রেসিপি : সজনে পাতার শাক // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
ভারতীয় উপমহাদেশের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে শাক সবজির আধিক্য অনেকটাই বেশি, কারন হিসেবে অবশ্যই গ্রীষ্মকেই দায়ী করা যায়। গ্রীষ্মের পাতে সজনে ডাটা আকছার মিললেও সজনে পাতার দেখা মেলে খুব কমই। সজনে ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকলেও সজনে পাতার উপকারিতা নিয়ে হয়তো অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়, তাছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ, আয়রন এবং পটাশিয়াম থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীর জন্য সজনে পাতা খুবই উপকারী। সজনে পাতার গুণাগুণ লিখতে বসলে পাতার পর পাতা লেখা যায়। আজকে অনেকদিন পরে যখন সজনে পাতা দেখলাম, যথারীতি সজনে পাতার শাক রান্না করার ইচ্ছে হলো। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সজনে পাতার শাক রান্না করে ফেললাম।
- সজনে পাতা
- কালো জিরা
- রসুন
- শুকনো লঙ্কা
- নুন (এক চিমটি)
- সর্ষের তেল
সজনে পাতা থেকে ডাঁটা গুলো আলাদা করে ধুঁয়ে রাখলাম। রান্নাটি দু ভাগে, প্রথম ভাগে সজনে পাতাগুলোকে সেদ্ধ করে নেবো। পরের ভাগে শাক রান্না করবো।
ধাপ ১
- গ্যাসের ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে দেড় কাপ জল গরম হতে দিলাম।
ধাপ ২
- জল ঈষৎ উষ্ণ হতেই সজনে পাতা গুলো কড়াইতে দিয়ে পাতা গুলো ডুবিয়ে দিলাম।
ধাপ ৩
- মিনিট তিনেক অল্প সিদ্ধ হতেই, হালকা তেঁতো গন্ধ বেরোলো। গন্ধের তীব্রতা কমতে সজনে পাতা গুলোকে কড়াই থেকে নামিয়ে ঝাঁকায় জল ঝড়াতে রেখে দিলাম।
ধাপ ৪
- কড়াই ফের গ্যাসে চড়িয়ে অল্প তেল তাতাতে দিলাম। তেল গরম হলে শুকনো লঙ্কা আর কালো জিরে দিয়ে ফোড়ন দিলাম।
ধাপ ৫
- ফোড়নের মধ্যে রসুন গুলো থেঁতে দিলাম। রসুন অল্প ভাজলাম, তারপর সেদ্ধ সজনে পাতা গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৬
- গ্যাসের আঁচ কমিয়ে দিয়ে সজনে পাতা গুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ ৭
- অল্প আঁচেই রেখে দিলাম। শুধু মাঝে মধ্যে খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিতে হবে। এরম ভাবে মিনিট দশেক ভাজলে সজনে পাতা অনেকটাই কমে যাবে।
ধাপ ৮
- এবারে এক চিমটি নুন শাকের উপরে ছড়িয়ে অল্প নাড়াচাড়া করলেই সজনে পাতার শাক তৈরী।
এইভাবে খুব সহজেই আপনারা সজনে পাতার শাক রান্না করতে পারবেন। একটা কথা খেয়াল রাখা জরুরি, নুন খুবই কম পরিমানে ব্যবহার করতে হবে। চাইলে অল্প পেঁয়াজ দেওয়া যেতে পারে, আমি করিনি। রসুন থেঁতে দিয়েছি কারণ সজনে পাতার তেঁতো ভাবটাকে কাটাতে। প্রথম ভাগে সেদ্ধ করে নিয়েছি, এতে অনেকটাই কমে যায়। পরে রসুনের গন্ধে বাকিটাও চলে যায়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সজনে পাতার শাক আমি তেমন একটা খাই না কিন্তু এর যে অনেক উপকারিতা রয়েছে এটা আমার জানা আছে। তাই যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই খাওয়ার চেষ্টা করি। আর আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে চেষ্টা করলে আর একটু বেশীও খেতে পারব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নুন অল্পই দিয়ে করুন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ 🤗
আপনি সজনা পাতা পছন্দ করেন বিধায় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।দাদা আপনি এই সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে লিখতে গেলে হয়তো লিখে শেষ করতে পারবেন না। এ সজনা পাতা আমার প্রিয় সাগের মধ্যেই একটি। যা আমি আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না যে আমার কতটা প্রিয় এবং কতটা ভালো লাগে এই সজনে পাতা। সজনে পাতা খাওয়ার সিস্টেম খুবই সহজ এবং অল্প সময়ে এই সজনে পাতার রেসিপি তৈরি করা যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের দাপে দাপে দেখিয়েছেন সত্যি দাদা অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
রান্নাটা কম সময়ই লাগলো। তবে রান্নার থেকে পাতা গুলো বাছতে অনেকটা সময় লাগলো, ওতেই পরিশ্রমটা বেশি। ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা এই ধরনের সবজির স্বাদ কখনো নেওয়া হয়নি।আমাদের দিকে তেমন একটা খাওয়ার প্রচলন নেই। সজনে পাতার পুষ্টি গুণ সম্পর্কে জানার পর এখন তো খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন চেষ্টা করবো খেতে। এতো সুন্দর পুষ্টি গুণ খাবার শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
সবজি না ঠিক, শাক। খেয়ে দেখুন। উপকারী সাথে খেতেও ভালো। ধন্যবাদ 🤗
সজনে পাতার শাকের রেসিপি আগে কখনো টেস্ট করে দেখা হয়নি তবে আপনার পোস্ট দেখে নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা হলো। নিত্য নতুন রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ ভালো লাগলো। আমিও অনেকদিন পরে খেলাম। তুমিও রান্না করে দেখতে পারো। ধন্যবাদ ভাই 🤗
ঠিক বলেছেন দাদা,সজনে পাতার গুনাগুন লিখে শেষ করা যাবে না। সজনে পাতা যেমন গুনাগুন সজনে ফলে সে রকম গুনাগুন রয়েছে। আমি সজনে পাতা সচরাচর ভেজে খেয়ে থাকি খুবই সুস্বাদু সজনে পাতা ভাজি।তবে দাদা, আপনি একটু আলাদাভাবে সজনে পাতা ভাজি করেছেন প্রথমে সিদ্ধ করে তারপর ভাজি করেছেন। দাদা, সজনে পাতার ভাজির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ দাদা💐💐
আগে সিদ্ধ করে নিলে সজনে পাতার তেঁতো ভাবটা কমে যায়। পিসিই বলে দিলো আমি মেনে চললাম। ধন্যবাদ দিদি 🤗
আমরা সাধারণত সজনে ডাঁটা খেয়ে থাকি। সজনা পাতা তেমন একটি খাওয়া হয় না। সজনে পাতায় এত গুণ আগে জানা ছিল না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সজনে পাতার শাক রান্না করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রচুর গুন। ভিটামিন-সি আর এ তে ভরপুর। সুপার ফুড বলা হয়। ধন্যবাদ দিদি 🤗
আপনাদের কলকাতার এক দাদার সাথে ট্রেন এ দেখা হয়েছিল। উনি তখন বলেছিল সজনে পাতা গুঁড়ো করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আপনার পোস্টটি দেখে তাই মনে পড়ল।
সজনে ফুল খেয়েছি,তবে সজনে পাতা কখনো খাওয়া হয় নি।শুনেছি খুব ভালো উপকারী ও সুস্বাদু লাগে।রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
খেতে বেশ ভালোই। উপকারিতাও অনেক।
সজনে পাতা সচারাচর মানুষ খুব একটা খায় না। আমি অনেক দিন আগে দুইবার সজনে পাতা ভাজি খায় ছিলাম খুব ভালো লাগছিলো আমার কাছে। আপনার রান্না দেখে আবারও খেতে মন চাচ্ছে।
ইচ্ছে যখন করছে খেয়ে নিন ভাই। 🤗
ইচ্ছে হলেও তো আপনার রেসিপি খেতে পারলাম না
আরে রাধুনি মশায় রান্না করতে করতে তো অনেক বড় রাধুনি হয়ে যাচ্ছেন।
সজনে পাতা অত্যান্ত পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ একটি খাবার তবে আমরা অনেকেই এর গুনাগুন সম্পর্কে অবগত না।দাদা একদিন আমাদের সবাইকে আপনার হাতের সজনে পাতা ভাজি খাওয়ান😁😁😁😁😁
অনেক সুন্দর এবং বেশ গুছিয়ে রেসিপি করেছেন দাদা।
হাঃ হাঃ। তিনমাসের উপরে শিখছি, আরো অনেক কিছুই শেখার বাকি আছে।
উপকারিতা শেষ নেই, অথচ অনেকরেই জানা নেই। ধন্যবাদ
শিখুন আমাদের কেও শেখান😍😍
সজনে পাতার শাক খাওয়া যায় নাকি দাদা...?😱😱 আমি তো এটা জানতামই না। কখনো খেয়ে দেখা হয় নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর ভাবে আপনার রান্নাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
খুব খাওয়া যায়। সজনের কান্ড বাদ দিয়ে সবই খাওয়া যায়। পাতা খেয়েই দেখো 🤗