চাঁদনি চকে ল্যাপটপ মেরামত // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
মাঙ্কি সি, মাঙ্কি ডু। বাঁদর যা দেখে, বাঁদর তাই করে। কোনো বাঁদর গা চুলকালে অন্য বাঁদর গুলোও গা চুলকাতে থাকে। না! নিজেকে বাঁদর বলছি না তবে হয়তো কিছুটা সেরকমই।
আশীষ ল্যাপটপ কেনার পর আমার ল্যাপটপটা ঠিক করার প্রয়োজনীয়তা যেন কয়েকশোগুণ বেড়ে গেছিলো। প্রায় দু'বছর ধরে নষ্ট হয়ে থাকা জিনিসটা মেরামত করার তড়িঘড়ি পড়ে গিয়েছিলো। পুরোটা নষ্ট হয়ে পড়েছিল বলবো না তবে আমার ল্যাপটপের কিবোর্ডটার বেশ কয়েকটা বোতাম ছিলো না আর বেশ কিছু কী কাজও করছিলো না। সেগুলোর পাশাপাশি হার্ডড্রাইভ টাও বেশ বেগড়বাই করছিলো। ব্যবহার করতে অসুবিধা হওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে কয়েক মাস বোনের ল্যাপটপ দিয়েই সমস্ত কাজ সারছিলাম।
আশীষের নতুন ল্যাপটপ দেখে অতি সত্বর আমার ল্যাপটপ টার সমস্ত সমস্যার প্রতিকার করবো মনস্থির করে নিয়েছিলাম। আর কলকাতায় ইলেকট্রনিক্স ঠিক করা মানেই চাঁদনি চক। কলকাতার সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক্স পার্টসের বাজার। প্রথমে একা যাবার প্ল্যান থাকলেও আমার সাথে আশীষ সঙ্গ নিয়েছিলো, ওর নতুন ল্যাপটপের ব্যাক প্যানেল স্টিকার আর ডিসপ্লে গার্ড কিনবে।
চাঁদনি চকে গত তিনবছর ধরে ঘোরাফেরা করলেও চাঁদনি আমার কাছে ধাঁধার মতো। অনেকদিন পর কোনো কাজে গেলে এখন হারিয়ে যাই, শেষমেষ গুগলের শরণাপন্ন হয়ে বাঁচতে হয়। আদপে প্রত্যেক কোনায় প্রত্যেক বিল্ডিংয়ে ইলেকট্রনিক্সের দোকান গিজগিজ করছে।
চাঁদনিকে আবার অনেকে আবার ঠগের স্বর্গরাজ্য বলে, আমিও সেটাই মানি। নতুন কাউকে পেলে গলা কেটে দাম নিয়ে নেয়। প্রথম প্রথম আমার অনেক শিক্ষা হয়েছে তাই আমরা একটি বিশেষ দোকান থেকেই গত দেড় বছর ধরে কেনাকাটা করি। বাজারের থেকে অনেকটাই দাম কম তাই আর অন্য কোথাও যাই না।
আমার মূলত দুটো জিনিস দরকার ছিলো একটা কিবোর্ড আর একটা SSD। যেহেতু আমার ল্যাপটপ কাজের জন্যই বেশি ব্যবহার হয় তাই দাম সামান্য বেশি পড়লেও SSD ই আমার পছন্দ। তাছাড়া ৮ জিবি রেম তাই আমার ধারনা ছিলো এসএসডি হলেই হয়তো আমার ৯০% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আমার বাজেট ছিলো ২৪০ জিবির। দোকানে আমার বাজেট থেকে আরো কমে EVM নামক কোম্পানির ২৫৬ জিবি SSD মিলছিলো, সাথে ছিলো ৫ বছরের গ্যারান্টি। দোকানি বারবার ওই SSD লাগানোর পরামর্শ দিলেও অনেক বিবেচনা করে শেষে Crucial এর SSD লাগিয়ে নিলাম। আর নতুন কিবোর্ড। বেশি বছরের গ্যারান্টি প্রয়োজন নেই, বেশি সিকিউরিটি দরকার। গ্যারান্টির থেকে তথ্যের সুরক্ষা বেশি প্ৰয়োজন।
নতুন কিবোর্ড আর নতুন SSD লাগিয়ে কম্পিউটারের ভোল পাল্টে গেলো, নতুন কম্পিউটারের থেকে কোনো অংশেই কম না।
SSD লাগিয়ে আগের থেকে আরও বেশি মোলায়েম হয়ে গেছে। আশীষের নতুন ল্যাপটপ হয়েছে তো কি হয়েছে আমার টাও কম কিসে!
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার লেখা পড়ে অনেক মজা পেলাম। আপনি একদম ঠিক বলেছেন যখন আমরা অন্যের কোন জিনিস দেখি তখন সেই জিনিসের প্রয়োজনীয়তাটা আমাদের বেড়ে যায়। আর আগে থেকে যদি সেই জিনিসটি থাকে তখন সেটা আমরা ব্যবহার করি না। এখন দেখি অন্য কেউ ব্যবহার করছে তখন মনে হয় এটা আমার খুবই প্রয়োজন। আপনি আপনার ল্যাপটপ মেরামত করতে চাঁদনি চকে গিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। তবে আপনি চাঁদনি চকে গিয়ে না ঠকে নিজের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। কারণ আপনার ভাষ্যমতে চাঁদনি চক হল ঠকের রাজ্য। যাইহোক আশীষ দাদার নতুন ল্যাপটপ এর চেয়ে আপনার ল্যাপটপটিও কোন অংশে কম নয়। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শুধু আপনাদের ওই যায়গায় না ভাই।নতুন পেলে এখানেও পারলে শুধু গলা কেটে না, গলা কেটে গলা সহ রেখে দিতে চায় এরা।আপনার পোস্ট পড়ে আমার নিজের লেপটপ ও মেরামত এর কথা ভাবছি।
SSD আমার ও দরকার।
তবে জাস্ট লেপটপ নিয়ে বের হতে হবে সেই অলসতায় লেপটপ নিয়ে বের হইনা।
আপনার প্রয়োজন নেই। iPhone আছে তো, ওটাই যথেষ্ট। 😆