বৃষ্টি মুহূর্তের কিছু অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৯-০৭-২০২৩)
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বৃষ্টি মুহূর্তের কিছু অভিজ্ঞতা। আসলে গত কয়েকদিন ধরে অনেক বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে আজকে সকাল বেলায় ভোরে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পরে মোবাইল ফোনে দেখি সাতটা বেজে গিয়েছে। তারপরে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে এসে কিছুক্ষণ পরে আবার কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ থেকে বাসায় ফিরতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল। তারপরে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে অল্প একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ শেষ করে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়ে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক........
আসলে ঘটনাটি হচ্ছে বেশ কয়েকদিন পর আগের একটি ঘটনা। ঈদের কিছুদিন পরে। আমি মোস্তাফিজুর মামার কাছে ফোন দিয়েছিলাম মামার সাথে দেখা করার জন্য। মামা আমাকে বলছিল সকালবেলার দিকে স্কুল ফিল্টে আসতে। তারপরের দিন সে সকাল দশটা থেকে এগারো টার ভিতরে আমি সেখানে পৌঁছে যায়। তারপরে মোস্তাফিজুর মামার সাথে অনেক কথা আলাপ আলোচনা করি দুজন বসে। তার কিছুক্ষণ পরে দেখি হঠাৎ করে বৃষ্টি চলে আসলো। তারপরে আমি বাইক উঠিয়ে স্কুল এর গ্যারেজে রাখলাম। সেখানে দুজন বসে থাকলাম প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা তাও বৃষ্টি থামার কোন আশ্বাস পাচ্ছিলাম না। আমি মূলত বাড়ি থেকে গিয়েছিলাম একটা কাজের উদ্দেশ্যে।
তারপরে দুজন সেখানে বসে থেকে আরও অনেক কথাবার্তা বলতে থাকি। আসলে সেখানে অনেকে বসেছিল ঈদের ছুটি কাটাতে সবাই বাড়িতে এসেছে। তারপরে মোস্তাফিজুর মামা আমাকে বলল কয়েকটা ছবি তুলে রাখ একটা পোস্ট করা যাবে। তারপরে আমি মোবাইল ফোন পকেট থেকে বের করে ছবি তোলা শুরু করলাম। আপনার উপরের ছবিগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। ঠিক সেই সময়ে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম ছবিগুলো। আসলে বৃষ্টি হলে বেশ ভালোই লাগে কিন্তু যেহেতু কাজের জন্য বের হয়েছিলাম ভিজে যাব বলে আর বাইক নিয়ে বেরোতে পারছিলাম না তাই একটু বিরক্ত লাগছিল।
আসলে ছবিগুলো তোলার প্রায় আধা ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। আমি মোস্তাফিজুর মামার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মামাকে বলেছিলাম গতকালকে আবার আসবো এসে আপনাদের এখানে থাকবো এই বলে চলে এসেছিলাম। আমি বাইক স্টার্ট দিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আসার পরে আবারো পানি শুরু হয়। সেখানে একটি দোকানের নিচে বাইক রেখে এবং আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। আসলে সেখানে দাঁড়ানোর পরে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবিটি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তারপরে আমি সেই দোকানের নিচে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন দেখি ঠিক আছরের আজান দিছে। আসলে যে কাজের জন্য এসেছিলাম অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে আর সেই কাজে যাওয়া হয়নি। তারপরে ওখান থেকে আবারো বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে বৃষ্টির দিন খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। যদি এমন দিনে বাড়িতে বা মেসে থাকা যায় তাহলে খুব ভালো একটা ঘুম হয়। আকাশের দিকে তাকালে খুব একটা বেশি মেঘ দেখা যাচ্ছে না কিন্তু তারপরে অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল আসলে ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল।
আমি যেই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার সামনে অনেক বড় একটি ব্রিজ ছিল আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। পানি হওয়ার মুহূর্তে আমি অনেক সুন্দর ভাবে সেই ব্রিজটির ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ব্রিজটি দেখতে আমার কাছে তখন বেশ ভালোই লেগেছিল। পানি যেহেতু অনেক জোরে হচ্ছিল তার পরেও আমি সেখান থেকে বাইক বের করে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিছানায় শোয়ার আগে অল্প একটু আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম।
Link
আমি আর মুস্তাফিজুর মামা যখন ফিল্ডের মধ্যে বসে ছিলাম তখন পানি মুহূর্তে অনেক সুন্দর একটি ভিডিও করেছিলাম আমি। আসলে ভিডিওটি ইউটিউবে পাবলিস্ট করার পরে আপনাদের এখানেও শেয়ার করেছি। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1678015018934362112?t=LQefjfURlzdL2UIx-LFF7Q&s=19
ভাইয়া আপনার মোস্তাফিজুর মামার সাথে দেখা করতে গিয়ে দারুন একটি ভিডিওগ্রাফি করেছেন। ভিডিওগ্রাফিটি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু মুহূর্ত আছে যেগুলো ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে ভালো লাগে। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
!upvote 40
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven. Your post was promoted on Twitter by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 120%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
স্কুল ফিল্টার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। এবং আপনি আপনার মামার সাথে দেখা করতে গিয়েছেন বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো শুনে। দেখা করার মুহূর্তে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ আপনার কাঙ্খিত মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির দিনের অনুভূতিটা অন্যরকমের। তবে বড় হয়ে বৃষ্টির অনুভূতিটা তেমন ফিল করি না আমরা যেহেতু ঘরের ভিতর থাকি ঘরের ভিতর থেকেই জানালা থেকে অনুভব করতে পারি আর কি। কিন্তু আপনার বৃষ্টির দিনের অনুভূতি গুলো পড়ে সেই ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেল। আপনি তো স্কুলের মাঠে গিয়ে বেশ সুন্দর বৃষ্টির দৃশ্য অনুভব করলেন। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করলেন মুহূর্তটি।
আসলে আপু বৃষ্টির দিনে বাইরে ঘোরাফেরা করতে বেশ ভালোই লাগে।
কাজের জন্য বের না হলে এরকম বৃষ্টি দেখে আসলেই বসে থাকা যায় না বৃষ্টিতে নেমে পড়তেই হয় । বৃষ্টি দেখলেই না নেমে পারা যায় না । ছোটবেলায় অনেক বৃষ্টিতে গোসল করেছি ইদানিং আর বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতিগুলো বলতেই পারি না । কেমন যেন জীবনটা একেবারে পানসে হয়ে গেছে । আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল ।
আসলে আপু সেই ছোটবেলার কিছু স্মৃতি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চেয়েছি আসলে সবাই সেই সময় বৃষ্টিতে বেশ ভিজে গোসল করতো।
মামা জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠ থেকে দারুন বৃষ্টি ভেজা মুহূর্তের ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও ধারণ করেছে, পাশাপাশি মড়কা বাজার থেকেও মিন্টু মিয়ার দোকানের ফটোগ্রাফি করেছ। ভালোই লাগলো সব কিছু দেখে।
মামা তুমি তো দেখছি জায়গাগুলো বেশ ভালোভাবে চিনে রেখেছো প্রত্যেকটি জায়গার নাম বেশ ভালোভাবেই শেয়ার করেছো। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত ছাড় করার জন্য।