রেসিপি : রেওয়াজি খাসির মাংস // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
ভাইফোঁটার সুপ্ত বাসনা সপ্তাহের মাঝে এসে অবশেষে পূর্ণ হলো। আলু দিয়ে রেওয়াজি খাসির মাংস। সপ্তাহের মধ্যে মাংস খাওয়াই হয়, তবে সেটা সাধারণত মুরগির মাংসেই সীমিত থাকে। ঘুম থেকে উঠে যখন শুনলাম, খাসির মাংস রান্না করতে হবে। মনটা আনন্দে মেতে উঠলো। আনন্দের মাঝে চাপা চিন্তা মনের মধ্যে কাজ করছিলো, প্রথম বারের জন্য খাসির মাংস রান্না করবো, যদি সেদ্ধ না হয়! দেশি খাসির মাংসের থেকে রেওয়াজি খাসির মাংস একটু ভিন্ন ধরনের হয়, তাই সেদ্ধ হওয়া নিয়ে চাপা চিন্তা ছিলোই। দেশি খাসির মাংসে চর্বির পরিমান অনেকটাই কম হয়, আর মাংস মোলায়েম হয়। সেখানে রেওয়াজি খাসি সাইজে অনেকটাই বড়ো, মাংস একটু ছিবড়ে ছিবড়ে। রেওয়াজি ২০-২৫ কিলো পর্যন্ত ওজনের হয়। কলকাতাতে মূলত রেওয়াজি খাসির মাংসেরই চল বেশি। ভয়ে ভয়েই রান্নার শুরু করলাম, পিসিকে কাছে বসিয়ে।
- ৮০০ গ্রাম রেওয়াজি খাসি
- ৩০০ গ্রাম আলু
- ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ
- ২৫ গ্রাম রসুন
- ২০ গ্রাম আদা
- ২ চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ২ চামচ জিরে গুঁড়ো
- ২ চামচ লঙ্কার গুঁড়ো
- তেজপাতা
- ৩ চামচ নুন
- ২০০ গ্রাম সর্ষের তেল
আগে থেকেই আদা-রসুন মিক্সারে গ্রাইন্ড করে রেখেছিলাম।
ধাপ ১
- প্রথমে একটা কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করতে দিলাম। তারপর গরম তেলে আলু দিয়ে তাতে নুন হলুদ দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ২
- আলু গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে তুলে রাখলাম।
ধাপ ৩
- কড়াইতে অবশিষ্ট তেলে প্রথমে পেঁয়াজ দিয়ে তারপর রেওয়াজি খাসির মাংস গুলো দিয়ে মাংসের উপরে নুন ছিটিয়ে দিলাম।
ধাপ ৪
- এরপর মাংসে এক এক করে হলুদ গুঁড়ো, আদা রসুনের পেস্ট আর তেজপাতা দিয়ে ভালো করে ঘেঁটে নিয়ে, আঁচটা কমিয়ে জল ছাড়ার জন্য রেখে দিলাম।
ধাপ ৫
- মাঝে মাঝে মাংস নাড়িয়ে দিতে দিতেই জল ছেড়ে দিলো। এইবারে মাংসের জলেই ফোটার জন্য ছেড়ে দিলাম।
ধাপ ৬
- কিছু সময় বাদে জল কমে এলে জিরে গুঁড়ো আর লঙ্কার গুঁড়ো মাংসে দিয়ে সেগুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ ৭
- মাংসের জল কমে গেলে এক কাপ মতো জল কড়াইতে দিয়ে দিলাম। আঁচটা আবার কমিয়ে ফুটতে রেখে দিলাম। মাঝে মাঝে শুধু খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিচ্ছিলাম। মিনিট ২০ আল্প আঁচে ফুটতেই মাংস তেল ছেড়ে দিলো, বুঝলাম কষে গেছে।
ধাপ ৮
- এই বার একটা প্রেসার কুকারে কড়াইয়ের মাংস সহ সমস্ত ঝোল কুকারে ঢেলে দেবার পরে এক কাপ জল কুকারে দিয়ে কুকারের ঢাকনাটা এঁটে দিলাম। তারপর প্রেসার কুকারে সাত খানা সিটি দিয়ে নিলাম। এবার ঢাকনা খুলে আগে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে আরো দুখানা সিটি দিলাম।
ধাপ ৯
- সিটি দেওয়া শেষ হলেই গ্যাস অফ করে মাপ মতো গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে ঝোল নাড়িয়ে দিলাম, ব্যাস আমাদের রেওয়াজি খাসির তৈরী।
৯ খানা সিটিতেই আসল কামাল হলো, মাংস বেশ নরম তুলতুলে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার সঙ্গে আজকে আমার মিলে গিয়েছে । আমিও আজকে খাসির মাংসের পোস্ট করেছি। আপনার কাছের মাংস ভিন্নরকম আমি খাসির মাংসের নাম শুনলাম। রেওয়াজি খাসির মাংস এর নাম কখনো শুনিনি। আজকে প্রথম শুনলাম। রান্না করা মাংসকে কি রেওয়াজি খাসির মাংস বলে। নাকি খাসির নাম রেওয়াজি খাসি একটু জানাবেন ভাইয়া । আর আপনার রান্নার কথা কি বলব সেটা তো কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে।
রিয়াজী খাসির মাংস রেসিপি টা আগে আমি কখনো খাইনি ।দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। 😋খেতেও মনে হয় অনেক মজা হবে । আমাদের এলাকাতে দেশী খাসির মাংস বেশি প্রচলিত। যাহোক দাদা আপনি অনেক অসাধারণ ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রেওয়াজি খাসি সাইজে অনেকটা বড়ো হয়। চর্বি বেশি হয়। ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা আপনার রেওয়াজি খাসির মাংস রেসিপি রান্না করার আগে যে ভয়টা আপনার ভিতরে কাজ করছিল আর এই ভয়টাই আপনাকে সফলতা এনে দিয়েছে। আপনার রেওয়াজি খাসির মাংসের রেসিপির কালারটা এত সুন্দর হয়েছে যা বলা বাহুল্য। সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি আপনার খাসির মাংসের রেসিপির অনুমানগুলো খুব সুন্দর করে দিয়েছেন। এবং ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে। এত সুন্দর কালার হয়েছে জিভে জল না এসে উপায় নেই দাদা। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ভয় কতোটা সফলতা এনেছে জানিনা, তবে পিসির তত্ত্বাবধানে করেছি বলেই অনায়াসে করতে পেরেছি। 😅
অনুমান টা অনেকটাই চলে এসেছে, রান্না করতে করতে বাকিটাও হয়ে যাবে। ধন্যবাদ 🤗
আপনার এই রেওয়াজি খাসির মাংস রেসিপি টা খুব সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে। আমি আগে কখনো রেওয়াজি খাসির মাংস দেখেছি বলে মনে হয় না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে একটা একটা করে প্রতিটি ধাপ আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আপনার এই রান্নাটা বাসায় তৈরি করলেই খুব সুবিধা হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
রেওয়াজি খাসি দেখেছেন হয়তো, তবে জায়গা বিশেষে নাম আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকেও 🤗
দাদা আপনার সবগুলো রেসিপি অনেক ভালো লাগে। আর বেশিরভাগ পরিস্থিতির মধ্যেই ইউনিক একটা ব্যাপার থাকে। রিয়াজী খাসির মাংস শব্দটাও আমার জন্য নতুন। কিন্তু আপনার রেসিপির প্রত্যেকটা প্রসেস অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। মাংসের কালারটা ও বেশ সুন্দর এসেছে মনে হচ্ছে খেতেও ভাল লাগবে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি। আসলে ওই লঙ্কার গুঁড়োর কামাল। 😅
খেতে খারাপ হয়নি।
রান্না করতে গিয়ে দেখছি সবকিছুই নোংরা করে ফেলেছেন। তবে রান্নাটা দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।
রেওয়াজি খাসি এটা আবার কি বুঝলাম না? ভেড়ার মাংস নাকি?
হাঃ হাঃ। কড়াই, কুকার, বাটি সব 😛।
ছাগললেরই একটা প্রজাতি, তবে দেশি খাসির তুলনায় রেওয়াজি খাসি আয়তনে বেশ বড়ো হয়।
দাদা আপনি তো মনে হচ্ছে থামবেন না। একের পর এক অসাধারণ সব রেসিপি। প্রফেশনাল রাঁধুনি হয়ে গেলেন নাকী। এবং আপনার রেসিপি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সত্যি বলছি আমি কখনো রান্না করলে আপনার রেসিপি অনুসরণ করব। রেওয়াজি খাসির মাংসটা অসাধারণ তৈরি করেছেন। অনেক দিন খাসির মাংস খাওয়া হয়নি😋।
প্রফেশনাল না হলেও নিজেরটা করে খেতে পারবো। এটাই উদ্দেশ্য ছিলো, বেঁচে থাকার জন্য একটা স্কিল জানার দরকার ছিলো।
খাওয়া যখন হয়নি, তাহলে অপেক্ষা কিসের?
🤓🤓
দাদা,পেশার কুকারে যদি মাংস রান্না করা হয় তাহলে শুদ্ধ হওয়ার ঝামেলা বা চিন্তা থাকে না।
দাদা, সত্যিই আপনি খুব যত্ন সহকারে রান্না করেন দেখে বোঝা যাচ্ছে।খাসির মাংসের তরকারি দেখে আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে।কারণ আমি খাসির মাংস প্রচন্ড রকমের পছন্দ করি।
আমাদের দেশে খাসির মাংসের প্রচুর দাম থাকায় তা খাওয়া হয় না। দাদা, খাসির মাংস রান্না প্রতিটি ধাপ বর্ণনা সহকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ দাদা, এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে 😊😊শেয়ার করেছেন
খাসির মাংস কুকারে ছাড়াও করা যায় তবে অনেক সময় লাগে। কুকারে করলে তাড়াতাড়ি সু সিদ্ধ হয়।
আমাদের এদিকেও আগুনের মতো দাম।
এমনিতেই খাসির মাংস আমার অনেক পছন্দের। তার উপর এমন রেওয়াজী খাসির মাংস হলে তো কোন কথাই নেই। অসম্ভব লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি দাদা। রেসিপির ফটোগ্রাফি থেকে ইচ্ছা করছে একটু নিয়ে টেস্ট করে দেখি। সত্যিই অনেক কষ্টকর শুধু এমন মজাদার রেসিপি গুলো দেখে কমেন্ট করে যাওয়া। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো আগেই সবটা মাংস উড়িয়ে দিলাম 😛।
ভাইয়া আপনার রেওয়াজি খাসির মাংসের রেসিপি টা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো । কালার টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে পারলে বেশ ভালো হতো। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ দিদি 🤗