অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৫
নমস্কার বন্ধুরা,
অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৪ এর পর...
সুকেশের জমিগুলোর ঠিক পাশ দিয়েই ওদের গ্রামের খাঁড়ি বয়ে গেছে, মোটে ৫০-৬০ মিটার দূর হবে। তাই মেশিনের ভটভট আওয়াজ পেতেই দুজনেই বুঝে গেলো তারা জমির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দুজনে হাঁটতে হাঁটতে এগোতে থাকলে আওয়াজ বাড়তেই থাকলো। শেষ পর্যন্ত খাঁড়ির একদম কোনায় পৌঁছে টর্চের আলোতে বেশ পরিষ্কারভাবে নৃত্যরত সেচ মেশিনটা দেখতে পেলো। মেশিনটা নাচ দেখে সুদীপ্ত বেশ মজা পেলো, মেশিনটা কেমনতর ব্যাঙের মতন লাফালাফি করছে। যদিও সে লাফালাফি করছে তবুও মাটিতে পাটাতনের সাথে সেঁটে থাকায় পালাতে একেবারেই অক্ষম।
খাঁড়ির একদম ধারে সেচ মেশিনের কাছে গিয়ে সুকেশ সুদীপ্তর দিকে তার হাতের টর্চটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো, মেশিনের ঠিক তেলের ট্যাঙ্কারের উপরে আলো ফেলতে। সুকেশের কথামতো সুদীপ্ত তাই করলো।
সেচ মেশিনের তেলের ট্যাঙ্কারটার উপরে টর্চের আলো পড়তেই সুকেশ তেলের জ্যারিকেনটা দু হাতে তুলে ধীরে ধীরে মেশিনে তেল ঢালতে শুরু করলো কিন্তু মেশিনটা মাত্রাতিরিক্ত নাচানাচি করার ফলে তেল এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ছিলো। সুদীপ্ত মনে মনে ভাবলো যে কোনো ধরনের কাক জাতীয় জিনিস নিয়ে আসলেই তেল এইভাবে নষ্ট হতো না। সেটা দিয়ে খুব সহজেই তেল ভরে ফেলা যেতো। মহার্ঘ্য ডিজেল নষ্ট দেখে সুকেশ আরো ধীরে তেল ঢালা শুরু করলো।
দূর থেকে সুদীপ্ত সুকেশের তেল ভরা দেখছিলো কিন্ত তার বারবার মনে হচ্ছিলো যে মেশিনে যতই তেল ঢালা হোক না কেন তেল যেন কিছুতেই পূরন হচ্ছে না। এভাবেই বেশ কিছুটা সময় তেল ঢালার পরে শেষ পর্যন্ত যখন অল্প তেল মেশিনের ট্যাঙ্কার দিয়ে একটু উপচে পড়লো তখন বোঝা গেলো মেশিনের আজ রাতের মতো তেলের ঘাটতি শেষ হয়েছে।
তেল ভরা শেষ করে সুকেশ সুদীপ্তকে বললো, খানিকক্ষণ এখানেই বসে অপেক্ষা করি, সেচ মেশিনটা আদপে মসৃনভাবে চলছে কিনা সেটাই দেখবো। এই বলে সুকেশ আলো আঁধারীর মধ্যেই পাশের একটা আলের উপরে বসে পড়ল। ওর দেখাদেখি সুদীপ্তও পাশেই বসলো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |