বছরের প্রথম বনভোজন // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)



নমস্কার,

নতুন বছরটা বনভোজন দিয়ে শুরু হলো। যদিও যেটা ছিলো সেটা বনভোজন কম নেমন্তন্ন বেশি বলা চলে। কারণ বনভোজন সাধারণত নিরিবিলিতে গাছগাছালির মধ্যে হয় সেখানে আমরা এক পিসির বাড়িতে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম। আদপে কয়েকদিনে কলকাতায় হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাই বাড়িতেই আয়োজন করা। করোনা দেখেই দাদার বাড়িতে বনভোজনের পরিকল্পনা করা আমাদের কাছে শ্রেয় মনে হয়েছিল।

ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকেই ফোন শুরু পিকনিকের সরঞ্জাম কেনার জন্য। ঘুমোতে রাত হওয়ার জন্য আমি তো বিছানা থেকেই নড়াচড়া করিনি শেষে বাধ্য হয়ে পিসতুতো দাদা নিজেই বাজার ঘাট করে নিয়েছে। আমি এর পুরো দোষ শীতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলাম 😛।

সকাল পৌনে আটটায় পিকনিকে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও ঠান্ডা হাওয়ার কারণে সকাল এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরোনো হলো। আসলে স্পটটা নিকটেই, ।মাত্র ৭-৮ কিলোমিটার দূরে তাই গাড়িতে চড়া মাত্রই পৌঁছে যাওয়া গেলো।

গিয়েই সকালের জল খাবার। পিকনিকের চিরাচরিত জলখাবার ছিলো, পাউরুটি, কলা আর মিষ্টি শুধুমাত্র সেদ্ধ ডিমটাই বাদ ছিলো যদিও পরে বনভোজনের পদের লিস্ট দেখে ডিমের দুঃখ ভুলে যাই। দাদার বাড়ি কলকাতার খুব কাছেই নিউটাউনে। আর নিউটাউনে আশপাশটা বেশ ফাঁকা। নতুন নতুন ফ্ল্যাটের ভীড়। পিসির বাড়ির ঠিক পাশেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজকর্ম চলছে।

দেরী করে পৌঁছানোর ফলে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই পিকনিকের খাওয়া-দাওয়ার পাট চুকে গেলো। দুপুরে ব্যবস্থা ছিলো ভাত, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, সবজি দিয়ে ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, পনিরের তরকারি ও রেওয়াজি খাসির মাংস। শেষ পাতে চাটনি, পাঁপড়, নলেন গুড়ের রসগোল্লা আর দই।

বেশ জম্পেশ খাওয়া-দাওয়া করে নিয়ে চোখ আর খুলে রাখতে পারিনি। কাঁথা মুড়ি দিয়ে দিলাম ঘুম এক ঘুমেই বিকেল সাড়ে চারটে বেজে গেলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আশেপাশ ঘুরছি, দেখি খেঁজুর গাছে হাঁড়ি লাগানো। দেখেই উৎফুল্ল হয়ে ভাবছি রস খাবো তা আর হলো না। বাড়ি যাওয়ার ডাক পড়লো।

যেভাবে ঝটিকা সফরে আসা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই ঝটিকা সফর থেকে বাড়ি ফিরে আসা হলো।



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 3 years ago 

দাদা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। বছরের প্রথম দিকেই বনভোজনের মাধ্যমে সময়টি পার করেছেন। আমরা প্রায়ই এই রকম বনভোজনের আয়োজন করে থাকি যেটা আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগে । দাদা একটু সতর্ক অবস্থায় থাকবেন করোনা মহামারী প্রায় সব জায়গাতেই বেড়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

করোনা আবার বাড়ছে সেটা মাথায় রেখেই বাইরে যাওয়ার চিন্তা ঝেড়ে ফেলে বাড়িতেই পিকনিক করা হলো। মোটেই অসাবধান হওয়া যাবে না। ধন্যবাদ ভাই 🤗

 3 years ago 

  • বিশেষ দিনে বিশেষ বনভোজন স্মৃতিপূর্ণ থাকে। প্রতি বছর এই দিনে আপনার বিশেষ দিনটির কথা মনে উঠবে। আপনার কাছ থেকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। নতুন বছরের বিশেষ দিনটির কথা আজও মনে থাকুক।
 3 years ago 

হ্যাঁ। দুটো কারণে মনে থাকবে। করোনা আর বছরের শুরুর পিকিনিক 😆।

ধন্যবাদ আপনাকে 🤗

 3 years ago 

দুপুরে ছিল ব্যবস্থা। ভাত, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, সবজি দিয়ে ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, পনিরের তরকারি ও রেওয়াজি খাসির মাংস। শেষ পাতে চাটনি, পাঁপড়, নলেন গুড়ের রসগোল্লা আর দই।

আপনাদের পিকনিকের খাবারের ব্যবস্থা অসাধারণ ছিল। রেসিপি গুলোর নাম শুনেই আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনি পিকনিকে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এমন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

লম্বা লিস্টের জন্যই পিকনিক কম নেমতন্ন বেশি মনে হয়েছে আমার 😁। ধন্যবাদ ভাই 🤗

 3 years ago 

খাবারের নাম গুলো শুনেই জিভে জল এসে গেল। নতুন বছরে এখনো আমাদের পিকনিক করা হয়নি। আপনাদের আয়োজন টি দেখে মনে হচ্ছে এখনই করে ফেলি। খুব সুন্দর হয়েছে আপনাদের পিকনিক। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।

 3 years ago 

করেই ফেলুন দাদা। তবে পদের সংখ্যা বেশি রাখবেন না।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58503.45
ETH 2594.59
USDT 1.00
SBD 2.45