পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা,

পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ১


কলেজের পাঠ চুকিয়ে রাতুল সদ্য চাকরি জীবনে ঢুকেছে, নিউটাউনেই অফিস। কোম্পানিটি ঠিক রাহুলের মতনই নতুন, মাত্র বছর তিনেক আগে পথচলা শুরু করেছে। তবে নতুন হলেও তিন বছরেই বেশ নাম ডাক করে ফেলেছে। বিশেষ করে ভালো নামী কলেজ থেকে সদ্য পাস করা ট্যালেন্টেড ছেলে মেয়েদের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে কলেজে থেকেই চাকরিতে নিয়ে নিচ্ছে। রাতুলকেও তারা সেভাবেই নিয়েছে।

ছোটবেলা থেকেই তুলনামূলক চুপচাপ থাকা রাহুল বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। আর চাকরি জীবনেও ঢোকার কয়েক মাসের মধ্যেও কর্ম জীবনেও দক্ষ হয়ে উঠেছে। কোম্পানি প্রথমে তাকে ছয়মাস শিক্ষানবিসরূপে রাখবে ঠিক করেছিল কিন্তু তার কর্মক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে তৃতীয় মাসের শেষেই রাতুলকে স্থায়ী পদে নিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

lamp-4506537_1280.jpg

কপিরাইট হীন ছবি Pixabay

রাতুলের জন্ম কলকাতার শহরতলী সোদপুরে। যদিও তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সম্পূর্ণটা কলকাতাতেই তবে তাদের গ্রামের বাড়ি এখন বিদ্যমান আছে। আদপে তার বাবা-মা কর্মসূত্রে কলকাতায় চলে আসার পরে তারা ধীরে ধীরে গ্রামের বাড়ির মায়া চুকিয়ে সম্পূর্ণরূপে কলকাতাবাসী হয়ে যায়। বাড়ির কাছেই ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক ডিগ্রি নিয়ে পাস। কলেজের ষষ্ঠ সেমেস্টারে পড়তে পড়তে চাকরিও পেয়ে যায় সে।

অফিসটা নিউটাউনের একদম শেষ প্রান্তে। এ দিকটায় জনবসতি বলতে গেলে একদমই নেই। আর সেজন্যই অফিসটা রাতুলের খুব পছন্দের জায়গা। মাঝে মধ্যে সে মনে মনে ভাবে অফিসটা তার জন্য একদম আদর্শ।

pexels-frozenmomentii-12139565.jpg

কপিরাইট হীন ছবি Pexels

আদপে চুপচাপ প্রকৃতির হওয়ায় রাতুলের বন্ধু-বান্ধব নেই বললেই চলে। স্কুল জীবনের যাদের সাথে পরিচয় ছিল তারাও ধীরে ধীরে চাকরি-বাকরির দিকে চলে যাওয়ায় তাদের সাথে বিশেষ যোগাযোগ নেই। আর কথা বলতেও কম ভালোবাসে তাই মাস পাঁচেক অফিসে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও অফিসে তার কোনো কলিগ বন্ধু হয়নি। শুরুতে তার সাথে অফিসে যারা নতুন ঢুকেছিল তারা দু একজন চেষ্টা করেছিল বটে তবে রাতুল কাজকর্ম ছাড়া কথাবার্তা বলে না দেখে তারাও রাতুলের থেকে দূরে দূরে থাকে।

চলবে...



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Sort:  
 last year 

যারা মানুষজনের সঙ্গে মিশতে পারে না তাদের কিন্তু একসময় খুব বিপদে পড়তে হয়। কারণ একা থাকতে ক্ষণিকের জন্য ভালো লাগে। কিন্তু সব সময় কি আর একা থাকতে ভালো লাগে। যাইহোক রাতুলের মনে হয় এমনই ভালো লাগে। এজন্য যে ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সেরকম কোনো বন্ধু বান্ধব হয়ে ওঠেনি। আশা করি গল্পটি বেস্ট চমৎকার হবে। ভালোই লাগছে পড়তে। ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

রাতুল এর কথা ভাবছি যে সে কি করে একা একা থাকে? আমি হলে তো দম বন্ধ হয়ে মারাই যতাম গো। আর এই নিরবতার কারনেই হয়তো সেই ছেলেবেলা হতে আজ অবদি রাতুলের কোন বন্ধু হয়নি। আসলে আমাদের সমাজের দিকে তাকালে কিন্তু এখনও অনেক রাতুল খোঁজে পাওয়া যাবে। তবে রাতুল তো ভালোই চাকুরীও পেল। আবার নিজের কর্মগুনে বেশ তাড়াতাড়ি স্থায়ীও হয়ে গেল । তেখা যাক সামনে কি হতে চলছে।

 last year 

আসলে ভাইয়া স্কুল জীবনে পড়াকালীন অটিস্টিক শিশুর গল্প পড়েছি আসলে মানুষ একা থাকতে থাকতে এক সময় অটিস্টিক মানুষের মত হয়ে পড়েছিল রাতুল। অটিস্টিক মানুষেরা একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে ঠিক তেমন রাতুল হয়ে পড়েছিল আপনার পোস্ট পড়ে যা বুঝতে পারলাম। আসলে এমনটা হওয়া উচিত নয়,বিপদে পড়লে তখন বন্ধ খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকাই উচিত।

 last year 

গল্পের শুরুটা পড়েই ভাবছি রাহুল একদম একাকী থাকতে পছন্দ করে।কোম্পানি রাহুলের কাজে মুগ্ধ হয়ে তাকে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ দিল।তবে পাঁচ মাস চাকরির পরও কারো সাথে কাজ ব্যতিরেকে বন্ধুত্ব হয়নি।যাইহোক আজকের পর্বটা পড়ে ভালো লাগলো দাদা।

 last year 

রাতুলের মতো এতো কম কথা বলা মানুষ বাস্তব জীবনেও আমি অনেক দেখেছি। এমন ছেলেরা বেশ মেধাবী হয়। তবে আমার মতে বন্ধু বান্ধব ছাড়া জীবনটা আসলেই বোরিং। যাইহোক রাতুল যেহেতু জবে ঢুকেছে, হয়তোবা অফিসে কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে ধীরে ধীরে। এমনকি সুন্দরী কোনো কলিগের সাথে প্রেমের সম্পর্কও হয়ে যেতে পারে 😂। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 80610.66
ETH 3119.79
USDT 1.00
SBD 2.71