রেসিপি : মটর ডালের বড়া দিয়ে থোড় // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আমিষ ছেড়ে মাঝে মধ্যে নিরামিষ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে সাধারণত শুক্রবারটা নিরামিষ খাওয়া হয়, পিসির বাড়িতেও একই নিয়ম। শুক্রবার টক বাদ, আমিষ বাদ পুরোপুরি। সপ্তাহে অন্যান্য দিন মাছ, মাংস, ডিম খাওয়াই হয় মাঝে মধ্যে নিরামিষ ভালো লাগে সাথে কিডনির জন্য খুবই ভালো। আজকে একটা নিরামিষ পদই রান্নার চেষ্টা করলাম, পদটার নাম, মটর ডালের বড়া দিয়ে থোড়। কথা না বাড়িয়ে রান্নার দিকে এগিয়ে যাবো।
- থোড়
- তেজপাতা
- ১/২ টেবিল চামুচ জিরে
- ২ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ লংকার গুঁড়ো
- নুন
- চিনি
- ১০০ গ্রাম মটর ডাল
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- থোড়টাকে সরু লম্বা লম্বা কেটে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ভেঙে দিলাম। তারপর অল্প নুন ছিটিয়ে, নুনটা মাখিয়ে রাখলাম।
ধাপ ২
- কিছু সময় পরে কাটা থোড় গুলো ভালোভাবে ধুয়ে জল ঝঝড়তে একটা ঝুড়িতে রেখে দিলাম। পাশাপাশি ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিলাম। তেল কিছুটা গরম হতেই জিরে আর তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নিলাম। সাথে থোড়টা কড়াইতে দিয়ে হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVELJdNTynd2mUExigeCp95aPbGPYjbVBjqC64C5zt2c5/PXL_20211022_084849212-01_copy_1125x809.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeha3NzUe6LFubnCm6tiDiAUSZtNXzLpbrELDtj3gV7Xy/PXL_20211022_114405690-01_copy_1209x907.jpeg)
ধাপ ৩
- মিনিট পাঁচেক রাঁধতেই থোড়ের পরিমান অনেকটা কমে গেলো।
ধাপ ৪
- থোড় একটু কমে যেতেই, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন আর অল্প চিনি দিলাম। চিনি দেয়ার ইচ্ছে ছিলোনা তবে পিসি দিতে বললো। নিরামিষ রান্নায় নাকি অল্প চিনি দিলে ভালো লাগে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcu1ABTaTUgv975fBju1ZSGiqxjXTKyxJRsntVcNiaAJZ/PXL_20211022_115040299-01_copy_1209x907.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbt7Q4bHo9JEdTucshfGQBXtXr8798rcHkdCZBFyjmeoK/PXL_20211022_115045080-01_copy_1209x907.jpeg)
ধাপ ৫
- মশলা গুলো ভালো করে মিশিয়ে ভেজে নিয়েই কড়াইতে এক কাপ জল দিয়ে ফুটতে দিলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRgVxfbYESMvmjutQ8dzCjbV6ioMY4meFh4WSSQxLjsBd/PXL_20211022_115130386-01_copy_1209x907.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZdRXvQdB1kzPo7xLLnCtP9XQ86Bk5FtFkuZZWWk8AoFY/PXL_20211022_115256305-01_copy_1209x907.jpeg)
ধাপ ৬
- থোড় ৪-৫ মিনিট কষলে তিন কাপ মতো জল কড়াইতে ঢেলে দিলাম। তারপর একটা ঢাকনা চাপা দিয়ে বেরিয়ে এলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV11qNKnNPqQ7oD9CWgbQAx9Xz3zCBgifQG5hUZKQ8KWR/PXL_20211022_115321511-01_copy_1209x907.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVJoDw21GUEPzE9JgP7ibMHBHuohQTaR3bn8TpGutB4Zz/PXL_20211022_115335098-01_copy_1174x880.jpeg)
ধাপ ৭
- বাইরে গিয়ে বসেছি এই ফাঁকে পিসি মটর ডালের ব্যাটার দিয়ে বেশ কয়েকটা বড়া বানিয়ে দিলো।
ধাপ ৮
- ঢাকনা খুলে দেখলাম ঝোল অনেকটা কমে গিয়েছে। আমি টপাটপ করে পিসির ভাজা মটর ডালের বড়া গুলো ঝোলে দিয়ে নেড়েচেড়ে দিলাম।
ধাপ ৯
- ঝোল টেনে গেলে গরম মশলার গুঁড়ো থোড়ের উপরে ছড়িয়ে দিয়ে একটা ঢাকনা চাপা দিলাম
ধাপ ১০
- মিমিট দুয়েক এইভাবে চাপা থাকার পর, আমাদের মটর ডালের বড়া দিয়ে থোড় তৈরী।
JOIN OUR DISCORD SERVER
Support @heroism Intiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
মোটর ডাল দিয়ে বড় অনেকবার খেয়েছি।কিন্তু থোড় আজকেই প্রথম বার শুনলাম।দেখেই অনে লোভ লেগে গেলো খাওয়ার জন্য।মনেই হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে।অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।
কলা গাছের কান্ড ভাই। খেয়েছ হয়তো নামটা আলাদা। ব্লগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই 🤗
থোড় খাইনা কতদিন যে। থোড় খেতে অনেক ভালো লাগে আমি জানি। তবে মটর ডাল বা কোনো ডাল দিয়ে আমি খাইনি। আমি থোড় শুধু ভাজা মতো করে খেয়েছি। নতুন একটা পদ্ধতি দেখলাম মটর ডালের বড়া দিয়ে।
থোড় ভাজা তো সেরা খেতে। থোড় জিনিসটাই ভালো। শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রেসিপিটা বেশ ভিন্ন ধরনের তবে খেতে দারুন। একদিন রান্না করে দেখো।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।থোর দিয়ে এই রেসিপি সবার কাছে অনেক জনপ্রিয় আর স্বাদ অনেক ভালো। আমাদের বাসায় এটা মাঝে মধ্যে করা হয়।খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু। দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
সবার কাছে জনপ্রিয় কিনা জানিনা তবে আমার তো বেশ লাগে। ভালো ভাবে রান্না করতে পারলে থোড় দিয়েই খেয়ে নেওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাই 🤗
মটরের ডাল দিয়ে কলার থোর রান্নার রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে দেখতে অসাধারণ লাগছে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। পুষ্টিকর ও বটে খুবই সুন্দর হয়েছে।শুভকামনা থাকল।
ডাল দিয়ে নয় ভাই, ডালের বড়া দিয়েছি। থোড় খেতেও ভালো, আবার খুবই উপকারী। ধন্যবাদ ভাই 🤗
বাহ!!! দাদা খুবই সুস্বাদু লাগছে দেখতে। এইরকম বড়া আমার খুবই প্রিয়।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
থোড় দেখতে ভালো লাগেনা তবে খেতে বেশ ভালো। শরীরের জন্যেও ভালো।
হ্যা দাদা ঠিক বলেছো
মটর ডালের সাথে কলার থোড়ের এই সুন্দর রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। কলার থোর দিয়ে আমি এর আগে অন্য একটা রেসিপি তৈরি করেছিলাম। তবে আজকে আপনার এই মটর ডালয়ের রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি পরবর্তীতে তৈরি করব।
অবশ্যই। রান্না করে দেখো, খেতে বেশ ভালোই লাগবে।
ঠিক আছে ভাইয়া কাল রান্না করবো ইনশাআল্লাহ
থোড় দেখে প্রথমে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম। পড়ে চিনতে পারলাম। এটাকে আমরা ভাদাল বলে থাকি। এটা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এবং যে রেসিপি টা তৈরি করেছেন এর আগে এইরকম রেসিপি খাওয়া হয়নি। তবে দেখতে কিন্তু অসাধারণ লাগছিল। ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
কলা গাছের কান্ড। খুবই পুষ্টিকর। দেখতে ভালো হয় নাই, তবে খেতে সেরা হয়েছে!
ভাইয়া,কলার থোড় আমি খুবই পছন্দর করি।এটি স্বাস্থ্যকর যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কলার থোড় দিয়ে মটরের ডাল রান্না করে খেয়েছি তবে মটরের বড়া দিয়ে খাওয়া হয়নি।একদিন আপনার রান্নাটা আমার ঘর রান্না করে খেয়ে দেখবো।দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ভাইয়া। কলার থোড় মোটরের বড়া রেসিপি টা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন রান্না করতে খুবই সহজ হবে। ভাইয়া, এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ
থোড় খুবই ভালো। প্রচুর ফাইবার থাকে। আমার তো বেশ ভালোই লাগলো। আপনিও বাড়িতে করে দেখুন, আশা করছি ভালোই লাগবে।
আপনার রেসিপিগুলো মাঝেমধ্যে আমার কাছে এমন লাগে যে কোনোদিন এই কোথাও দেখিনি। তার পরে আফসোস হয় যে এত মজার একটা রেসিপি কেন আমি ট্রাই করিনি। আপনাকে ভাই অনেক বেশি ধন্যবাদ আপনি অনেক অনেক গুণী একজন মানুষ কারণ এত সুন্দর সুন্দর রান্না আপনি করেন যা দেখলেই ভালো লাগে।
ট্রাই করোনি, এইবার করবে। বাড়িতে মা তো আছেই, তাঁর সাহায্য নেবে। ঝটপট রান্না শিখে যাবে। আমার ব্লগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🤗
হ্যা ভাই,চেষ্টা করবো।