রেসিপি : মসুর ডাল দিয়ে কুঁচো চিংড়ির বড়া // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সবাই সুস্থ। মাস দুয়েক আগে আমি যখন কুঁচো চিংড়ির বড়ার রেসিপি সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম তখন অনেকেই কমেন্ট করে তাঁদের মসুর ডাল দিয়ে বড়ার প্রেম কাহিনী জানিয়েছিলেন। আজ তাই চিংড়ি গুলো হাতে পেতেই সেই সব মসুর ডালের বড়া প্রেমীদের কথা ভেবে মসুর ডাল দিয়ে কুঁচো চিংড়ির বড়া ভাজার কথা মাথায় খেলে গেলো। নতুন কিছু শেখা যাবে সাথে সুস্বাদু চিংড়ির বড়া খাওয়া যাবে, এক ঢিলে দুই পাখি।
সবকিছু গুছিয়ে উঠতে বেশ কিছুটা সময় লাগলো সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলবো না, সোজা চলে যাবো মূল রান্নায়।
- কুঁচো চিংড়ি
- মসুর ডাল
- নুন
- হলুদ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা লঙ্কা
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- তেল
ধাপ ১
- আগে থেকেই ভিজিয়ে রাখা মসুর ডাল ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিলাম।
ধাপ ২
- মসুর ডাল ব্লেন্ড করে নেওয়ার পর একটা পাত্রে রাখবো তারপর কুঁচো চিংড়ি গুলো ধুঁয়ে মসুর ডালের মধ্যে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৩
- পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো আর স্বাদমতো নুন দিয়ে দেবো।
ধাপ ৪
- একে একে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দেবো।
ধাপ ৫
- তারপর পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা লঙ্কা ও সব মশলা মিশিয়ে মন্ড মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ ৬
- মন্ড মাখিয়ে রেখে গ্যাস জ্বালিয়ে নিয়ে তাতে একটা কড়াই চাপিয়ে কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে গরম হতে দেবো। তেল গরম হয়ে গেলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে মন্ড ছোটো ছোটো আকারে চ্যাপ্টা করে এক এক করে কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৭
- কিছুক্ষন উল্টে পাল্টে ভাজার পর বড়া গুলো সোনালী রঙের হয়ে যেতেই, চিংড়ির বড়া গুলো একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকে মসুর ডাল দিয়ে কুঁচো চিংড়ির বড়াটি দেখে আমি জিভে জল চলে এসেছে।রেসিপিটি দেখতে সেই লাগছে।তবে দাদা আমি কখনো এমন করে খয়নি।তবে কোন একদিন আমি তৈরি করবো।রান্নার সাথে সাথে দারুণ উপস্থাপনা করছেন।ধন্যবাদ দাদা।
দেখতেও যেমন খেতেও তেমন হয়েছে। বাড়িতে বানিয়ে দেখবেন।
হুম অবশ্যই দাদা, একদিন তৈরি করে খাবো। ধন্যবাদ
দাদা কুঁচো চিংড়ির বড়া অসাধারণ হয়েছে। খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনারটা দেখে শিখে নিলাম। তাছাড়া সব ধাপগুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যাতে বুঝতে অসুবিধা না হয়।এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আরেকটু মুচমুচে হলেই ১০০/১০০ পেতাম। হাঃ হাঃ
দাদা আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিংড়ি ও মসুর ডাল দিয়ে দারুন একটি বড়া রেসিপি করেছেন। মসুর ডালের বড়া আমার বেশ ভালো লাগে গরম গরম খেতে। আপনার বয়স ইফতারের জন্য দারুন একটি আইটেম হতে পারে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বড়া রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন এবং নিখুঁত বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন দিদি, ইফতারের খুব ভালো লাগবে। সামনের দিনগুলোর কোনো একদিন বানিয়ে দেখবেন।
বাহ ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে আপনার আজকের এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো। রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
খুব সহজ পদ্ধতি সাথে খুবই সুস্বাদু।
মসুর ডাল দিয়ে কুঁচো চিংড়ির বড়া কখনো খাইনি আজকে দাদা আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
হ্যাঁ, আমারও প্রথম। আগের বারে অনেকে কমেন্ট করেছিলেন তাও ভাবলাম বানিয়ে দেখি। দারুন লাগলো তবে আরেকটু মুচমুচে করলে জমে যেতো।
মুসুর ডাল আর কুচো চিংড়ির বড়া আমার কাছে অনেক মজা লাগে।বড়া দেখেই যেন খেতে ইচ্ছে করছে। কীভাবে কুচো চিংড়ির বড়া তৈরি করেছেন সেটা তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপনার কমেন্ট দেখেই তো বানালাম রায়হান ভাই। আমি আগে এইভাবে খাইনি তাই মনে হলো বানিয়ে দেখা যায়।
দাদা তাহলে আমার মন্তব্য করা সার্থক 💚
ওয়াও দাদা আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মসুর ডাল দিয়ে কুচো চিংড়ির বড়া এই প্রথম দেখলাম। এর আগে কখনো এই রেসিপিটি খাওয়া হয়নি। আজ আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম । আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
আমিও প্রথম খেলাম। বেশ ভালোই লাগলো, তবে ডুবো তেলে রান্না করলে আরো বেশি ভালো হতো।
ভাইয়া আপনি খুবই মজাদার চমৎকার ভাবে মসুর ডাল দিয়ে চিংড়ির ভড়া তৈরি করেছেন। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এটি তৈরি করেছেন। সাথে উপস্থাপন খুবই সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। বিশেষ করে চিংড়ির ভড়া আমার কাছে খেতে খুবই দারুণ লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন।
চিংড়ির বড়া ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুবই কম পাবেন।
দাদা আপনি আজকে দারুন বড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদি মসুর ডাল দিয়ে এভাবে চিংড়ি মাছের বড়া তৈরি করা হয়,সেটা খেতে যে কতটা মজার হয় সেটা আমি খুব ভালোভাবেই জানি। আর আপনার এই বরা ও যে খেতে খুবই মজা হয়েছিল সেটা আমি খুব বুঝতে পারছি। অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে যে আপনি এত মজার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার বাড়িতে মাঝে মাঝে হয় তাহলে। আমার ভালোই লাগলো, তবে ছোটো ভুল করেছি, ডুবো তেলে না ভেজে।
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন ? আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে মসুর ডাল দিয়ে কুঁচো চিংড়ির বড়া তৈরি করেছেন। আপনার কুঁচো চিংড়ির বড়া দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অত্যান্ত অসাধারণ ভাবে রন্ধন প্রণালী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে গরম গরম বড়া খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এত অসাধারন একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
দক্ষতার বিশেষ দরকার পড়েনি শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে করে নিয়েছি 😁