কলকাতার সবচেয়ে বড়ো বাইক মডিফিকেশন মার্কেট, ওয়েলিংটন // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
রোববারের সকাল কাজে কর্মে কোথাও যাওয়ার নেই তাই বেশ ধীরে সুস্থে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি। আর আমাকে আরাম করে চা খেতে দেখেই বোনের সহ্য হলো না। সপ্তাহের সবকটা দিন ছেড়ে আজকেই ওর স্কুটারে বেশ কিছু নতুন পার্টস লাগাবার ইচ্ছে হলো। বোন ওর গাড়িতে পার্টস লাগাবে আমার তাতে অসুবিধা কোথায় আদবে ও যেখানে স্কুটার নিয়ে গিয়ে কাজ করবে ঠিক করেছে সেটা পিসির বাড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। কলকাতার বাইক মডিফিকেশনের মূল জায়গা, ওয়েলিংটন বাইক মার্কেট।
অনেক জোরাজুরি করার পর আমি যেতে রাজি হলাম তবে মনটা বেজায় খারাপ হলো। ভেবেছিলাম রবিবারের দিন মুরগির মাংস দিয়ে গরম গরম ভাত খেয়ে দুপুরে ঘুম দেবো। যা কপালে নেই, সেটা নিয়ে ভেবেও লাভ নেই। যেতে তো হবেই তাই জোর করে হলেও বেরোলাম।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় একদমই লোকজন নেই, রবিবারের বলেই হয়তো সবাই বাড়িতে তাছাড়া করোনার বাড়িবাড়িও একটা কারণ। রাস্তায় লোক নেই সেই সুবাদে ওয়েলিংটন পৌঁছতে বেশিক্ষণ সময় লাগলো না তবে পৌঁছে গিয়ে ঝটকা লাগলো। বাজারের ৯০ শতাংশ দোকানই বন্ধ। বাড়িতে যে আশঙ্কাটা অল্প হলেও এসেছিলো সেটাই হলো। রবিবার পুরো বাজার টাই বন্ধ থাকে।
আসা যখন হয়েছে কাজ না করিয়ে ফেরা যাবে না। বোনের ইচ্ছে নতুন একটা মিরর লাগানোর, পুরনো মিরর গুলো তার নাকি আর চলছে না। নতুন একটা মিরর পছন্দ করলো যেটা রয়েল এনফিল্ড বাইকে লাগায়। আমার যদিও এই মিরর টা বড়ই বেমানান লাগলো তবু যার গাড়ি তাঁর পছন্দই আগে।
আরো বেশ কিছু পার্টস লাগবে তাই মিরর লাগাতে দিয়ে ওয়েলিংটননের বাইক বাজারের বাকি অংশে বেরিয়ে পড়লাম। সপ্তাহের দিনে পার্টস গুলো খুঁজে পাওয়ার গেলেও আজকে সে সুযোগ নেই ৯০% দোকানে তালা। বাকি যেগুলো দোকান খোলা ছিলো ইচ্ছেমতো দাম চাওয়ায় বোন সেই পার্টস বদলানো স্থগিত করলো।
স্কুটারের কাছে ফিরে গিয়ে দেখি মিরর লাগানোর কাজ শেষ। আমি যতটা খারাপ লাগবে চিন্তা করেছিলাম তার থেকে অনেকটা ভালো লাগছে।
মিরর লাগিয়ে শান্তি এইবার বাড়ি ফেরা যাবে। বাড়ি ফেরার জন্য স্কুটারে চেপে বসেছি ঠিক তখনই ওর মনে হলো স্কুটারে স্টিকার লাগাতে হবে। ততক্ষনে যেকটা স্টিকারের দোকান খোলা ছিলো বেশিরভাগই বন্ধ। গলির থেকে বেরিয়ে উল্টো পাশে যেতে একটাই দোকান খোলা, একটা বাইকের কাজ হচ্ছে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
বসে থাকতে হবে জেনেই খিদেটা জোর পেয়ে গেলো। সকাল বেলায় পেটে শুধু চা পড়েছে তাই স্কুটার লাগিয়ে রেখে খাবারের দোকানের খোঁজ শুরু হলো। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাওমিন এর দোকান পাওয়া গেলো। দুই ভাই বোনে এক প্লেট চিকেন চাউমিন খেয়ে নিলাম।
ফিরে এসে দেখি আগের বাইক টার কাজ শেষ হয়নি, বোনের স্কুটারে হাত দেওয়া তো অনেকটাই বাকি। স্কুটারে যখন হাত পড়লো ততক্ষণে সূর্য্য আস্ত গেছে।স্টিকার লাগানো যখন শেষ হলো তখন পুরোপুরি সন্ধ্যে।
স্টিকারের কাজ শেষ হয়ে স্কুটার হাতে পাওয়া মাত্রই চটপট টাকা মিটিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়ে দিলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হ্যাঁ বন্ধু রবিবার ওয়েলিংটন মার্কেট এর বেশিরভাগটাই বন্ধ থাকে। তবে ভালই হয়েছে ফাঁকায়ে ফাঁকায়ে আপনাদের কাজটা হয়ে গেছে। তবে আমার কিন্তু পুরনো মীরার টাই বেশি ভালো লাগছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার রোববারের সুন্দর মুহূর্তের কথা আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
আপনাদের ভাইবোনকে দেখে খুবই ভালো লাগল,তবে দাদা সব বোন গুলো মনে হয় এমনি হয় ভাইয়ের কাছে অনেক জোড় খাটায়।মানে ওরা যেটা বলবে সেটা তাদের লাগবেই যত টাইম না না দিব জ্বালা আর জ্বালা।
আমার কোন বোন নেই তাই বোনদের জালাও আমার সইতে হয়না। তবে ছোট ভাই বোনদের দাবি বড় ভাইয়ের কাছে মনে হয়একটু বেশিই থাকে। ভালোই লাগলো আপনাদের দুই ভাই-বোনের ঘোরাঘুরি আর বাইক সারাই। শুভকামনা আপনাদের জন্য।
ছুটি থাকলেও পরিজন এর চাহিদা মেটানোর থেকে ছুটি পাওয়ার কোন উপায় নেই। তাও আবার যদি হয় বোন তাহলে তো কোনভাবেই সম্ভব নয়। ভাই বোনের এরকম খুনসুটির সম্পর্কগুলো চিরদিন অটুট থাক এই কামনা করি।
মোটর বাইক মডিফিকেশন ওয়েলিংটনে গিয়েছেন দুই ভাইবোন। রবিবার ছিল বিদায় ৯০% দোকান বন্ধ থাকায় অনেকটা হতাশ আপনি। সাধারণত মেশিনারি কাজগুলো করাতে গেলে অনেকটা সময় প্রয়োজন হয়। আর একটা কাজ ছেড়ে অন্য একটা কাজ করতে চায় না এইটা স্বাভাবিক। আপনার ছোটবোন মিরর পছন্দ করেছে তার পছন্দের জন্য সে লাগাবে। আপনাদের দুজনে চাওমিন খেয়ে নিলেন, আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার পোস্টটি সাজিয়ে-গুছিয়ে আমাদের উপহার দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
সব ভালো লাগলেও চিকেন চাওমিনটা মোটেও ভালো লাগেনি।একদম উচিত হয়নি এই ছবি দেওয়াটা আপনার।
বুঝতে হবে আপনার,কষ্ট হয় তো এসব দেখলে।🤪🤪😜
বোনের সাথে সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন দাদা।অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।খুব ভালো লাগলো দেখে। স্টীকার লাগানর পরে স্কুটিটি অনেক সুন্দর লাগতেছিল।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।