খিচুড়ি রেসিপি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
৫-ই অক্টোবর, ২০২১
নমস্কার,
সকালটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ছিলো। শীতের আমেজ চলে এসেছে, তার সাথে বাড়িতে আসার পর থেকে তিনদিন বেশ বৃষ্টি হয়েছে। মনটা তাই কয়েকদিন ধরেই খিচুড়ির জন্য খুব উশখুশ করছিলো, মাকে সেটা বলেওছিলাম। সকালে জলখাবারের পর ধীরে ধীরে কলকাতা যাবার জন্য ব্যাগ গোছাচ্ছি, মা বললো খিচুড়ি রান্না করবো কিনা। আমি শুনেই এককথায় রাজি হয়ে গেলাম। রান্না করে ফেললাম খিচুড়ি। আজকে নিজস্বী নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। রান্নার মাঝে ইলেক্ট্রিক চলে যাওয়ার নিজস্বী নেওয়ার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে যায়। খিচুড়ির সাথে ছিলো মাছ ভাজা আর আলু পটলের তরকারি।
খিচুড়ি বানানোর শুরুর প্রথমে উপকরণ গুলো দেখে নেবো।
- ৩০০ গ্রাম আতপ চাল
- ৩০০ গ্রাম মুগ ডাল
- ১ চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১/২ চামুচ গোটা জিরে
- ৪ টো শুকনো লঙ্কা
- ৩ চামুচ নুন
- ৭ টা তেজপাতা
- সর্ষের তেল
- ঘি
পাত্রে চাল ভিজিয়ে রাখলাম, পাশাপাশি আরেকটা পাত্রে ডাল সেদ্ধ হতে রাখলাম।
এই বার মূল রান্নায় চলে যাবো।
ধাপ ১
- গ্যাস ওভেনে একটা কড়াই চাপিয়ে তাতে অল্প সর্ষের তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হতেই দু চামুচ ঘি দিয়ে দিলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRE7e21D2oHa4bkarQ5XNmctJDetN9ZfTpQJAEo4CaGig/PXL_20211005_124516778_copy_1209x907.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYgJNXPEoyY3A2bSdZCx6Q3863U3eyiYjsYzqCQmrUzwp/PXL_20211005_124554373_copy_1209x907.jpg)
ধাপ ২
- কড়া থেকে ধোঁয়া বেরোতেই, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা আর তেজপাতা দিয়ে ভাজলাম।
ধাপ ৩
- চাল গুলো থেকে জল ঝরিয়ে কড়াইতে দিতে থাকলাম। এরপর ভালো করে চাল গুলো মিশিয়ে দিলাম।
ধাপ ৪
- তারপর হলুদ দিয়ে চাল আর হলুদ মিশিয়ে নিলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR5Gm11NDueM876mjNvj4KZjitUqDvdJRNBNMgo3Sq3Ny/PXL_20211005_124946482_copy_1209x907.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPQDKxFzbakCmUkyJKw8M7cdhX4AiKj784MCyR7aeof4N/PXL_20211005_125111857_copy_1209x907.jpg)
ধাপ ৫
- রান্না করার সময় ইলেক্ট্রিক টা গেলো চলে, তবুও রান্না তো চালিয়ে যেতেই হবে। গ্যাস ওভেনে হাঁড়ি তুলে জল গরম করতে দিলাম।
ধাপ ৬
- হাঁড়ির জল গরম হতেই কড়াইয়ের চালগুলো হাঁড়িতে ঢেলে দিলাম।
ধাপ ৭
- আরেকটা কড়াইতে যে ডাল সেদ্ধ হচ্ছিলো তা নামিয়ে নিলাম।
ধাপ ৮
- সেদ্ধ ডাল সবটা হাঁড়িতে ঢেলে দিয়ে, হাতা দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিলাম তারপর হাঁড়ির ঢাকনা দিয়ে দিলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXCUwnvk8LD8t7RavRdZQXaDcJLxnkkkCeKCV6k3jFu4Q/20211004_134430_HDR-01_copy_1209x907.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUHPkMP6JWtXefLsKqspUGXbhekkkSuQWNkXajnFdfRS4/PXL_20211005_130151837_copy_1209x907.jpg)
ধাপ ৯
- এবার ফুটতে দিলাম। ফোটার মাঝে মাঝে হাতা দিয়ে ঘেঁটে দিচ্ছিলাম। মিনিট ২০ ভালো ভাবে ফুটিয়ে আমাদের খিচুড়ি তৈরি হয়ে গেলো।
দাদা আপনি তো অনেক সুন্দর ভাবে খিচুরি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন।খিচুরি দেখে আমার খেতে ইচ্ছা হচ্ছে। খিচুরি আর ইলিশ ভাজি আহহ জিবে জল এলো বলে।ধন্যবাদ দাদা😍
আমিও খিচুড়ির সাথে ইলিশ খেয়েছি 😁। ধন্যবাদ ভাই 🤗
খুব সুন্দর হয়েছে খিচুড়িটি।একদম রাজকীয় বলে মনে হচ্ছে।আমি খিচুড়ি খেতে খুব ভালোবাসি তবে শীতকালে বেশি সবজির সমাহারে।ধন্যবাদ দাদা।
শীতে আরো বেশি সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায়। দারুন লাগে। 🤗
বাহ! একদম পুরো মিলে গেছে, আমিও এইভাবে খিচুড়ি রান্না করি। তবে আমি একটু পানি বেশি দেই এবং খিচুড়ি কিছুটা ভেজা ভেজা রাখি।
আপনার উপস্থাপনা ভালো ছিলো, যে কেউ সুন্দর খিচুড়ি রান্না করতে পারবে এটা ফলো করে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
একটু শুকনো শুকনো করেছি তাই জলটা কম দিয়েছি দাদা।
ধন্যবাদ দাদা 🤗
নিজে রান্না করে খাওয়ার মধ্যে আলাদা অনুভূতি কাজ করে। যাইহোক, আপনার রান্নার রেসিপি দেখে বুঝতে পারলাম ভালো রান্না করতে পারেন। আপনার পথ যাত্রা শুভ এই আশা কামনা করি।
ভালো আর কই পারি! তবে শেখার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ 🤗
আপনার খিচুড়ি রেসিপি সুন্দর ভাবে ধাপে দাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।আপনার খিচুড়ি রেসিপি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই। 🤗
ঠিকই বলেছেন দাদা,,বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে অনেক মজা লাগে। আমার মনে হয় বৃষ্টির দিন মানেই খিচুড়ি আর ডিম ভাজি খাওয়ার উপযুক্ত সময়।
খিচুড়ি আর ডিম ভাজার তুলনা হয় না। তবে টি রকম মাছ ভাজা ছিলো তাই আর ডিমের ওমলেট বানাইনি।
আসলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে খিচুড়ি রান্না সাধারণত হয়।। আমাদের এধারে পানি হলে আমার আব্বু বলে খিচুড়ি রান্না করো এবং পানির হলেও একদম মনে পড়ে খিচুড়ি রান্না। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়া আপনি আসলে অনেকে নিজের হাতে সুন্দরভাবে খিচুড়ি রান্না করেছেন। একদম পুরো আগুন এবং একটা কথা বলতে হয় মাছ ভাজা ও আলু পটলের ভাজি এটি ছিল এগুলো দেখে আরো ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপনার পরিবেশনাটি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। তা দেখার মত ছিল।
বৃষ্টি হয়েই আবহাওয়া ঠান্ডা ছিলো। তাই রান্না করেই ফেললাম। আলু পটলের রসা মা রান্না করেছিল। ধন্যবাদ ভাই 🤗
ভাইয়া একটা কাকতালীয় ব্যাপার বলি।
জানিনা বিশ্বাস করবেন কিনা।
আমি আপনার পোস্টটা পড়তে পড়তেই খিচুড়ি খেলাম।জাস্ট মাত্রই লাস্ট বাইট টা খেলাম।😂
যাক,এই রেসিপি দেখে খারাপ লাগলোনা কারণ নিজেই খাচ্ছিলাম।
হাঃ হাঃ। কাকতলীয়ই বটে।
খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দ আমার বাসায় মাঝে মাঝে মা রান্না করে খেতে দারুন লাগে। আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
আমার খুবই পছন্দের। সুপার ফুড। মা সাধারণত করে, এইবার আমি চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ লিমন 🤗