সইফের বৌভাত (পর্ব ২) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
সইফের বৌভাতে আমার আসাটা বুধবার রাত পর্যন্তও ঠিক ছিলোনা কারণ কলকাতা থেকে সইফের বাড়ির দূরত্ব। ১৬০ কিলোমিটার ঠেঙিয়ে এসে আবার ওই দিনেই কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা ভেবেই আমার খুব ভয় লাগছিলো। যাওয়ার অনিশ্চয়তায় মধ্যেই নেমন্তন্ন রক্ষা করতে কিংবা বলা যায় খাবার-দাবারের টানেই চলে গেলাম। সইফের বাড়িতে গিয়ে মনে হলো না আসলে বড়ো ভূল করে ফেলতাম।
সইফের সাথে আমার পরিচয় বোনের বন্ধু হিসেবে কিন্তু কোনোদিনই সেঅর্থে কথা বলিনি। ২০২০ সালের দুর্গাপুজোর সময় সইফ কলকাতা এলে আমি, বোন, নবনীতার আর সইফ চারজনে চুটিয়ে কলকাতায় ঠাকুর দেখে বেরিয়েছিলাম। সে থেকেই সম্পর্ক। আদ্যোপান্তে ভালো মানুষ। বিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই চেনা মুখ! সইফের বাবা-মা। শত মানুষের ভীড়ে আমাদের প্রায় জড়িয়ে ধরে অভ্যর্থনা করলো। বোন যখন ডাক্তারি পড়ছিলো তখন থেকেই ওনাদের সাথে পরিচয়। একদম ঘরোয়া মানুষ।
বিয়ের প্যান্ডেল পাড়ার মুখ থেকে শুরু হয়ে বাড়ি পর্যন্ত চলে গিয়েছে। কাতারে কাতারে মানুষ ঢুকছে আর বেরোচ্ছে। আমাদের দেখে সইফের নির্ভেজাল ভালো মানুষের হাসিটা ফুটে উঠলো। অনেক গল্প অনেক ঠাট্টা। বিয়েতে মানুষ আসছে আর ছবি তোলার জন্য বারবার নবদম্পতিকে দাঁড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। আমাদের সাথে দু'দণ্ড কথা বলার জন্য বসতেই আবার কোনো নিমন্ত্রিত আসতেই ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। দেড় হাজার মানুষ নিমন্ত্রিত।
সুযোগ পেলেই নানা গল্প! কাছের মানুষ পেলে সময়টা যে কোথা দিয়ে কেটে যায় সেটা আজকে আরো বেশি করে বুঝতে পারলাম। কাকু খেতে যাওয়ার অনুরোধ করতে ঘড়ির দিকে চোখ পড়লো। দুপুর সাড়ে তিনটে বাজে। গল্প করতে করতে কোথা দিয়ে দু ঘণ্টা পেরিয়ে গেলো আমরা ঠিক বুঝতেও পারি নি।
কাকুর অনুরোধে গল্প ছেড়ে খাওয়ার প্যান্ডেলের দিকে পা বাড়াতেই খিদে অনুভূত হলো। পেটে তখন ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। খিদের জ্বালায় প্রথমদিকে কচুরি কিংবা ভাত, খাসির মাংস কোনো কিছুর ছবি তোলার কথা মাথায় ছিলনা তবে শেষপাতে চাটনি পাপড় আর তিন ধরনের মিষ্টি ছবি তুলতে ভুলিনি। 😛
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফিরে নবদম্পতির সাথে গল্প শুরু করেছি মাত্র সইফের মা পিসি আর পিসেমশাইয়ের জন্য গুচ্ছের খাবার প্যাকেটে করে হাতে ধরিয়ে দিলেন। আমি হতবাক! শত ব্যস্ততার মাঝেও বাড়ির কথা মনে রেখেছে। আসলে বর্তমান সময়ে এরকম মানুষ খুবই কম দেখি। সইফ যে ওর বাবা-মা এরই সমস্ত ভালো গুন গুলো পেয়েছে সেটা বুঝতে দেরী হলো না।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPSAb1LHueubMb5knDJpm6adKaDWE4mq8kWgQdWpqy282/IMG-20220218-WA0001.jpeg)
আমরা খানিকটা সময় আরাম করে সইফদের বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কলকাতার উদ্দেশ্যে। আমি আশা করিনি এতোটা ভালো সময় কাটবে। আশীর্বাদ করি সইফের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। দুজনের আগামী দিন গুলো ভালো কাটুক।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দোয়া করি নব দম্পতি যেনো সারাটি জীবনে সুখে আর শান্তিতে কাটাতে পারে।আর দোয়া করি যে এ পোস্ট করেছে তার ও এ সুদিন যেনো খুব তাড়াতাড়ি আসে।🤪😁😉😉
কমেন্টকারীর মুখে ফুল চন্দন! সাথে আশীর্বাদ করছি খুব তাড়াতাড়ি তার বিয়ের নিমতন্নটা যেন পাই! 😌😆
আশা করি দাদা ভাল আছেন ?সইফের বৌভাত (পর্ব ২ দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিয়ের অনুষ্ঠানে নিশ্চয় অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।ভালো থাকবেন দাদা।
ভালোই আছি আজিম ভাই! আপনি কেমন আছেন?
আপনি ঠিক ধরেছেন, বৌভাতে খুব আনন্দ হয়েছে।
এইতো দাদা ভালো আছি।
আপনি যেন সবসময় সুস্থ থাকেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করছি।
বৌভাতের প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম। দ্বিতীয় পর্বে বর, কনে দুজনকে দেখলাম এবং তাদের জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা। তাদের এই সম্পর্কটা যেন আজীবন স্থায়ী হয় এই কামনা করি। আহারে কি খুদাই নে লেগেছিল দাদা আপনার যে সামনে খাবার পেয়ে সবকিছু ভুলে গিয়েছিলেন 😄
গল্পটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদাভাই।
দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার জন্যই খিদেটা আরো বেশি ছিলো 😆
খাবার সামনে পেয়ে সবকিছু ভুলে গিয়েছিলে দেখছি দাদা! ভাল ভাল খাবারের ছবি তুলে লোভ লাগাতে পারলে না তাহলে। হিহিহিহি। নবদম্পতির জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। শুভ হোক আগামীর পথ চলা।
চোখে তখন সর্ষেফুল দেখছি তাই উদরপূর্তি করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো। 😛
দোয়া ও শুভেচ্ছা রইল নব দম্পত্তির জন্য । খুব সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । বিবাহের অনুষ্ঠান যে আনন্দ-ফুর্তি হয় এটা অনেকের কাছেই কাম্য ,আমার কাছে ও বেশ ভালো লাগে । আপনি আপনার সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন । ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
বলছি যে দাদা, পাসপোর্ট টা কিন্তু হাতে পেয়ে গেছি। অন্যের বিয়ে দেখে আর কত দিন! নিমন্ত্রণ কার্ড টা তাড়াতাড়ি রেডি করুন এবার😉
দাদা আপনার আগের পোস্টটি পড়া হয়নি তাই কোন এলাকার বিয়ে খেয়ে আসলেন বুঝতে পারলাম না। মনে হচ্ছে আগের পোস্টটি খুঁজে বের করতে হবে। আর ছবি তোলার কথা কেন যে আপনার পরে মনে পরলো। কোন এলাকার বিয়েতে কি খাওয়ানো হয় এটা জানার ব্যাপারে আমার আগ্রহ অনেক। মনে হচ্ছে বৌভাতের অনুষ্ঠানে না গেলে সত্যিই ঠকে যেতেন।
বর্ধমানে, কলকাতা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূর। খাওয়ার সময় মাঝে মধ্যে ছবি তুলতে ভুলে যাই 😆
দাদা বিয়ে বাড়ি মানে আনন্দ মজা উল্লাস। আপনি খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন বিশেষ করে নবদম্পতির জন্য রইল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। একটা বিষয় আমার খুবই ভালো লেগেছে। সইফের মা পিসি আর পিসেমশাইয়ের জন্য গুচ্ছের খাবার প্যাকেটে করে আপনার হাতে দিলেন এরকম দায়িত্বশীল মানুষদের খুবই ভালো লাগে আমার। এত ব্যস্ততার মধ্যেও যে মনে রেখেছে ধন্যবাদ জানাই তাকে।
সত্যিই! তারা খুবই আন্তরিক! সব দিক খেয়াল রেখেছিলো।
জুটিটি বেশ হয়েছে।বিশেষ করে নতুন বউ খুবই মিষ্টি দেখতে, আমার নতুন বর-বউ দেখতে খুবই ভালো লাগে ছোটবেলার অভ্যেস আরকি!দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা ভুরিভোজের মাধ্যমে।নবদম্পতি সুখে থাকুক এটাই কাম্য।
দুজনের জুটিটাই বেশ মানিয়েছে। সইফ নিজেও দেখতে দারুন।
ভুরিভোজ ভালোই হলো 😌😋