বড়ন্তি ও বিহারীনাথ পাহাড় // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
শুশুনিয়া পাহাড় বাঁকুড়া জেলাতে হলেও আমাদের কলকাতা থেকেই ঠিক করা হয়েছিল শুশুনিয়ার পাশাপাশি বড়ন্তি জলাধার এবং বিহারীনাথ মন্দির ঘুরে দেখবার। মন্দির লাগোয়া বিহারীনাথ পাহাড় বাঁকুড়া জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়।
সকাল দশটা নাগাদ হালকা জলখাবার খেয়ে সকাল দশটা নাগাদ বেরোনো হলেও, বেরিয়েই বৃষ্টি পেলাম। বৃষ্টি দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল, এইভাবে বৃষ্টি চললে ঘোরাটাই পন্ড। বড়ন্তি পৌঁছানোর অনেক আগেই বৃষ্টিটা পুরোপুরি থেমে গেলো।
বড়ন্তির রাস্তা ধরে যখন পাড়ে নামলাম। এতোটাই সুন্দর লাগছিলো যে বলার ভাষা ছিলো না। প্রকৃতি যেন ঢেলে সাজিয়েছে, কোনো কার্পণ্য করেনি।
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার সীমারেখায় বড়ন্তি জলাধার। রামচন্দ্রপুর কৃষিসেচ প্রকল্পের জলাধার হিসেবেই বড়ন্তিকে তৈরি করা হয়েছিল। মুরাদি ও বড়ন্তি এই দুই পাহাড়ের ঠিক মাঝে দু কিলোমিটার বিস্তৃত। চারিদিকে সবুজ। শাল, পলাশে ঘেরা।
শীতকালে নাকি কিছু পরিযায়ী পাখির আসে তবে শীত এখনো বাকি তাই পাখির দেখা মেলেনি। পাখি দেখতে না পাওয়ার দুঃখ অনুভব করিনি, চারপাশটা এতোটাই সুন্দর। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা প্রকৃতির রূপের খনি। পাহাড়ের মাঝে মাঝে ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম। ইচ্ছে ছিল পাড়ে বসে ছিল কিছুটা সময় কাটাই তবে বিহারীনাথ যাবার তাড়ায় উঠে পড়লাম।
পুরুলিয়া জেলা থেকে ফের বাঁকুড়া জেলায় ফেরা হলো। এবারের গন্তব্য বিহারীনাথ। বাঁকুড়া জেলার সর্বোচ্চ পাহাড় বিহারীনাথে। গ্রামের মেঠো পথ ধরে বিহারীনাথ পৌছাতে দুপুর হলো।
কাছ থেকে পাহাড়ের দেখবার আগে আমরা বিহারীনাথ মন্দির দর্শনে গেলাম। বিহারীনাথের নামেই পাহাড়ের নাম হয়েছে। আমরা যখন পৌঁছেছি মন্দির চত্বর বেশ ফাঁকা, কিছু পর্যটক এর আনাগোনা ছিল তবে আশেপাশের গ্রামের লোক তুলনামূলক কমই।
মন্দির চত্বর প্রবেশ করতেই বিহারীনাথ পাহাড় উঁকি মারছিলো। মন্দিরটা বিহারীনাথ পাহাড়ের পাদদেশে।
মন্দিরের ভিতরে বিষ্ণু, কালী, রাধাকৃষ্ণ মন্দির ছিলো। তবে আমি শ্রীবিষ্ণুর একটি অষ্টধাতুর প্রতিমা দেখে অবাক হয়ে যাই, মূর্তিটি আনুমানিক ৭০০-৮০০ বছরের তো হবেই। বাংলার মাটি খুঁড়লে এমন প্রতিমা এখন মেলে। আমাদের ঐতিহ্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVyL9xGAbrGFfd3r1fr1cRtVqgPGZCua352Q7MdkqVvE7/PXL_20211017_131410421-01_copy_1058x1411.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRUfk7VKbTNT5CFeDacpKD3whBfD6XijFuMQJxjKDD7qH/PXL_20211017_131400705-01_copy_1058x1411.jpeg)
মন্দিরেই দুপুর হয়ে গেলো, মাঝ দুপুরের গরম দেখে আর পাহাড়ের রাস্তার দূরত্ব দেখে বিহারীনাথ পাহাড়ে ওঠার পরিকল্পনা ভেস্তে গেলো। আমরা কিছুটা সময় মন্দিরের প্রাঙ্গনে বসে হোটেলের পথে রওনা দিলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
মুরাদি পাহাড় এবং বড়ন্তি জলধারার কোনো তুলনা নেই। বাহ কী অপূর্ব সৌন্দর্য। এবং বৃষ্টিতে আপনার ঘোরা পন্ড হয়ে আপনার মন খারাপ হলেও মেঘলা আকাশে পাহাড় এবং জলধারাটা কিন্তু অসাধারণ লাগছিল এটা আপনার মানতেই হবে। ভ্রমণ কাহিনি টা আমি কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে দাদা।
ঘোরা পন্ড হয়নি তো, তবে হবার চান্স ছিলো। যদি বৃষ্টি হয়ে যেতো। আকাশ মেঘলার জন্য আবহাওয়া বেশ মনোরম ছিলো।
বুঝছি।
মুরাদি পাহাড় টা দেখেই ইচ্ছে করছে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকি এই ছবিটার দিকে।
পুরো ছবিটা জুড়ে কেমন যেন একটা শান্তি শান্তি। আসলে প্রকৃত মানেই শান্তি।
দূরে বড়ন্তি পাহাড়, এপাশে মুরাদি। পর্যটক না থাকলে আরো শান্ত জায়গা হবে মনেই হচ্ছিলো।
পর্যটক না থাকলেই তাহলে ভালো। 😂
পুরো পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমার ও একদিন যেতে হবে। আমার জেলার পাশে জেলা খুব বেশি দূরে হবে না। অনেক চমৎকার মুহূর্ত কাটাচ্ছ দুর্দান্ত প্রকৃতির মাঝে। শুভেচ্ছা নিও দাদা
তুমি রাণীগঞ্জ চলে যাবে সেখান থেকে বাস পেয়ে যাবে। রাণীগঞ্জ জেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে।
ভাইয়া,আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। চারিদিকে সবুজের সমাহার দেখলে দেহ ও মন অনেক ভাল হয়ে যায়। মনে মধ্যে প্রশান্তি ভাব চলে আসে। আর পরিবারের সাথে আরো ভালো সময় কাটুক এ প্রত্যাশাই করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
দূষণহীন বাতাস আর জনবসতিহীন জায়গা। কোনো তুলনা হয় না।
ভাইয়া আপনার ভ্রমণের সাথে সাথে আমিও ভ্রমণ করছি বেশ কিছুদিন ধরে। আর ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে আজকের। মুরাদি পাহাড়ের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। দেখেই মন চাচ্ছে চলে যাই। বিহারীনাথ পাহাড়ের ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন প্রতিটি ধাপ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ দিদি। পাঠক উপভোগ করুক, এটা ভেবেই লেখার চেষ্টা করি।
আপনার সংগ্রহের ফটো গুলো সত্যি অসাধারণ। সবুজের সমাহারের পাহাড়ের দৃশ্য সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সবুজের সমাহার ছবিতে দেখেও বোঝা যাচ্ছে না। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ।
শুভ কামনা 💚
মুরাদি পাহাড় নদীর ওপারের দৃশ্য টা দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এ ধরনের দৃশ্য গুলো দেখতে কারই না ভালো লাগে।
সত্যিই ভাই। ধন্যবাদ 🤗
আসলেই দাদা রূপের খনি আর পাহাড় গুলো এত সুন্দর।আপনি এই মুহুর্তটা এত সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন আমাদের দেখে মন ভরে গেল আর আপনি ওই জায়গায় অবস্থান করছিলেন।সত্যিই এরকম মুহূর্তে থাকা ও খুবই ভালো লাগার একটি বিষয়।
ধন্যবাদ ভাই 🤗। আসলেই জায়গাটা খুব সুন্দর ছিলো।
মুরাদির পাহাড় ও বিহারীনাথ পাহাড় এর ফটো দুইটা অসাধারণ হয়েছে । যা আমার মন কেরেছে, ইচ্ছে হচ্ছে যদি যেতে পারতাম! সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই। আশে পাশে পাহাড় থাকলে ঘুরেই আসুন। ভালো লাগবে।
না ভাইয়া আমাদের এখানে কোন পাহাড় নেই নদী ও নেই আছে শুধু মাঠকে মাঠপুকুর আর ধানক্ষেত।
মন্দিরটা দেখে মনে হচ্ছে বেশ পুরনো মন্দির এটা।
আপনার ছবিগুলো খুব ভালো আসে।
অনেককিছুই জানতে পারলাম, পরিবারের ঘুরাঘুরি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে মআর পাহাড়ের ছবিগুলোতো একদম চমৎকার।
বেশ পুরোনো। মন্দিরের ইতিহাস ঘাটছি, তবে সঠিক তথ্য কোথাও পেলাম না। নইলে এই নিয়েই লেখা যেতো।