আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (ফেব্রুয়ারি পর্ব)
নমস্কার,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আমি আপনাদের সামনে আজ ফেব্রুয়ারি মাসে আমার করা সব কটি রেসিপির সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হলাম।
আমার চেষ্টা থাকে প্রতি মাসে আমার রান্না করা সব কটি নতুন রেসিপি নিয়ে একটি সংগ্রহশালা বানিয়ে রাখা। রেসিপির সংগ্রহশালা বানিয়ে রাখার পেছনে মূলত দুটো প্রয়োজন বোধ করেছি। প্রথমত, রেসিপি গুলো থেকে যা কিছু নতুন শিখলাম তার সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ব্যক্ত করে সেই রান্না গুলোর পুনঃমূল্যায়ন করা। আর দ্বিতীয়ত, রেসিপি গুলোর সুনির্দিষ্ট আর্কাইভ বানিয়ে রাখা।
ফেব্রয়ারিতে আমি মোট ৪ টি রেসিপি আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম, আজ তাদের সব কটির রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।
জানুয়ারি মাসে আমার প্রথম রেসিপিটি ছিলো, বাঙালি স্টাইলে দই মাটন। মাটন শুনলেই মন খুশি হয়ে যায় তাইনা? আসলে কি অনেকদিন পর খুব খাসির মাংস রান্না করে খাওয়ার ইচ্ছে হলো। আর মনের ইচ্ছে পূরণ করতেই হয়। সেজন্য রান্না করলাম। প্রথমে কষার পরিকল্পনা থাকলেও মাংসের কষা মাঝে মধ্যে খাই তাই কষার দিকে না গিয়ে গ্রেভি বানালাম। সেই সূত্রে দই মাটন বানানো। টক দই একদিকে যেমন মাংসের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় তেমনি মাংস নরম করে। রান্না যেমন দেখতে ছিলো তেমনি স্বাদের। মুখে এখন লেগে আছে।
আমি যে দ্বিতীয় রেসিপিটি করেছিলাম সেটা ছিলো হাফ চামচ ঘী ও শীতকালীন সবজি দিয়ে চিকেন স্টু। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি টাইটেলে কেন হাফ চামচ ঘী লিখেছি, তাইতো? আসলে পুরো রান্নাটা মাত্র হাফ চামচ ঘী দিয়েই সম্পূর্ন করেছি। বলতে গেলে আমিও অবাক হয়েছিলাম যে মাত্র হাফ চামচ ঘী দিয়ে এক কিলো মুরগির মাংস আর প্রায় এক কিলো সবজি রান্না হয়েছে। তবে স্বাদে মোটেই ঘাটতি ছিল না। বরং ঘীয়ের ব্যবহারে স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিলো। রান্নার পরেই সুগন্ধে চারপাশ টা গন্ধে ম ম করছিলো। রান্নার পরেও আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে হাফ চামচ ঘী দিয়ে রান্না হলো। আসলে কি আমরা সবসময় নতুন নতুন জিনিস শিখতেই থাকি।
আমার তৃতীয় রেসিপিটি ছিলো কাঁচা কলা ও আলুর নিরামিষ কোফতা। কোফতা অনেকে নিরামিষ খান আবার অনেকে আমিষ খান। সত্যি কথা বলতে আমি নিজে কখন কোফতা আমিষ খাইনি তাই নতুন করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ইচ্ছাও ছিলো না। কাঁচ কলার তরকারি ভালোই লাগে কিন্তু সেটা মাঝে মাঝে হলে তবেই। সেই সূত্র ধরে কাঁচ কলা পেয়ে নিরামিষ কোফতার কথাই মাথায় আসে। কোফতা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বানানো কিন্তু বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। শেষের দিকে তো বিশেষ ভাবে সাবধান হতে হয় নইলে কোফতা ভেঙে যাওয়ার সুযোগ থাকে। সর্বোপরি ভালোই হয়েছিলো।
ফেব্রয়ারি মাসের আমার শেষ রেসিপিটি ছিলো, বেগুন ও আলু দিয়ে সুস্বাদু কপিলা ইলিশ। নামের সাথে ইলিশ জোড়া থাকলেই মাছের স্বাদ ভালো না হয়ে পারে। যদিও ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও স্থানীয় ভাষায় মাছটাকে আমরা কপিলা ইলিশ বলেই চিনি যার ইংরেজি নাম হেরিং। নাম যেমন তেমন স্বাদও অনেকটা ইলিশ মাছের মতো। সামুদ্রিক মাছ বলে হয়তো ইলিশের মতো স্বাদ। আর এমন সুস্বাদু মাছ বেগুন আর আলু ছাড়া কি ভাবা যায়? আহা! কি স্বাদ বলে বোঝাতে পারবো না। বারবার যেন কপিলা ইলিশ বেগুন ও আলু দিয়ে রান্নার সুযোগ পাই। খিক খিক।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি বরাবরই খুবই সুন্দর রেসিপি তৈরি করে থাকেন এবং সেই রেসিপিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি আপনার রেসিপি সংগ্রহশালা গুলো আবারো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। একসাথে আপনার সমস্ত রেসিপি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পুনরায় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রান্না শেখাও হয় আবার খাওয়াও। হাঃ হাঃ
অনেক সুন্দর পরিকল্পনা আপনার রেসিপি পোষ্টের সংগ্রহশালা পোস্ট তৈরি করার পিছনে পড়ে তো অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি ঠিক বলছেন যখন কোন পোস্ট খুঁজতে যায় কিন্তু অনেক সময় চলে যায়। যদি এভাবে আর্কাইভ আকারে রেসিপিগুলোর সংগ্রহশালা পোস্ট তৈরি করা যায় তাহলেই তো দারুন। আপনি অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করেছিলেন এবং সে রেসিপিগুলোর সংগ্রহশালা পোস্ট তৈরি করেছেন অনেক ধন্যবাদ।
রেসিপি গুলো খুঁজে পেতে খুবই সহজ হয় আরকি।
আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমি দেখেছিলাম।সব গুলা রেসিপি ছিলো মজাদার রেসিপি। আজকে এক সাথে সব গুলো রেসিপি দেখে খুবি ভালো লাগছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
নিজেকেও খেতে হয় যে তাই চেষ্টা করে চলেছি ভালো করে চলার।
আপনার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা দেখতে অনেক ভালো লাগছে। কয়েকটা রেসিপি সম্বন্ধে একসাথে জানা হয়ে গেল আমার। প্রতিটা রেসিপি অনেক চমৎকার হয়েছে দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
আসলে আমিও নতুন নতুন পদ রান্না শিখছি।
দই মটন!! না জানি কত টেস্টি 🤤। মটন শুনলেই জিভে জল চলে আসে আবার দই মটন কেমন খেতে কে জানে 🤤। তবে টক দই দিয়ে রান্না করলে মাংসের স্বাদ অনেক বেড়ে যায় বলে প্রতিবার মাখানোর সময় টকদই দিয়েই মাখি। চিকেন স্টু ও কখনও খাইনি। সব রেসিপি গুলোই দেখতে হবে মনে হচ্ছে। তবে কোফতা টা খেয়ছি খুব ভালো খেতে। আর বেগুন আলু দিয়ে কোকিলা ইলিশ ও খেয়েছি দারুণ খেতে।
দই মটন সেরা হয়েছিলো। লুচি বা নান জাতীয় কিছু হলে আরো ভালো লাগতো।
কোফতা আমারও দারুন লাগে।
আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট এর সংগ্রহশালা শেয়ার করে যান যেগুলো সত্যিই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। রেসিপি পোস্ট এর সংগ্রহশালা শেয়ার করার পাশাপাশি সুন্দর একটি মন্তব্য করে যাচ্ছেন যেটা সত্যিই অনেক বেশি প্রশংসনীয়। মজাদার এই রেসিপিগুলোর মধ্যে কাঁচা কলা ও আলোর নিরামিষ কোপ্তা এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু বলে মনে হয়েছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কাচা কলা আমারও দারুন লাগে। ভাজা খেতেও।
দাদা আপনার সংগ্রহশালা তো দেখছি খুবই সুস্বাদু খাবারের সমৃদ্ধ। গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রত্যেকটি রেসিপি আপনার দারুণ ইউনিক ছিল। একটি রেসিপিকে বাদ দিয়ে অন্য রেসিপিটিকে সেরা বলা খুবই কঠিন। বেগুন ও আলু দিয়ে রান্না করা কপিলা ইলিশের রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং মনে হচ্ছে এই রেসিপি অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল।
কপিলা ইলিশ আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।