মাসালা চিকেন রেসিপি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আমার বাংলা ব্লগ এ আজ উৎসব তাঁর পেছনে কারণটা আমাদের সবার জানা, তা হলো আজ টিনটিন বাবুর জন্মদিন। আর টিনটিন বাবুর জন্মদিনের দিন আমিও একটা নতুন পদ রান্না করবো সেটা আগে থেকে ভাবিনি। ওদিকে টিনিটিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে দাদা, বৌদি আর দীপ্ৰরা নানান পদ রান্না করছে এদিকে আমিও বা পিছিয়ে থাকি কেন!! রেঁধে ফেললাম মাসালা চিকেন। বেশি কথা না বাড়িয়ে সোজা চলে যাবো রন্ধনপ্রণালীতে।
রান্না শুরুর প্রথমে রান্নার ব্যবহৃত উপকরণ গুলো দেখে নেওয়া যাক।
- ৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
- ১০০ গ্রাম টক দই
- ১ টা আলু
- ২৫ গ্রাম কাজু
- ১০০ গ্রাম পেঁয়াজ
- ৪০ গ্রাম রসুন
- ২৫ গ্রাম আদা
- ধনে পাতা
- ৫ টা কাঁচা লঙ্কা
- ২ টো টমেটো
- ১ টেবিল চামুচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ জিরে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ লংকার গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামুচ ধনে গুঁড়ো
- ১/২ চামুচ গোটা জিরে
- ২ টেবিল চামুচ নুন
- ৩ টা তেজপাতা
- ২ টো শুকনো লংকা
- ১০০ গ্রাম সর্ষের তেল
প্রথমে মাংস ধুয়ে একটা পাত্রে নিলাম। আলুর খোঁসা ছাড়িয়ে দুফালি করলাম। পেঁয়াজ ধুয়ে এবং আদা-রসুন ছাড়িয়ে বাদবাকি সব উপকরণ হাতের কাছে নিয়ে নিলাম।
এবার চলুন যাই মূল রান্নায়।
ধাপ ১
- মিক্সার গ্রাইন্ডারে টমেটো, কাজু বাদাম আর ধনে পাতা পেস্ট বানিয়ে একটা পাত্রে রাখলাম। তারপর রসুন আর আদার পেস্ট বানিয়ে নিলাম।
ধাপ ২
- মাংসের উপরে টক দই, অল্প আদা রসুনের পেস্ট, আধা চামুচ নুন, আধা চামুচ হলুদ গুঁড়ো মাংসের উপরে ছড়িয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম। তাপর মেরিনেট হতে রেখে দিলাম।
ধাপ ৩
- পেঁয়াজ গুলো খুব ছোটো ছোটো আকারে কেটে নিলাম আর কাঁচা লংকা ও শুকনো লঙ্কার পেস্ট বানিয়ে ফেললাম।
ধাপ ৪
- হাত ভালো করে ধুয়ে মুছে, ইন্ডাকশন ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে অল্প তাঁতিয়ে নিলাম। তারপর কড়াইতে পুরো তেলটা ঢেলে দিলাম।
ধাপ ৫
- তেল একটু গরম হতেই আলু গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম। আলু গুলো ভালো করে ভাজলাম। আলুর রং অল্প ব্রাউন হতেই আলু গুলো তুলে একটা পাত্রে রেখে দিলাম।
ধাপ ৬
- আলু তুলে নিয়ে ওই তেলেই গোটা জিরে আর তেজ পাতা দিয়ে অল্প ভেজে নিলাম তারপর পেঁয়াজ, জিরে গুঁড়ো, লংকার পেস্ট নিয়ে মিনিট পাঁচেক ভাজলাম।
ধাপ ৭
- ভাজা পেঁয়াজে কাজু টমেটোর পেস্ট দিলাম তারপর তাতে আধা চামুচ হলুদ গুঁড়ো, এক চামুচ জিরে গুঁড়ো, এক চামুচ লংকার গুঁড়ো আর এক চামুচ ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ভাজলাম ।
ধাপ ৮
- পেঁয়াজ-কাজু-টমেটোর সাথে মশলা পুরোপুরি মিশে তা থেকে তেল বেরিয়ে গেলে মেরিনেটেড মাংস গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৯
- মাংস কিছুটা কষিয়ে নিতেই সমস্ত জল শুকিয়ে গেলো। তারপর কিছুটা নাড়াচাড়া করতেই কড়াইয়ের চারিদিকে তেল বেরিয়ে এলো।
ধাপ ১০
- তেল বেরিয়ে আসতেই তিন কাপ মতো জল কড়াইতে ঢেলে দিলাম, তারপর আঁচটা কমিয়ে দিয়ে কড়াইতে লিড লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ ১১
- মিনিট ২০ ফোটার পর ঢাকনা খুলে মাংস টিপে দেখলাম। মাংস একটু শক্ত থাকাতে আরো একটু জল দিয়ে ফুটতে রেখে দিলাম।
ধাপ ১২
- আরো মিনিট ২০ ফোটার পর দেখলাম মাংসের জল প্রায় শুকিয়ে গেছে আর তেল ছেড়ে দিয়েছে।
ধাপ ১৩
- ওভেনটা বাড়িয়ে দিয়ে মাংসে গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে ঘেঁটে দিলাম। তারপর মিনিট দুয়েক কড়াইয়ের ঢাকনা লাগিয়ে রেখে দিলাম।
ধাপ ১৪
মিনিট দুয়েক পর ঢাকনা খুলে অল্প ধনে পাতা ছড়িয়ে দিলাম। ব্যাস আমাদের মাসালা চিকেন তৈরী।
আজ এখানেই শেষ করছি, টিনটিন বাবুর প্রতি অনেক ভালোবাসা রইলো। আশীর্বাদ করি টিনটিন অনেক বড়ো হও।
একেবারে পরিমান মত সবকিছু খুব বিস্তারিতভাবে শেয়ার করেছেন যাতে করে যে কেউ খুব সহজেই একেবারে হুবহু আপনার চিকেন রান্নাটি নকল করতে পারবে। আমার মত যারা রান্না-বান্নায় খুব আনাড়ি তাদের জন্যও খুব সহজ হয়ে গেল ব্যাপারটা। অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার করে বিস্তারিত ভাবে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করলেই পারবে। আমিও শিখছি। বেশ খানিকটা সময় লাগলো তবে শেষ পর্যন্ত হয়েই গেলো
শুধু হয়নি, দারুন হয়েছে।
"টিনটিন" বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনার মাসালা চিকেন রান্নাটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি ধাপে ধাপে রান্নার সকল প্রক্রিয়া বুঝেছেন সত্যিই অসাধারণ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য, ধন্যবাদ।
ঐদিনেই করবো সেটা ভাবিনি। পুরোটাই কাকতলীয় ছিলো। ধন্যবাদ ভাই 🤗
দাদা এককথায় অসাধারণ রান্না করেছেন। ছবি দেখে জিভে জল চলে আসলো। খেতে না জানি কতই না মজা হবে। মাসালা চিকেন আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। রেস্টুরেন্টে গেলে বেশিরভাগ সময় এটাই আমার মেনুতে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য, আমি আপনার রেসিপিটি দেখে বাসায় এটি রান্না করার চেষ্টা করব।
খেতেও বেশ ভালো হয়েছিলো। আলুটা চরম ছিলো। অবশ্যই বানাও, দই আর কাজু ব্যবহার করবে। দারুন লাগবে।
হ্যাঁ অবশ্যই।
ওইদিন ই কথা হচ্ছিলো এই মুরগী মাংস নিয়ে।
তবে আপনার রান্না দেখে তো অনেক খেতে ইচ্ছে করছে।
ছবিগুলো অনেক লোভনীয় লাগছে।
একদিন খাওয়াবেন 😜
হ্যাঁ। সেটা মাথায় ছিলো তাই একপ্রকার আগে থেকে চিন্তা ভাবনা না করেই বানিয়ে ফেললাম। অবশ্যই খাওয়াবো। কলকাতায় আসলে 🤗
দুর্দান্ত স্বাদের রেসিপি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। আমি খাই না। কিন্তু দেখে বুঝলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
হ্যাঁ, তুমি যে মুরগি খাও না সেটা জানি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য 🤗
আরে বাহ! দারুন তো 🥀
সম্পূর্ণ নতুন ভাবে @kingporos দাদাকে দেখলাম একজন পাকা রাঁধুনি 👨🍳
খুব ভালো বিস্তারিত লিখেছেন তা যে কেউ সুন্দরভাবে করতে পারবে।
শুভ কামনা রইল 🥀
কি যে বলেন দাদা!! সবে রান্না শিখছি। ধন্যবাদ দাদা 🤗