রেসিপি : চালের গুঁড়ো দিয়ে মজাদার বক ফুলের বড়া
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন ও মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকের রেসিপিটি হলো বক ফুলের বড়া।
শীত মানেই তো নানা ধরনের ভাজা ভুজি। আর গরম ভাতে মুচমুচে বড়া কার না ভালো লাগে। আর ভাজার নামটা যদি হয় বক ফুলের বড়া হয় তাহলে তো কথাই নেই। নাম যেমন বক গুল তেমনি সেটা দেখতে, ধবধবে সাদা। হাতের সামনে এমন জিনিস পেতেই মন উসখুস করতে থাকে। তাই খুব সহজে চালের গুঁড়ো ও আটা দিয়ে বানিয়ে ফেললাম বক ফুলের বড়া। তাহলে চলুন মূল রান্নার দিকে যাওয়া যাক।
- বক ফুল
- চালের গুঁড়ো
- আটা
- কালো জিরা
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- প্রথমে উনুনে কড়াই চাপিয়ে খানিকটা গরম করে নিলাম। কড়াই গরম হয়ে গেলে অল্প তেল দিয়ে তেল তাতাতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ২
- কড়াইতে তেল গরম হওয়া কালীন চালের গুঁড়ো ও আটার মধ্যে অল্প সর্ষের তেল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৩
- তারপর জিরে গুঁড়ো, কালো জিরে (পাঁচফোড়ন বললেই ঠিক হবে ), হলুদ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে চালের গুঁড়োর সাথে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপ ৪
- এরপর সব কিছু একসাথে মিশিয়ে অল্প জল দিয়ে মন্ড মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ ৫
- মন্ডের মধ্যে এক এক করে বক ফুল গুলো ভালোমতো চুবিয়ে নিয়ে কড়াইতে গরম তেলের মধ্যে দিতে শুরু করবো।
ধাপ ৬
- তারপর বক ফুলের বড়া গুলো উল্টে পাল্টে ভালোভাবে ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৭
- কিছুক্ষন ভাজার পর বড়া গুলো যখন সোনালী রঙের হয়ে যাবে তখন একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো। ব্যাস আমাদের বক ফুলের বড়া তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| Join HEROISM ||
এইটা একদম ঠিক বলেছেন দাদা শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে খুব ভালোই লাগে। আর গরম ভাতে গরম গরম মচমচে ভাজা পাকোড়া গুলো খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার বকফুলের পাকোড়া দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। তবে আমি এই ফুলের পাখনা কখনো খাইনি। আর এই ফুল ডিজে পাকোড়া তৈরি করা যায় তাও আমার জানা ছিল না। তারপর এগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার কাছ থেকে রেসিপিটা শিখে নিলাম অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখব। এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দাদা আপনি খুব সুন্দর করে বক ফুলের বড়া করেছেন। আমি তো আগে কখনো বকফুল দেখিনি। কিন্তু এ ফুলটি খুবই পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে। পাকোড়া টিও খেতে নিশ্চয়ই বেশ মুচমুচে এবং মজাদার ছিল। আর শীতকালে এমন তেলেভাজা জিনিস কিন্তু আসলেই বেশ ভালো লাগে।
সত্যিই দাদা শীতের দিনে ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে।আর যদি হয় আপনার মতো সাদা বক ফুলের বড়া, তাহলে তো পাতিলের গরম ভাত সব একাই খেয়ে ফেলব, হা হা হা।আমি অনেক বড়া বানাই কিন্তু আপনার মতো এমন বক ফুলের বড়া কখনো বানাইনি। আপনার বক ফুলের বড়া মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে দাদা বড়া গুলো যদি সাদা হতো তা হলে সত্যি বক হয়ে উড়ে যেত।ধন্যবাদ দাদা আপনার রেসিপি অনেক ভালো লেগেছে।
বক ফুলের দারুন লাগবে দিদি। বানিয়ে দেখুন।
একদম দাদা ঠিক বলেছেন ৷ শীতকাল মানেই গরম গরম ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে ৷ আর আজক্ তো আপনি ফাটফাটি রেসেপি তৈরি করেছেন ৷
তবে দাদা বক ফুলের নাম প্রথম শুনলাম ৷ আসলে এটা কেমন ফুল দাদা যদি বলতেন ৷
আর বক ফুল দিয়ে বানানো চালের গুড়ো দিয়ে বড়া আহা ৷
দেখে তো জিভে জল টলমল করছে ৷
অনেক ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর নতুন ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷ 🙏🙏
বকের মতো ধবধবে সাদা সেই থেকেই বক ফুল। আমার তো তাই মনে হয়। বাড়িতে বানান ভাই।
ঠিক বলেছেন দাদা শীতকালে গরম গরম বড়া আর গরম ভাতের সাথে খেতে দারুণ লাগবে।আপনি যে বললেন এই বক ফুল গুলো দেখলে উসখুস করে খেতে।এটা শুনে তো আমারও খেতে মন চাচ্ছে।বক ফুল দিয়ে এভাবে বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি কখনো দাদা।তবে রেসিপি দেখে মনে উসখুস করছে😂।খেতে হবে তৈরি করে একদিন।
বাড়িতে বানিয়ে নিন দিদি। খুব সহজ আর খেতে খুব সুস্বাদু।
গতকালই দমদম স্টেশন থেকে কিনে নিয়ে এসছি তিন প্যাকেট। আমার কাছে তো বেশ ভালই লাগে খেতে। তবে আমি যখন ভেজে খাই, তখন আটা আর জিরের গুঁড়ো ব্যবহার করিনা। গরম ভাত নিয়ে বসেছি দিয়ে যাও দুটো, বসে বসে খাই।
দারুন কাজ। শীতে জমিয়ে ভাজা খাবে তাহলে?
আমি তো ভাজতেই শেষ করে দিলাম। লোল
খেতে তো ইচ্ছে করে তবে পেট ফুলে যাওয়ার ভয়ে আবার পিছিয়ে যাই।😰😰
দাদা একদম ঠিক বলেছেন শীত মানেই বিভিন্ন রকমের ভাজাভুজি খাওয়ার সময়, শীতের দিন ভাজাপোড়া খেলে খুব একটা অস্বস্তিবোধ হয়না বরং ভালোই লাগে। নিরামিষ ডাল,সবজির সাথে এই রকমের বড়া হলে তো কোন কথায় নেই। আমাদের বাড়িতে উঠনের মধ্যে বকফুলের একটা বড় গাছ ছিল, এত পরিমাণে ফুল ধরতো গোটা পাড়ার লোক খেয়েও শেষ করা যেতো না। বকফুল একটু ছোট সাইজের গুলো বড়া খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু ফুটে গেলা সেটা একদম ভালো লাগেনা। দাদা আপনি খুব সহজেই চালের গুড়োঁ দিয়ে বকফুলের বড়া তৈরি করে ফেললেন, খুবই অল্প উপকরণে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা খুবই লোভনীয় আমার তো মনে যারা একবার এই বড়া খেয়েছেন তারাই শুধু বুঝবে এর মজা। ট্রেডিশনাল একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।🙏
আহা দিদি। নিরামিষ ডাল, বক ফুল ভাজা আর একটা সবজি। আর কিছু লাগবে না। ঠিক বলেছেন বক ফুল ফুটলেই আর স্বাদ থাকে না। আপনাদের গাছটা আর নেই?
চালের গুড়া দিয়ে বকফুলের বড়া নামটা শুনেই একটি ইউনিক রেসিপি মনে হয়েছে। বকফুল ঠিক চিনতে পারলাম না তবে পুরোপুরি দেখলে হয়তো চিনতে পারতাম বা আপনাদের এলাকায় হয়তো বকফুল ভিন্ন নামে পরিচিত। যাইহোক ইউনিক একটি মুখোরুচি খাবার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
শীতকাল কিংবা গরমকাল যাই বলুন না কেন দাদা ফুলের বড়া খেতে আমার দারুন লাগে। তবে বকফুলের বড়া কোনদিন খাইনি। কিন্তু এভাবে মিষ্টি কুমড়ার ফুলের বড়া খেয়েছি। মনে হচ্ছে এই ফুলের বড়া খেতে ভালো লাগে। আমার তো এখনই খেতে মন চাইছে দাদা। তবে এত মজার একটি খাবার আমাদের জন্য আছে কিনা সেটাই বুঝতে পারছি না। আমাদের সবাইকে একটু দাওয়াত দিলেই হত দাদা।
ঠান্ডার দিনে ভাজা কিংবা ঝাল ঝাল খাওয়ার হলে তো জমে যাবেই।