কলকাতায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
২০২১ দুর্যোগের বছর। দুর্যোগ যেন শেষ হওয়ারই নাম নেয় না। বিগত তিন বছর আমি কলকাতায় কাটিয়েছি। তিনটে বর্ষা দেখেছি, তবে ২০২১ সালের মতো বৃষ্টিপাত আমার গ্রামেও দেখিনি। কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দাদের মুখে যতোটুকু শুনি, এবারের মতো নাকি বৃষ্টি তারা কুড়ি পঁচিশ বছরেও দেখেননি। পুজোর শেষদিনে বৃষ্টি দেখে অনেকেই ভেবেছিলো, এখানেই হয়তো বর্ষার শেষ। কিন্তু সে গুড়ে বালি।
জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের সাথে শীতকালেও দুর্যোগ ফিরে এলো। অত্যাধুনিক সিস্টেমের আর আবহাওয়া দপ্তরের সৌজন্যে জাওয়াদের পূর্বাভাস বেশ কয়েকদিন আগে জানা গিয়েছিলো। আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখেছিলাম ভারতের সমুদ্র উপকূল অঞ্চল বিশেষ করে উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে কয়েকদিন পূর্বেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নাম রাখা হয়েছিল জাওয়াদ। জাওয়াদ আদপে একটি আরবি শব্দ আর এই শব্দের অর্থ উদার। ঘূর্ণিঝড়ের আবার উদারতা। জাওয়াদ, নামকরণ করেছে সৌদি আরবের আবহাওয়া দপ্তর। হয়তো তাদের কামনা ছিলো, জাওয়াদ হয়েই যেন ধ্বংসাত্মক রূপ দেখায়। ঘূর্ণিঝড়ের নাম এখন আলাদা আলাদা দেশ করে থাকে। আগেরবারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছিল মায়ানমার, এইটা সৌদি আরব। নামকরণ নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করাটাই ভালো।
শনিবার বিকেল থেকে শুরু হয় টুপটাপ করে বৃষ্টিপাত হলেও সেটা সীমিত পরিমানে ছিলো। রোববারে যখন বিশেষ কাজে বেরোতেই হলো তখনো জানি না ঝড় নিজের রূপ বদলে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়েছে। রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া কমই ছিলো।
কলকাতা থেকে ৪৫ মিনিটের রাস্তা পৌঁছতে প্রায় ৭৫ মিনিট লেগে গিয়েছিল। সৌজন্যে বৃষ্টি আর গুগুল বাবা। মাঝে ফাস্ট ট্যাগ লাগাতে গিয়েও বেশ কিছু সময় চলে গিয়েছিলো।
ফাস্ট ট্যাগ ভারতের ডিজিটাইজেশনের পথে এটা আরেকটি ধাপ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই প্রত্যেকটি ন্যাশনাল হাইওয়ের টোলগুলোতে অতিরিক্ত ট্রাফিক সামলাবার জন্যই ট্যাগ চালু হয়। ফাস্ট ট্যাগ একটি বিশেষ সংখ্যক নম্বরের কোড যা আপনার গাড়ির জন্যই তৈরী হবে। শুধুমাত্র মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে রিচার্জ করে রাখতে হবে, যে মুহুর্তে ট্যাগ সহ গাড়ি কোনো টোল প্লাজা দিয়ে পেরোবে সেখানেই ডিজিটালি টাকা কেটে নেবে। টাকার লেনদেনের কোনো প্রয়োজন নেই। বৃষ্টির দিনে ফাস্ট ট্যাগের চক্করে ২০ মিনিট চলে গেলো।
অনেক ঝামেলা সহ্য করে গিয়ে খুব চটপট কাজকর্ম সেরে ফেলতে হলো। গতিবেগ বাড়া দেখেই আরো চটপট কাজ কর্ম সারা হলো। কাজ সেরে রাস্তা ধরলাম ফেরার। আবহাওয়া পূর্বাভাস আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমান বাড়বে বৈকি কমবে না। আমার চিন্তা বৃষ্টি হলেই কলকাতায় জল জমবে তারপর বাড়ি ফেরাই দুষ্কর।
বৃষ্টির পরিমানটা গঙ্গার উপর দিয়ে বিবেকানন্দ সেতুর উপর দিয়ে ফেরার সময় আরো ভালো করে বোঝা গেলো। কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতেই গঙ্গা ফুলেফেঁপে উঠেছে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে ভালো ভাবেই পড়েছে। গতকাল সারা দিন বৃষ্টি হইছে আজকেও বৃষ্টি হইছে। গতকাল রাতে রিকশা পাইনাই কাজ থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছিলো। আজকে আর বাইরে যাই নাই। সারা দিন বাসাতেই এই নিম্নচাপ কয়দিন থাকে কে জান!!!
যাই হোক দাদা, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সব জায়গাতেই বৃষ্টি। বর্ষার অনুভূতি শীতে পাচ্ছি আমরা।
ঝড় মনে হয় অন্যদিকে চলে গিয়েছিল, সম্ভবত উড়িষ্যার দিকে।সেক্ষেত্রে বেশি প্রভাব কলকাতায় পড়েনি তাইনা দাদা?আমাদের এখানে ও 2 দিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল টিপটিপ করে।নদীর জল অনেকটা বেড়ে গিয়েছে অনেকের বাড়িতে ও জল উঠে গিয়েছে ।ধন্যবাদ দাদা।
ঝড়ের প্রভাব কোথাও বিশেষ পড়েনি। ঘূর্ণিঝড়টাই নিম্নচাপ হয়ে গিয়ে বৃষ্টি হলো।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে অনেকটাই ছিল। সারা দিন বৃষ্টি ছিল এবং বাতাস ছিল। বিবেকানন্দ সেতু ওপরে আপনার ভ্রমণটা দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম। ঘূর্ণিঝড় যেন তেরে আসতে লাগছিল। আপনি নিরাপদ ভাবে বাড়ি পৌছাইছেন এটা জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হাওয়া ছিলো তবে বৃষ্টিটাই আরো মারাত্মক ছিলো। গাড়িতে গিয়েছিলাম তাই ফিরতে পেরেছি, নইলে ভেসে যেতাম।
অসময়ে বৃষ্টির কথা আর কী বলব দাদা। কাল সকাল থেকেই সারাদিন বৃষ্টি। এদিকে গতকাল আমার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে তো সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছিলাম। এবং এই বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় যানবাহনের বেশ সংকট। জাওয়াদ এর কথা আর নাই বা বললাম।
এবং বৃষ্টির মধ্যে বিবেকান্দ সেতুর দৃশ্যটা এককথায় অসাধারণ ছিল দাদা। ভিডিও টা দারুণ ধারণ করেছেন।।
ইসস রে। তাহলে তো পরীক্ষা দিতে খুব সমস্যা হলো। দুদিন সমস্যার শেষ নেই।
একেবারে 😐
এইটা মজা লাগলো খুব।
এখানেও বেশ ভালো রকমের ই বৃষ্টি হচ্ছে তবে এতোটা বেশিনা।
সেটাই! নামকরনটা আজব লেগেছে আমার। ঘূর্ণিঝড় কিভাবে উদার হতে পারে 😆
দাদা এই ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাব কয়েকটি দেশে অনেক প্রভাব ফেলছে, আমাদের দেশে ও কিছুদিন যাবৎ অনেক হারে বৃস্টি হচ্ছে আর সাথে সাথে অনেক জায়গাতেও সিগন্যাল দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে যে এই ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশে আঘাত হানতে পারেনি , সেটা হচ্ছে বড়ো কথা ,আলহামদুলিল্লাহ। সব কিছু ভালো হোক সেটাই দোয়া করি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কোথাও বিশেষ পড়েনি তবে বৃষ্টি হয়েছে খুব।
আমাদের এখানেও আজ কয়দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তবে অতটা বেশি না। এই জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশ সেইভাবে পড়েনি। বিবেকানন্দ সেতু বৃষ্টিতে ভিজে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
কলকাতায় ভালোই বৃষ্টির প্রভাব ছিলো। বৃষ্টির মধ্যে সত্যিই সুন্দর লাগছিলো।
ডিসেম্বরে ভ্রমণের জন্য আমাদের অবশ্যই একটি রেইনকোট প্রস্তুত করতে প্রস্তুত থাকতে হবে, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ