রেসিপি : ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছ

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ ফের আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি হলো ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছ


উপকরণ

  • কালবাউস মাছ
  • ঝিঙে
  • পটল
  • আলু
  • কাঁচা লঙ্কা
  • পাঁচফোড়ন
  • হলুদ গুঁড়ো
  • জিরে গুঁড়ো
  • লঙ্কার গুঁড়ো
  • নুন
  • তেল

উপকরণ


রন্ধনপ্রণালী

ধাপ ১

  • কড়াই চাপিয়ে তাতে অল্প তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হতেই নুন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা কালবাউস মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম।


ধাপ ২

  • মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্র নামিয়ে রাখলাম।


ধাপ ৩

  • মাছ ভাজা হয়ে যাওয়ার পর বাকি তেলে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে কেটে রাখা ঝিঙে, পটল, আলু ও স্বাদমতো নুন দিয়ে অল্প ভেজে নেবো।


ধাপ ৪

  • সবজি হালকা ভেজে পরিমান মতো হলুদ দিয়ে ভালোমতো ভেজে একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দিলাম।


ধাপ ৫

  • কিছুক্ষণ পর ঝিঙে, পটল ও আলু জল ছেড়ে দিলে কড়াই থেকে পাত্র সরিয়ে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলা গুলো হালকা নেড়েচেড়ে হাফ কাপ জল দিয়ে সবজি কষতে ছেড়ে দিলাম।


ধাপ ৬

  • সবজি কষে গেলে কড়াইতে তিন কাপ জল দিয়ে গ্যাসের আঁচটা বাড়িয়ে দেবো।


ধাপ ৭

  • মিনিট দশেক উচ্চ আঁচে ঝোল ফুটিয়ে নেওয়ার পর ভাজা মাছ গুলো ঝোলে দিয়ে আঁচটা কমিয়ে দিলাম।


ধাপ ৮

  • অল্প আঁচে আরো দশ মিনিট ঝোল ফুটিয়ে নিতেই ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছ তৈরী।

কালবাউস মাছ





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

একসময় আমাদের গ্রামের পুকুর গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কালবাউস মাছ পাওয়া যেত। হতে পারে তখন নদীর পোনা পুকুরে ছাড়া হতো এই তার কারণ।
অনেকদিন হলো এই মাছটা যেন চোখেই পড়েনা।
সব্জির সাথে আজকের এই মাছ রান্না যে অনেক স্বাদের ছিল তা দেখেই টের পাওয়া যাচ্ছে।

 2 years ago 

কালবাউশ মাছ আমার বাবার খুবই প্রিয়। তাই আমরা ছোট থেকেই দেখেছি বাবা বাজারে গেলে বেশিরভাগ সময়েই এই কাল বাউশ মাছ কিনে নিয়ে আসতো। ভীষণ ভালো লাগে এই কালবাউশ মাছ খেতে। দাদা, ঝিঙে পটল ও আলু দিয়ে কালবাউশ মাছ রেসিপি খুবই সুস্বাদু করে তৈরি করেছেন তা দেখেই বুঝতে পারছি। রেসিপির কালারটা দারুন এসেছে। মনে হচ্ছে খেতে পারলে খুবই ভালো লাগতো। আপনার রন্ধন প্রণালীর উপস্থাপনা চমৎকার ছিল। সব মিলিয়ে খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছ দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়েছেন দাদা। সবগুলো সবজি খেয়েছি একসাথে কিন্তু সবগুলো একসাথে করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে তরকারি খুব সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ মজার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

ঝিঙ্গে আমার অনেক পছন্দ এবং পটল আমার অনেক পছন্দ। কিন্তু এই দুটি সবজি একসাথে কখনো রান্না করেনি। আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন এবং রেসিপিটি কালার একদম পারফেক্ট হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

ঝিঙ্গে পটল এবং আলু দিয়ে খুবই চমৎকার ভাবে কালবাউশ মাছের একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। অনেকদিন আগে আমিও একটি কালবাউশ মাছের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম কিন্তু অনেকেই মাছটি চিনতে পেরেছিল না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপে ধাপে আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে এমন চমৎকার একটা রেসিপি তৈরি করতে হয়।

 2 years ago 

ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছ এর রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি উপস্থাপন করেন। আপনার উপস্থাপন দেখে আমি শিখতে পারলাম। শুভকামনা রইল দাদা।

 2 years ago 

কালবাউস মাছটা আমাদের দিকেও পাওয়া যায়। তবে আমার কাছে খুব একটা পছন্দের না।আপনার রেসিপি গুলো আমি প্রথম থেকেই দেখি। বেশ দারুণ হয়। আজকের রেসিপি টাও অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। এভাবেই চালিয়ে যান। এবং আপনার উপস্থাপনা টাও ভালো ছিল।।

 2 years ago 

কালিবাউশ মাছটা আমার খাওয়া হয়নি।তবে শুনেছিলাম বেশ মজা।ঝিঙে,পটল,আলুর সমন্বয়ে বেশ মজার একটি রেসিপি হয়েছে। কালারটাও বেশ সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 2 years ago 

জিঙে আর পটল আমার কাছে অনেকটা সেইম মনে হয় দুইটি সবজি। মাছের সাথে রান্না করে খেতেও মজার হয়। মাছ আগে ভাজা ভাজা করে নিয়েছেন এজন্য খেতেও মজা হবে। ফাইনালি রেসিপির রঙ দেখে লোভ লেগে গেল দাদা। 🤭

 2 years ago 

ঝিঙে, পটল ও আলু দিয়ে কালবাউস মাছের রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমার কাছে এভাবে মাছ রান্না করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এখনি খেয়ে নেই। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অসাধারণ হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আমিও মাঝে মাঝে এভাবে রেসিপি তৈরি করি। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61159.70
ETH 2631.81
USDT 1.00
SBD 2.63