দিনপঞ্জি ৯-ই ভাদ্র, ১৪২৮ // পিজ্জা, স্পেন্সার আর ডিসকর্ড হ্যাংআউট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাক-কে
নমস্কার,
সকালটা বেশ ভালো। আকাশ ঝকঝকে পরিষ্কার। পেজা তুলোর মতো মেঘ আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে মুখ চোখ ধুয়ে চা খাচ্ছি। বোন বললো সকালে আর কিছু খাস না পিজ্জা অর্ডার করেছি। সকাল বেলায় পিজ্জা! ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত তাই না?
আসলে হয়েছে কি, বোনের গত রাতে ইমার্জেন্সিতে ডিউটি ছিলো, সারারাত নাকি অনেকে পেশেন্ট এসেছে। আমি ঘুম থেকে ওঠার একটু আগেই বাড়ি ঢুকেছে। সকাল বেলায় অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না তাই পিজ্জার অর্ডার।
আমিও না করিনি 🌚। সকাল বেলায় নাহয় ৪০০ ক্যালোরি খেয়েই নিলাম। চিজ কর্ন পিজ্জা ছাড়া যায় নাকি!
খেয়ে দেয়ে বোন ঘুমোতে যাবে তার আগে বললো চল আজকে একটা সিনেমা দেখি। আমিও বললাম আজকে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন চ ওনারই মজার কিছু সিন দেখি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভানু গোয়েন্দা জহর আ়্যসিস্ট্যান্ট এর একটা ভিডিও চালিয়ে দিলাম!
এসব দেখলে হাসি কি থামিয়ে রাখা যায়! হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে গেলো।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বহু প্রতিভার অধিকারী। তাঁর সাবলীল অভিনয়, অসাধারণ কৌতুক এরম নানান প্রতিভার নিয়ে অনেক কিছুই লেখা যায়। তবে আমি আজ তাঁর অন্য একটা অজানা দিকের কথা বলতে চাই।
হয়তো অনেকেই জানেন না ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত অল্প বয়সেই তিনি ঢাকা অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেছিলেন। জড়িয়ে পড়েন সমিতির নানার কাজে। এই কারণে তাকে ৩০ দিন পুলিশের নজরদারিতে গৃহবন্দী করেও রাখা হয়। পরে তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। সর্বদা হাস্যরসিক এই মানুষটির এই দিকটা হয়তো অগোচরে থেকেই গেছে। তাই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
আরো বেশ কয়েকটা কমেডি সিন দেখে নিয়ে বোন ঘুমোতে গেলো, আমি কাজে এসে মন দিলাম। দুপুর পর্যন্ত ক্লায়েন্টদের নানান কাজে কাজেই কেটে গেলো সময়। বাড়ি থেকে কাজ করার এই এক জ্বালা যখন তখন ফোন করে কাজ করে দিতে বলে। প্রতিদিন দৌড়োদৌড়ি করে বাইরে যাওয়ার থেকে অন্তত ভালো।
দুপুরে স্নান করে খাবার পরেও কাজ করে তবেই একটু জিরোনো গেলো। তারপর স্টিমিট খুলে আমার কমেন্টের রিপ্লাই করছিলাম, কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই। এক্কেবারে সন্ধ্যের দিকে ঘুম ভাঙলো। বাজার যাওয়ার ডাকে।
ঘুম থেকে উঠে হালকা ফ্রেস হয়ে বোনকে সাথে নিয়ে বেরোলাম। ওকে বললাম তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে আজকে ডিসকর্ড হ্যাংআউট আছে ওটা মিস করা যাবেনা।
গলি থেকে বেরিয়ে সবে রাস্তায় উঠেছি, টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। বেরিয়ে পড়েছি যখন, ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে গেলাম স্পেন্সারে।
টুকটাক যা যা বাজার ছিল সব তাড়াতাড়ি করে নিয়েই স্পেন্সার থেকে বেরোবো এমন সময়ে বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি। দুমিনিট ছাদের তলায় দাঁড়াতেই হলো। বৃষ্টি যখন কমলো, বাড়ির দিকে বেরোলাম।
অর্ধেক রাস্তা এসেছি এমন সময় আবার ঝমঝমিয়ে শুরু হয়ে গেলো। স্কুটার থামিয়ে এক চায়ের দোকানে ইচ্ছাকৃতভাবেই ঠাঁই নিলাম। এই সুযোগে দুকাপ চা খাওয়াও যাবে ।
চা হাতে আমরা
চা খাওয়া শেষ করে বেশ কিছুটা পরে বৃষ্টির থামলো। থামার সাথে সাথে স্কুটারে চাপলাম। বৃষ্টির জন্য জ্যাম কাটিয়ে যখন বাড়ি পৌছালাম, তখন ৯ টা বাজতে আর ১০ মিনিট বাকি।
তড়িঘড়ি করে ভেজা জামাকাপড় বদলে ডিসকর্ড খুলে বসলাম। আর কিছুক্ষন পরেই একে একে সবাই জয়েন করলেন হ্যাংআউটে। বৃহস্পতিবার যতই ব্যস্ততা থাকুক চেষ্টা করি যাতে হ্যাংআউটে যোগ দেবার। অনেক কিছু শেখা যায়, অনেক জানা যায়। @shuvo35 দার পরিচালনায় প্রতিদিনের মতোই হ্যাং আউট জমে গেলো। @rex-sumon দাদার কোরাস গান আরো নুতন প্রানের সংযোগ করলো। তারপর @shuvo35 দা একে একে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করলো, তাতে আমার নামও আছে শুনে মনটা উৎফুল্লে ভরে উঠলো। সাথে সাথে হাত পা কাঁপতে শুরু করলো। আমার পোস্ট জুরিদের মানসম্মত হয়েছে এবং আমাকে বিজয়ীদের মধ্যে রাখা হয়েছে তাঁর পুরো কৃতিত্বই প্রাপ্তি আমার বাংলা ব্লগের এডমিন ও মডারেটরসদের। তাদের প্রতিনিয়ত গাইডেন্স আমাকে একজন ভালো ব্লগার হবার ইন্ধন জুগিয়েছে। তাঁদের কিভাবে ধন্যবাদ জানাবো তাঁর কোনো ভাষা নেই।
সকাল সকাল পিৎজা অসাধারণ। ভানু বন্দোপ্যাধায়ের অভিনয় আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আশিতে আসিও না এবং ভানু গোয়েন্দা জহর এ্যাসিটেন্ট দুটি মূভি আমার খুবই পছন্দের।
খিদের পেটে সবই অসাধারণ লাগে 😂। আশিতে আসিও না Just সেরা। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরবেই। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব উনি
হুম দাদা🙂🙂🙂
খাবার আর পরিবেশ দুইটাই অনুকূলে মনে হচ্ছে অসাধারণ একটা সময় পার করেছেন।
সত্যিই ভাই! সব মিলিয়ে দিনগুলো ভালোই কাটছে। আর শুধু করোনা পেরিয়ে গেলেই সবচেয়ে ভালো হবে
আপনি খুব খারাপ :(
এখন যে আমার পিজ্জা খেতে ইচ্ছে করছে তার কি হবে!!😪😪
(মজা করলাম কিন্তু)
আহা, বৃষ্টি চা!স্বাদ তো অতুলনীয়।
আপনি অর্ডার করুন! এক দেশ হলে অনলাইন অর্ডার করেই দিতাম। অবশ্যই ক্যাশ অন ডেলিভারিতে 😁।
সবই ঠিক ছিলো শুধু প্রথম দৃশ্যটা বাদে, কারন ঐটাই মাথা নষ্ট করে দিছে, এই সব জিনিষ কি এইভাবে শেয়ার করে, হি হি হি হি
বাড়িতে একদিন হবে নাকি দাদা! একদিন বানিয়ে রেসিপি পোস্ট করেন। আমরাও অনুপ্রেরণা পাই
খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।তবে পিজ্জা দেখে কিন্তু লোভ সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে আমার।ধন্যবাদ।
পিজ্জাটা বেশ ভালো ছিলো। গরম গরম। বোনের সুবাদে
ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়
আর আমার দাদার সুবাদে।
পিজ্জা টা একদম লোভনীয় লাগছে। মাটির পাত্রের চা তো আমার খুব প্রিয়। সবমিলিয়ে দারুন লেগেছে আমার কাছে
খেতেও ভালো ছিলো। সর্বোপরি দিনটা ভালোই কেটেছে। ধন্যবাদ ভাই