতে ইচ্ছে করছিলো না। নিজেকে অজগর সাপের মতো মনে হচ্ছিলো, তাই কোনোরকমে হাত ধুঁয়ে কিছুটা সময় শীতল মাটিতেই বসে বিশ্রাম করে মহারাণী পিসিদের বিদায় জানিয়ে পিসেমশাইয়ের গ্রামের দিকে রওনা দিলাম।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনার পিসির নামটা কিন্তু আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, মহা রানি!!!! আজকাল এ ধরনের নাম আর তেমন কাউকে রাখতে দেখিনা। মাসি-পিসি থাকলে কতইনা সুবিধা। বেড়ানো যায় আবার পেট পুরে খাওয়া দাওয়াও হয়। তবে জিন্সের প্যান্ট পড়ে মাটিতে বসে খাওয়া কিন্তু সত্যিই কষ্টের।

 2 years ago 

আমার পিসির বাড়িতে উনি হাতে হাতে করে দেওয়ার জন্য থাকেন তার বাড়িতেই যাওয়া হয়েছিল। উনি যা আপ্যায়ন করলেই টা নিজের আত্মীয়রাই করে না।

 2 years ago 

দাদা,পিসির বাড়িতে বেড়ানোর মুহূর্তের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে আপনার পুরো পোস্টটা পড়ে। আপনার পিসির বাড়ি বেড়ানোর আনন্দ এবং সুস্বাদু খাবারের আয়োজন এর কথা পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।আমরা সচরাচর পিসিকে ফুপু বলে থাকি। আমার ফুপুর বাড়িতে গেলে আমার ফুপু এরকম আয়োজন করতেন।তবে তখনকার সময় আর এখনকার সময়ে অনেক পার্থক্য। এখনকার সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি।যাদের মন ভালো তাদের অর্থ না থাকলেও তাদের মনটা কিন্তুু অনেক বড়। তারা চায় তাদের অতিথিকে তাদের মন মতো আপ্যায়ন করতে।যেমনটা আপনার পিসি আপনাদের জন্য করেছেন। বেশ মজা করে খেয়েছেন আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে।যাইহোক দাদা, পিসির বাড়ি বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলে চশমা পরলে অনেক বাচ্চারাই ভয় পায়।আর কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকে।আমি জানি আমি নিজেও ভুক্তভোগী। যাই হোক আপনার পিসির বাড়ির গল্প পরতে ভালোই লাগলো।আসলেই অনেক সময় কিছু কিছু মানুষের আপ্যায়ন মনে থাকার মত করে থাকে।ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

 2 years ago 

নিজেদের আত্মীয়দের থেকে বেশি আপ্যায়ন পাওয়া গেলো মহারাণী পিসির বাড়িতে।

 2 years ago 

পিসেমশাই এর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পিসির বাসায় ভালোই ভুরিভোজ করেছেন এযে দেখি এক ঢিলে দুই পাখি মারা আর কি। আসলে গ্রামের বাড়ি দৃশ্যগুলো খুব সুন্দর হয় বাড়ির সামনে পুকুর খোলা মাঠ এক কথায় অসাধারণ। আপনি পিসেমশাই এর বাড়িতে গিয়েও অনেক আনন্দ করুন এই প্রত্যাশা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আসলে পিসেমশাইদের গ্রামের ওদিক থেকে মানুষ গুলো আসেন তাঁরা খুবই আন্তরিক। মন গুলো বেশ ভালো।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74