কবিতা : ‘কবিতা এসো আমার হৃদয়ে’ - ফ্যান্টম | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলে সুস্থ। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমিও ভালোই আছি। আমি আজ আপনাদের কাছে আরো একটি নতুন কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হলাম।
আজ আপনাদের সামনে আমাদের সকলের প্রিয় ফ্যান্টম দার একটি কবিতা আবৃত্তি রূপে তুলে ধরছি। আবৃত্তি সিরিজে এটি আমার দশম উপস্থাপনা। আমার আজকের পরিবেশন, কবিতা এসো আমার হৃদয়ে। দাদার আজকের কবিতায় অক্ষরে অক্ষরে প্রেমিকের বিরহ ফুটে উঠেছে। যদিও কবিতাটির অন্তর্নিহিত অর্থ আলাদা তবুও আমি বলবো কবিতাটির আক্ষরিক অর্থ আমার সাথে একেবারে মিলে গিয়েছে। আসলে আমি বহু চেষ্টা করছি কবিতা লেখার কিন্তু যেটা আমার দ্বারা মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। যেটা অভিমত পর্যায়ে গিয়ে আরো আলোচনা করবো। আর দেরি করা ঠিক হবেনা, তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
কবিতা, কেন তুমি এলেনা আমার এই হৃদয়ে?
কেন তুমি দূর্লভ হয়ে এলে আমার জীবনে?
সবাই যেমন পারে তার মনের কথা ব্যক্ত করতে,
কেন দাওনা ধরা তুমি আমার কাছে ?
কেন দাওনা মনের কথা গুলো মনের মানুষকে বলতে?
তোমার কারণে আজ বুকটা ফেটে যায় আমার;
যখন অন্য মানুষকে দাও করে সুযোগ,
তার না বলা কথাগুলো আমার মনের মানুষটিকে বলতে?
কি যে কষ্ট বড় কষ্ট, একবার দাও ধরা,
দাও একবার বলতে ভালবাসি তোমায়।
আমার মনের কথাগুলি কি কবিতা তুমি শুনতে পাও?
যদি পারো শুনতে তবে তুমি ধরা দাও ।
আমার হৃদয়ের কথাগুলি কেন কবিতা হয় না !
আমার প্রাণের আকুতি কেন গান হয়ে আজ ওঠে না ?
কবিতা তোমায় আসতেই হবে আমার কাছে,
লেখনীতে দিতে হবে ধরা আমার প্রাণের মাঝে ।
আমার হাসি, আমার কান্না, আমার সুখ-দুখ,
কবিতা শুধু তোমায় দিতে চাই আমার জীবনের সবটুক ।
প্রাণের আকুতি শোনো, একটিবার এসো,
ধরা দাও, আমার এ শূন্য জীবন ভরিয়ে তুমি দাও ।
"কবিতা এসো আমার হৃদয়ে" শিরোনাম দেখেই অনেকে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে কবি তার কবিতায় কিছু না পাওয়ার কথা বোঝাতে চেয়েছেন। কবিতায় প্রেমিকের প্রিয় মানুষ টিকে না পাওয়ার ব্যাকুলতা ও ব্যাথা ফুটে উঠেছে। যদিও কবিতাটির অন্তর্নিহিত অর্থ প্রেমিকের ব্যাকুলতা তবুও আমি কবিতাটিকে দুটি আলাদা আলাদা রুপে গ্রহণ করেছি। প্রথম রূপে প্রেমিকের তার প্রিয়জনের না পাওয়ার আকুতি আর পরের রূপে আমার কবিতা লিখতে না পারার আকুতি।
অন্তর্নিহিত অর্থে কবি যেখানে তার প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার জন্য, প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে ভালোবাসার পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। আর অনেক আকুতির পরেও যখন প্রিয় মানুষটি কাছে আসেনি তখনই কবি বিরহ বেদনায় ডুবে গেছেন। সেগুলোই কবিতার অক্ষরে অক্ষরে ফুটে উঠেছে।প্রেমিক তার হাসি, কান্না, সুখ ও দুখ সবই সেই মানুষটির সাথে ভাগ করে নিতে চান। তাই প্রেমিকের করুন আকুতি যেন সেই মানুষটি একটি বারের জন্য হলেও কাছে আসে।
কবিতাটার লেখনী সহজ তবুও কবিতার প্রত্যেকটি অক্ষর এবং প্রত্যেকটি লাইনে রয়েছে গভীর বিরহ ও প্রেমিকের না পাওয়ার আক্ষেপ। মনের মানুষটিকে না পাওয়ার ব্যাথা ও বেদনা কবিতার প্রতি অক্ষরেই ফুটে উঠেছে।
চলুন তাহলে আক্ষরিক অর্থের দিকে যাওয়া যাক। আমার বাংলা ব্লগে অণু কবিতা নিয়ে নতুন এক সেগমেন্ট চালু হয়েছে। এইবার বিষয়টি হলো আমার দ্বারা কবিতা মোটেই হয় না, যতই চেষ্টা করি কবিতা আমার হাতেও আসে না আর পেটেও আসে না। মনে গুনগুন করার পরে সেটা যখন লিখে ফেলি তখন তার তার থাকে না ছন্দ আর পাইনা কোনো মিল। দুঃখ-সুখ কোনো সময়েই আমি কবিতা লিখতে অক্ষম সেই জন্য দাদার কবিতাটির সাথে আমার পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি মিল খুঁজে পেয়েছি।
আবৃত্তি
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বেশ সুন্দর হয়েছে ব্যাখ্যা এবং পাঠ উভয়েই। কবিতা টাও সত্যিই অপূর্ব। বিরহতে পরিপূর্ণ। ভালো লাগলো বেশ। ধন্যবাদ। নতুন কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।
কবিতা টা সত্যিই অপূর্ব।
ধন্যবাদ আনিস ভাই। আসলে দাদার কবিতা গুলোই দারুন হয়।
আপনার আবৃত্তিটি ও খুবই অসাধারণ হয়েছে দাদা।
ফ্যান্টম দাদার লিখা"কবিতা এসো আমার হৃদয় "কবিতাটি আপনার কন্ঠে চমৎকার লাগছিলো ভাইয়া।আপনার আবৃত্তি শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি ভাইয়া।আপনি কবিতা লিখতে পারেন না তবপ আবৃত্তি করতে পারেন অসাধারণ। কবিতার ভাবার্থ গুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।একটা কথা একদম ঠিক যে কবিতা লিখতে পারে না সে সুখে ও থাকলে ও পারে না বা দুঃখে থাকলেও পারে না।কবিতার ছন্দ মিলানো অনেক কঠিন পেটে আসলেও মুখে আসে না।এতো সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি আমাদের মাঝে শেয়ার করতে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার কাছে থেকে কবিতা আবৃত্তি শোনার অপেক্ষায় রইলাম দাদা। শুভকামনা রইল।
বড় দাদার লেখা কবিতা এসো আমার হৃদয়ে আপনি খুবই সুন্দরভাবে আবৃত্তি করেছেন। আসলে দাদা আপনার আবৃত্তি কবিতাগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করলেন। আপনার আবৃত্তি শুনে অনেক ভাল লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল, পরবর্তীতে আরো সুন্দর কবিতা আবৃত্তি শুনবো আশায় রইলাম।
ধন্যবাদ রায়হান ভাই 🤗
আমাদের প্রিয় দাদার লেখা কবিতাটি আপনার মিষ্টি কন্ঠের আবৃতি শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি এর আগেও আপনার কন্ঠে বেশ কয়েকটি কবিতা আবৃতি শুনেছি। দাদা পরবর্তীতে ও এরকম কবিতা আবৃতি আপনার কন্ঠ থেকে শুনার অপেক্ষায় রইলাম।
দাদার কবিতার লিস্ট অনেক বড়ো। আশা করি ধীরে ধীরে সব শেষ করতে পারবো।
বাহ দাদা। দারুন আবৃত্তি করেছেন তো আমাদের দাদার কবিতাটি। সত্যি আপনার আবৃত্তি মুগ্ধ করেছে আমায়।
ধন্যবাদ রাজু ভাই 🤗
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনি আমাদের সকলের প্রিয় দাদার লেখা কবিতা আবৃত্তি করে শেয়ার করেছেন। দাদা বরাবরই অনেক সুন্দর কবিতা লেখেন আর আপনি অনেক সুন্দর আবৃত্তি করেন ২ মিলে এ যেন এক মিলনমেলা ঘটে গিয়েছে। আপনার কাছ থেকে পরবর্তীতেও এরকম সুন্দর আবৃত্তি আশা করব দাদা।
আশা করি ভবিষ্যতে আরো আবৃত্তি করতে পারবো।
ফ্যান্টম দাদার কবিতাগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। দাদার কবিতা গুলো চিন্তা করে দেখলে অনেক কিছু বোঝার আছে। গভীরতা অনেক বেশি দাদার কবিতা গুলোর। এবং আপনার মতামত টি পড়ে আমি আরো বেশি বুঝতে পেরেছি কবিতাটি। আপনার কন্ঠে কবিতাটি অসাধারণ ছিল দাদা।
দাদার এই কবিতাটি আমার খুব কাছের হয়ে গেছে। যেন আমার জন্য লিখেছেন উনি 😁
অসাধারণ হয়েছে দাদা কবিতা ও আবৃতি। আপনার কবিতার ছন্দ খাওয়া-দাওয়া হইছে গুলো অসাধারণ ছিল। এই কবিতা একজন প্রেমিকের সুপ্ত আকাঙ্খাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
প্রেমিকের সুপ্ত আকাঙ্খা বলুন আর আমার মতো ছন্দ হীন মানুষের কবিতা না লিখতে পারাই বলুন। সব একাকার হয়ে গেছে
খুবই সুন্দর আবৃত্তি করেছো নির্মাল্য দা। দুই বার শুনলাম তোমার আবৃত্তি। তবে আরো শুনতে চাই। এইটুকুতে মন ভরবে না।
দুটো ভিউ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। হাঃ হাঃ