রেসিপি : নিরামিষ ফুলকপি আলুর তরকারি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
পিসির বাড়িতে প্রতি শুক্রবারই নিরামিষ। শুক্রবার নিরামিষের কারনে নিত্য নতুন নিরামিষ পদ রান্না হয়, এই সপ্তাহেও তার পরিবর্তন হয় নি। বৃহস্পতিবার হ্যাং আউটে যখন ঘোষণা হলো, চলিত সপ্তাহের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিষয় বস্তু শুনে আমি বেশ খুশিই হয়েছিলাম। শীতকালীন সবজির রেসিপি। সকাল থেকেই সেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। আসলে ভেবে পাচ্ছিলাম না কোন সবজি নিয়ে রান্না করা যায়। মনে দোটানা নিয়ে ফ্রিজ খুলে ফেললাম, খুলে দেখি পাঁচখানা ফুলকপি আছে। মাথায় চট করে খেলে গেলো, ফুলকপি আলুর নিরামিষ তরকারি করলে কেমন হয়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। পিসিকে আমার ইচ্ছে বলতেই এক পায়ে রাজি হয়ে গেলো। নিরামিষ তরকারি যখন। পটাপট রান্না করে ফেললাম, ফুলকপি আলুর নিরামিষ তরকারি। আর কথা না বাড়িয়ে এগিয়ে যাবো মূল রান্নায়।
- ফুলকপি (১ কিলো গ্রাম)
- আলু (২০০ গ্রাম)
- গোটা জিরে
- ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ জিরে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ লঙ্কার গুঁড়ো
- নুন
- তেজপাতা
- সাদা তেল
ধাপ ১
- উচ্চ আঁচে ওভেন জ্বালিয়ে একটা কড়াইতে কিছুটা তেল গরম হতে দেবো।
ধাপ ২
- তেল গরম হতেই গোটা জিরে আর তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নেবো। তারপর গ্যাসের আঁচ কমিয়ে কেটে রাখা ফুলকপি আর আলু গুলো কড়াইতে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৩
- এরপর ফুলকপিতে হলুদ গুঁড়ো আর স্বাদমতো নুন দিয়ে একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দেবো।
ধাপ ৪
- কিছু সময় পরে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে ফুলকপি গুলোকে উল্টে পাল্টে ভাজলেই ফুলকপি জল ছেড়ে দেবে।
ধাপ ৫
- ফুলকপি ভালো ভাবে ভাজা হয়ে গেলে জিরে গুঁড়ো আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাজবো। মশলা ভাজা হয়ে গেলে এক কাপ জল দিয়ে ফুলকপি কষতে দেবো।
ধাপ ৬
- ফুলকপি কষে যেতেই চার কাপ জল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৭
- মিনিট দশেক হালকা আঁচে ঝোল টগবগিয়ে ফুটতে দেবো।
ধাপ ৮
- আরো মিনিট পাঁচেক আঁচ কমিয়ে ঝোল ফোটানোর পরে তেল ছেড়ে দেবে। ব্যাস, আমাদের ফুলকপি আলুর নিরামিষ তরকারি তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা নিরামিষ ফুলকপির আলুর তরকারি আপনি দারুন আবে রান্না করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি প্রায় অনেক ভালো ভালো রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেন। আজকের টাও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো সঠিকভাবে দিয়েছেন। প্রতিটা ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন
ধন্যবাদ ভাই। আপনিও বাড়িতে রান্না করে দেখতে পারেন।
শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে আমার কাছে ফুলকপি খেতে খুবই ভালো লাগে। যেটা আমার বেশি খাওয়া হয়। আপনার ফুলকপির রেসিপি দেখে লোভ জেগেছে। ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি দাদা।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
লোভ জাগলেও কিছুই করার নেই। সব শেষ 😆
😩😩
হুম, ফুলকপি আমার ভীষণ প্রিয়।আমি বেশি সময় ভাজি খাই।তবে আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল দাদা।খুবই সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা।আগে আমরাও শুক্রবার দিনটি নিরামিষ মেনে চলতাম ,এখন আর মেনে চলা হয় না।ধন্যবাদ দাদা।
ফুলকপি ভাজা আমার বেশ ভালোই লাগে। তেলের ভয়ে বেশি খাই না 😆। ধন্যবাদ রিপা 🤗
আপনাদেরই ভালো ভাইয়া একটা নির্দিষ্ট দিনে নিরামিষ খাওয়ার প্রচলন আছে। যার কারণে নিরামিষটা একটু খাওয়া হয় আমাদের এমন একটি প্রচলন থাকলে ভাল হত কারন সপ্তাহের প্রত্যেকটা দিন মাছ মাংস ছাড়া খেতে ইচ্ছা করে না আর যদি এরকম একটা দিন থাকতো তাহলে বাধ্য হয়ে হলেও নিরামিষ খেতে হতো। আপনার কপি নিরামিষ তরকারি খুব সুন্দর হয়েছে আমি এভাবে কখনো ফুল কপি আলু দিয়ে নিরামিষ রান্না করিনি।আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রিসিপি শিখতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে ধন্যবাদ।
দিদি নিয়ম তো মানুষেরই বানানো। আপনাদের ইচ্ছে হলে সপ্তাহের একদিন নিরামিষ খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো হবে।
ধন্যবাদ দিদি। 🤗
দাদা আপনি আর আপনার পিসি মিলে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রান্না করা রেসিপির ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে,খাবারটি খুব সুস্বাদু হয়েছিল।ধাপআকারে রেসিপির উপস্থাপনাও বেশ ভালো ছিল। ফুলকপির এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা,আলু, ফুলকপির নিরামিষ রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। নিরামিষ রেসিপি দাদা সত্যিই অনেক লোভনীয় লাগছে।ফুলকপি আমি এমনিতে খুবই পছন্দ করি। আর আপনি ফুলকপি,আলু এতো সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে।দাদা,সবসময় আপনার রেসিপি গুলো একদম আলাদা হয়। ফুলকপি আলু দিয়ে নিরামিষ রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা সরকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ফুলকপি আমারও বেশ পছন্দের। ধন্যবাদ দিদি 🤗।
খুব সহজে এত সুন্দর রান্না দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে,বিশেষ করে তরকারীর কালার টা লহহুব সুন্দর দাদা। এটি আমাকে অনেক সাহায্য করবে কারন আমি মেসে থাকি,সেহেতু আমার জন্য এর রেসিপি খুব উপকারী। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এইভাবে খুব কম সময়ে ফুলকপি রান্না করা যাবে। মেসে যারা থাকে তাদের জন্য খুবই ভালো।
ধন্যবাদ ভাই🤗
শীতের সকল সবজির মধ্যে ফুলকপি। আমার খুব প্রিয় একটি সবজি। এরপর আপনার এই রান্নাটি এত লোভনীয় লাগছে যে ইচ্ছে করছে এখনই আপনার রেসিপি অনুযায়ী রান্না করে ফেলি এবং আপনি রেসিপিটি যত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন ধাপে ধাপে,এটা আমার জন্য সহজ হবে যে আপনার রেসিপি অনুযায়ী রান্না করা।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর এবং লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
বিশেষ সময় লাগবেও না। চটপট রান্না হয়ে যাবে আবার খেতেও বেশ ভালো।
শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি আমার সবচাইতে প্রিয়। এবং দাদা ফুলকপি ও আলুর তরকারি রেসিপি টা দারুণ হয়েছে এককথায় অসাধারণ। অন্যসময়ে আমি নিরামিষ খুব একটা খাই না। তবে ফুলকপি বা ঢেঁড়সের নিরামিস হলে আমার না নেই।
দারুণ একটি রেসিপি ছিল। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। দারুণ ছিল রেসিপি টা।
ফুলকপি আমারও খুব পছন্দের। নিরামিষ হোক কিংবা মাছের সাথে আমি সব খেয়ে নেবো। ধন্যবাদ 🤗