৭-ই ভাদ্র, ১৪২৮ // বিপ্লবী বিনা দাসের জন্মতিথি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


২৪-শে আগস্ট, ২০২১


নমস্কার,

সালটা ১৯৩২, ভারত তখন পরাধীনতাই আচ্ছন্ন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান চলছে। ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র দিতে স্বয়ং গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসন এসেছেন। স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে অনুষ্ঠান, হঠাৎই স্ট্যানলি জ্যাকসনের দিকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসলো গুলি! কিছু বুঝে ওঠার আগেই চললো ৫ রাউন্ড গুলি, তবে সবকটাই লক্ষ্যভ্রষ্ট। হতভম্ব চোখে সকলে দেখলেন, ২০-২১ বছরের এক তরুণী বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে। মঞ্চ থেকে নেমে উপাচার্য হাসান সুরাবর্দি ধরে ফেললেন তরুণীকে। তখনও গুলি চালিয়ে যাচ্ছে সে। মোট ৫ রাউন্ড গুলি চলেছিল সেদিন। সেদিনের সেই তরুণী হলেন বীণা দাস।


বিপ্লবী বিনা দাস | Picsart দিয়ে বানিয়েছি

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙ্গালার নারীদের ভূমিকা অপরিসীম। অথচ কত অবহেলায় তাঁদের স্মৃতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে! আজ তেমনই এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মদিন।

১৯১১ সালের ২৪ শে আগস্ট কৃষ্ণনগর অধিবাসী পন্ডিত শ্রী বেণীমাধব দাস ও সরলা দেবীর গৃহে জন্ম হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকে বাবার দেশাত্মবোধক চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জড়িয়ে পড়েন যুগান্তর দলের সাথে। স্ট্যানলি জ্যাকসনের দিকে গুলি মারার জন্য ৯ বছর জেলও খাটেন। অথচ আমরা আজ এই অগ্নিকন্যার কথা ভুলতে বসেছি।

বিপ্লবীদের জন্মদিনগুলো অনাড়ম্বেই কেটে যায় আর আফসোস করি এই অভাগা দেশটার প্রতি। আমার মনটা ভার আছে দেখে বোন বললো চল চা খেয়ে আসি একটু ভালো লাগবে।


নিজস্বী | অবস্থান : w3w

দুর্ভাগ্য কি দেখুন। যখন পৌছালাম আমাদের দাদার দোকানের চা শেষ। দাদা ঝাঁপি বন্ধ করছে।


দাদার দোকান | অবস্থান : w3w

এদিকে ঝিপঝিপ করে বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির মধ্যে স্কুটার চালিয়ে ফেরাটা ঠিক হবেনা।


বৃষ্টি শুরু

অগত্যা পাশের এক কাকিমার দোকানে ঢুকলাম। দুটো ছোটো চা বলা হলো। চা খারাপ করেনি তবে মনটা ঠিক ভরলো না। আসলে দাদার ওখানে খেয়ে খেয়ে অভ্যেস হয়ে গেছে।


চা

বৃষ্টি একটু ধরলে ধীরে সুস্থে বাড়ি ফিরলাম। দুপুরের মেনুটা আজকে একদমই সাদামাটা ছিলো, অনেক ধরনের সবজি দিয়ে খিচুড়ি। বাড়িতে মুগের ডাল ছিলোনা তাই মসুরের ডালের। তবে খেতে মন্দ হয়নি। চার চামুচ উড়িয়ে দিলাম। আহা! বর্ষার দিনে খিচুড়ি ইস লাব।


খিচুড়ি

খেয়ে উঠতে দুপুরটা ৩:৩০ বেজে গেলো ভেবেছিলাম একটা পোস্ট লিখে ঘুমোই। বিছানায় গা এলাতেই আর পায় কে। চোখ বন্ধ হয়েছে আর দেখি সোজা সন্ধ্যে ৭ টা বাজে।

ফ্রেস হয়ে ওই বাড়ি যেতে হলো বোনের কিছু বই পত্র আনতে। গিয়ে দেখি মিতিন পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন। ওকে বিরক্ত না করে একটা ছবি তুলে নিলাম দেখতে দেখতে অনেকটাই বড় হয়ে গেলো।


মিতিন

আর কিছুদিন গেলে হয়তো ওর মায়ের থেকে লম্বা হয়ে যাবে। বিগত কয়েকমাস যেন ঝড়ের মতো কেটে গেলো, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেপ্টেম্বর মাস চলে এলো।

Sort:  

very good . We are waiting for other posts♥️👍

 3 years ago 

দাদা সব বিপ্লবীরা কী সমান সম্মান পাই? পাই না। খুব সাহসী এই মহীয়সী একজন নারী ছিলেন এই বীণা দাস। নাহলে ওইসময় যখন অনেক ছেলেই বিপ্লবী হওয়ার সাহস পাইনি। কিন্তু এই মেয়েটা নিজের জীবনের মায়া ত‍্যাগ করেই এইরকম একটা কাজ করতে যায়।

 3 years ago 

এককথায় অগ্নিকন্যা। এই কাজের জন্য তাঁকে Graduation Certifiacte দেওয়া হয়নি

 3 years ago 

😢😢

 3 years ago 

যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের মনে রাখার সময় কারো নেই কিন্তু এখন মানুষের সিনেমার হিরো-হিরোইনকে নিয়ে চিন্তার প্রচুর সময় আছে।সময়টি মোটের উপর ভালো কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

কেউ প্রয়োজন বোধ করেও না। দুর্ভাগ্য আমাদের

 3 years ago 

বেশি বড় মন্তব্য করবো না। বিপ্লবী দের যেভাবে স্বরণ করা উচিত। মুষ্টিমেয় কিছু জন ছাড়া ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বিপ্লবী দের মনে রাখবে কিনা সন্দেহ। যাইহোক। দিনটি আপনি খুব উপভোগ্য ভাবে কাটালেন।

 3 years ago 

খারাপ লাগে। আমরা নিজেদের কৃতি দের না পড়ে ইউরোপীয় ইতিহাস পড়ি।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.033
BTC 64172.98
ETH 2764.03
USDT 1.00
SBD 2.66