রেসিপি : বেগুন, মুলো, টমেটো ও আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ আপনাদের সামনে আমি আরো একটি নতুন ও বেশ মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকের রেসিপিটি হলো বেগুন, মুলো, টমেটো ও আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল।
শীতের কনকনে ঠান্ডার সাথে শীতের হরেক রকমের সবজি আমাদের পাওনা হয়। বেগুন নিয়ে কি বা আর বলি। ভাজা হোক ঝোল বেগুনের সব কিছুই আমার ভালো লাগে। আর বছরের নতুন মুলো ও টমেটো পেয়ে সেগুলোকেও ছাড়া যায় না। তাই সব সবজি হাতে পাওয়া মাত্র মাছের ঝোল বানিয়ে ফেললাম।
- রুই মাছ
- বেগুন
- মুলো
- আলু
- টমেটো
- পাঁচ ফোড়ন
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- প্রথমে কড়াই চাপিয়ে তাতে খানিকটা তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর রুই মাছের পিস গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করে দেবো।
ধাপ ২
- রুই মাছ গুলো ভালো মতো ভেজে নিয়ে কড়াই থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিলাম।
ধাপ ৩
- মাছ ভাজা হয়ে যাওয়ার পর কড়াইতে থাকা তেলে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে নিলাম।
ধাপ ৪
- জিরা ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে বেগুন, মুলো ও আলু গুলো কড়াইতে দিয়ে অল্প ভেজে স্বাদমতো নুন ও অর্ধেক চামচ হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করবো।
ধাপ ৫
- সবজি গুলো ভালো মতো ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৬
- সবজি ভেজে নিয়ে স্বাদমতো জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে সব কিছু কষাতে শুরু করে দেবো।
ধাপ ৭
- সবজি কষে গেলে দু কাপ জল দিয়ে ঝোল ফুটতে ছেড়ে দেবো। মিনিট পাঁচেক ঝোল ফুটিয়ে নিয়ে ভেজে রাখা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৮
- ভাজা মাছ ঝোলে দেওয়ার পর আরো মিনিট দশেক ঝোল টগবগিয়ে ফুটিয়ে নিতেই আমাদের বেগুন, মুলো, টমেটো ও আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| Join HEROISM ||
খুবই লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। আমিও সবসময় ঝোলের তরকারি এভাবেই রান্না করে থাকি। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দিদি আপনি তো এক্সপার্ট। আমি এখন শিখছি।
রুই মাছ অনেক মজার একটি মাছ।আপনি বিভিন্ন রকমের কালারফুল সবজি দিয়ে রুই মাছের রেসিপি করেছেন।রেসিপিটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আশা করি খেতে অনেক মজাদার হয়েছে দাদা।আপনার আজকের রেসিপি টা অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
দেখতে খুব একটা ভালো হয়নি তবে খেতে ভালো হয়েছিলো।
বেগুন রান্নার থেকে আমার ভাজা খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি যেভাবে বেগুন টমেটো রুই মাছের ঝোল করছেন এরকম রান্না খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমাদের মাঝে এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
আমার তো বেগুন হলেই হলো। ভাজা, ঝোল যেভাবেই হোক। হাঃ হাঃ।
ইস আপনার রান্না করার সবজিগুলো দেখে শীত শীত ভাব লাগছে। মনে হচ্ছে শীতকালীন তরকারি এখনই বুঝি আমার সামনে পরিবেশন করে রেখেছে কেউ। সকাল সকাল এত চমৎকার পোস্ট করেছেন ইচ্ছে করছে এখনই রোদে বসে আপনার সবজিগুলো দিয়ে ভাত খাই। বেগুন খুবই চমৎকার একটি সবজি আর রুই মাছ তো আমার প্রিয় মাছ। কয়েক ধরনের সবজি একসাথে করে রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা টেস্টি হয়েছে।
শীত চলে এসেছে সাথে শীতের সবজি তাই সেগুলোই পরিবেশন করে দিলাম। খিক খিক।
রান্না তো বেশ ভালই করতে পারো দাদা। শীতকালে বিভিন্ন রকম সবজি পাওয়া যায় সেসব দিয়ে তরকারি রান্না করলে খুবই ভালো লাগে। আমি এই রেসিপিটি করলে দাদা মুলো ব্যবহার করব না কারণ মুলো আমি তরকারিতে তেমন একটা খাই না। মুলো একমাত্র ভাজাই খাই।
নিজের বাঁচার তাগিদে শিখে নিয়েছি ভাই।
মুলো বদনাম আছে সেজন্যই কি তরকারিতে খাও না? 😁
হিহিহি.. হ্যাঁ দাদা🤣🤣 তাছাড়াও এর একটা গন্ধ রয়েছে যেটা তরকারিতে একটু বেশি লাগে, ভাজা খেতে সমস্যা হয় না বেশ ভালোই লাগে।
দাদা, আপনার রেসিপিটা দেখতে কিন্তু দারুণ হয়েছে। খেতে ও নিশ্চয়ই আরো বেশি মজাদার ছিল। কিন্তু আপনার রেসিপিতে তরকারির আইটেমটা ছিল বেশি যার কারণে অন্য রেসিপি থেকে আপনার রেসিপিটা ছিল অন্যরকম। আপনি রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে খুব ভালো হয়নি কিন্তু খেতে বেশ ভালোই হয়েছিলো। আমি তরকারি খেতে বেশি পছন্দ করি যে।
দাদা ,আমার সবথেকে ভালো লাগে আমাদের রান্নার সঙ্গে আপনার রান্নার পদ্ধতির মিল রয়েছে একদম।যদিও আমার মা গুঁড়ো মসলার পাশাপাশি হাতে বাটা মসলা বেশি ব্যবহার করেন।যাইহোক খুবই সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা তাছাড়া বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার এটি।কিন্তু আমার শুধু আলু ও বেগুনটাই চোখে পড়ছে রান্নার পর।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাড়িতে আগে বাটা মসলা খাওয়া হতো কিন্তু মসলা বাটতে অনেক সময় লাগে বলে গুঁড়ো মসলা দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। খিক খিক।
বাহ্ মআছের ঝোলে মুলো পড়াতে বেশ শীত শীত অনুভূতি হচ্ছে। আর আলু বেগুন তো বারো মাসের সব্জি। এমন হাল্কা পাতলা মাছের ঝোল খেয়েও তৃপ্তি। রোজের জন্য পারফেক্ট খাবার। তবে মুলো দিয়ে রান্না করলেন কিন্তু হাফিজ দা এখনো দেখলো না যে! ওনার তো মুলো প্রিয়।
মুলো আসলেই শীত মনে হয় তাইনা? আমারও তাই মনে হয়।
হাফিজ দা দেখেছেন ঠিকই।
এই প্রথম বাঙালি খাবারের অনুশীলন দেখলাম, এবং এটি খুব আকর্ষণীয় এবং আমি আশা করি যখন আমি সুযোগ পাব তখন এটি চেষ্টা করব।