ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড়া ভাজির রেসিপি তৈরি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩১-০৩-২০২৩)
ক্রমিক নম্বর | উপাদান |
---|---|
১ | বেসমের ময়দা |
২ | মরিচ |
৩ | পিয়াজ |
৪ | লবণ |
৫ | আদা |
৬ | কালোজিরা |
৭ | তেল |
৮ | পানি |
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড়া ভাজির রেসিপি তৈরি। আসলে আমরা শখের বসে বাড়িতে একদিন বড়া ভেজেছিলাম। আসলে আমাকে একদিন আমার আপু বলেছিল তোর দুলাভাই খুব ভালো বড়া ভাজতে পারে। তারপরে আমি একদিন আমার দুলাভাইকে ফোন দিয়ে এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম। দুলাভাই বলল পারি আমি কিন্তু শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বড়া ভাজা কেমন একটা হয়ে যায় না। তখন আমি ভাইয়াকে বলেছিলাম কোন সমস্যা নেই। আসলে আমার দুলাভাই মূলত চাকরি করে পুলিশের। তার বেশ কিছুদিন পর আমার দুলাভাই ছুটি পেয়েছিল। বাড়িতে আসার সময় বড়া ভাজার জন্য তেল ও আটা নিয়ে এসেছিল। তবে চলুন এবার নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.....
প্রথমে আপনারা অপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক মরিচ কেটে একটি গামলার মধ্যে রাখা হয়েছে। মরিচ আমরা বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলাম এক কেজি। সেখান থেকে অল্প কিছু মরিচ রেখে প্রায় সবগুলো কেটে ফেলেছে আমার আপু। এত মরিচ কাটা দেখে আমি আপুকে বলেছিলাম এত বড়া ভাজতে হবে না এত বড়া খাওয়া লোক নাই। তারপরে আমার দুলাভাই বলছে মরিচ না হলে বড়া ভালো লাগবে না। তাই তখন আমি আর কিছু বলেছিলাম না।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারছেন একটি গামলার মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে পিয়াজ গুলো কেটে আমার আপু রেখেছে। আসলে পিয়াজ না হলে বড়া খেতে ভালো লাগে না। আমার দুলাভাই বলেছিল আরও কিছু পিয়াজ দেওয়ার কথা। আমার আপু বলছেন না আর দেওয়া লাগবে না এই পিয়াজ গুলোই হবে। তারপরে আমি তখন পিয়াজ গুলোর ছবি সেখান থেকে তুলে অনেক সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক সুন্দর ভাবে বড় একটি গামলার মধ্যে বেসমের ময়দা ছানা হয়েছে। আসলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বড় ভাজে অনেক রকমের ময়দা মিশ্রণ করে। তখন আমি ভাইয়াকে বলেছিলাম আর কোন ধরনের ময়দা লাগবে নাকি ভাইয়া বলেছিল বড়া ভাজার জন্য শুধু বেসমের ময়দা হলেই বড়া ভালো হয়। ময়দাগুলো ছানার সময় ময়দার ভিতরে অল্প কিছু পরিমাণ লবণ ও আদাও কালোজিরা দিয়েছিল। তারপরে এই ময়দা আমার দুলাভাই অল্প একটু খেয়ে দেখেছিল লবণ হয়েছে কিনা। তারপরে আমি একটি ছবি তুলেছিলাম তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনারা উপরের ছবি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ময়দা গুলো ছানার পরে একটি গামলার মধ্যে রাখা হয়েছিল। তারপর দেখতে পারছেন গামলার মধ্যে অল্প পরিমাণ মরিচ ও পিয়াজ দিয়েছিলাম। আসলে দুলাভাই অল্প অল্প করে সবকিছু নিয়ে একসাথে মাখিয়ে দিচ্ছে। আমি তখন বলেছিলাম ভাইয়া সবগুলো নিয়ে একবারে মাখিয়ে গামলার মধ্যে রাখেন। ভাইয়া বলছিল সবগুলো একসাথে মাখিয়ে রাখলে নরম হয়ে যাবে। তাই সব কিছু অল্প অল্প করে নিচ্ছে।
এবার আপনার উপর ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি চুলার উপরে কড়া বসানো হয়েছে। তারপরে ওই কড়ার মধ্যে অল্প কিছু পরিমাণ তেল দেওয়া হয়েছে। তারপরে তেল গুলো গরম করার জন্য চুলার মধ্যে জাল দেওয়া হচ্ছে। তারপরে তেল গুলো যখন ভালো ভাবে গরম হয়ে গিয়েছিল তখন আমার দুলাভাই হাত দিয়ে বড়া গুলো কড়ার মধ্যে ছাড়তে ছিল। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন বড়া গুলো কড়ার মধ্যে ছাড়া কিছুক্ষণ পরে আমি আবারো একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা এবার দেখতে পারছেন বড়া গুলো এবার উল্টে দেওয়া হয়েছে। আসলে বড় গুলোর এক সাইড গরম হয়ে গিয়েছে তাই ভাইয়া ছাকনা দিয়ে বড়া গুলো উল্টিয়ে দিয়েছে। তখন আমি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন বড়া যখন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে তখন অনেক সুন্দর ভাবে ছাকনা দিয়ে কড়ার মধ্য থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে একটি গামলার মধ্যে রাখা হয়েছে। আসলে যখন বড়া গুলো নিয়ে এসে গামলার মধ্যে রাখা হয়েছিল তখন আমার দুলাভাই বলেছিল একটা খেয়ে দেখ কেমন লাগে। আমি তখন একটা বড়া খেয়ে দেখেছিলাম জাস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তারপরে এগুলো সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিলাম আমরা। আসলে আমি একটু বড়া খেতে বেশি পছন্দ করি।
এবার আপনারা দেখতে পারছেন সবার শেষে আমি একটি সেলফি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে যখন বড়া ভাজা হচ্ছিল তখন অনেক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি মূলত বড়া ভাজার সময় আমার দুলাভাইয়ের পাশে বসে ছিলাম। আসলে আমি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে বড়া ভাজা শিখতে চেয়েছিলাম। সেদিনের পর থেকে আর বড়া ভাজা হয়নি তাহলে তো আর শেখা হলো না। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে । সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমান একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মনে পড়ে একবার মহাবালেশ্বরে ঘুরতে গিয়ে এরকমই এক প্লেট পেঁয়াজের বড়া খেয়েছিলাম। এত দুর্দান্ত বানিয়েছিল মুখে দিলেই বড়াগুলো মিলিয়ে যাচ্ছিল। আর ঠিক তেমনই ক্রিসপি হয়েছিল। আমি উঠে গিয়ে চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম,"কিভাবে বানিয়েছেন চাচা এটা? " চাচা আমাকে ঠিক এই রেসিপিটাই বলেছিল, "একটু টাইট করে ডো মেখে তার সঙ্গে পেঁয়াজ মেশাতে হবে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটা দেখে। খেতে পারলে আর একটু বেশি ভালো লাগতো। 😄
আপু তাহলে তো আপনি এমন বড়া খেয়েছেন আপনাকে আর বলা লাগবে না খেতে কেমন সুস্বাদু হয়। আপনি চাচার মুখ থেকে অনেক সুন্দরভাবে রেসিপি প্রক্রিয়া শুনেছিলেন। ধন্যবাদ আপু মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/GKibreay/status/1641739528204615682?t=j-jKZ9LQaNVDiYR1t3liYA&s=19
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চমৎকার ভাবে বড়া ভাজি করেছেন। ইফতারের সময় এই রেসিপিটা খেতে খুব ভালো লাগে। এই রেসিপিটা দেখতে অনেকটা ফুলুরির মতো লাগছে। ধাপে ধাপে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড়া ভাজি করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান মতামত প্রদান করার জন্য।
আপনার দুলাভাই চাকরি করেন বলেই হয়তো আপনার বড়া ভাজার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো আনতে পেরেছেন। যাইহোক বড়া তৈরি করে সবাইকে খাইয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আর রমজান মাসে সব বাড়িতেই এসব খাবার এখন তৈরি করা হচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নিজের অনুভূতি এবং এই রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনার দুলাভাই তো বেশ ভালো বড়া বানাতে পারে । তার কাছ থেকে আপনি বেশ ভালোই শিখে নিয়েছেন মনে হচ্ছে ।একদিন আপনিও চেষ্টা করে দেখেন নিশ্চয়ই পেরে যাবেন । বেশ ভাল ছিল বড়া বানানোর প্রতিটি স্টেপ । খেতে নিশ্চয়ই বেশ মজার হয়েছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি দুলাভাই আসলেই খুব ভালো বড়া বানাতে পারে। রোজার শেষ হয়ে গেলে ভাবছি আবার চেষ্টা করব বড়া বানানোর।
রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে পিয়াজুতো মনে করেন কর্মচারী একটি খাবার হয়ে গিয়েছে প্রতিদিনই ইফতারের সময় এই খাবারগুলো অনেক মুখরোচোর এবং সুস্বাদু।।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হয়েছিল।।
আসলে ভাই লোভ লাগলে আপনার দাওয়াত রইলো। সেই কথা কি আর বলতে হয় ভাই আসলেই খেতে খুব মজা ছিল। ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ঠিক আছে ভাই দাওয়াত কবুল করলাম কোন একদিন হুট করে চলে আসবো আপনার বাসায় খেতে।।
এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বডা ভাজির রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা করেই খেয়েছেন। এখন তো সকল বাড়িতে এরকম রেসিপি গুলো তৈরি করা হচ্ছে রমজান উপলক্ষে। ভীষণ ভালো লাগলো দেখে আপনার রেসিপি। উপস্থাপনা ও খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে কোন রেসিপি তৈরি করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। ঠিক বলেছেন আপু আপনি রমজান মাস উপলক্ষে অনেকেই রয়েছেন বাড়িতে এসব রেসিপি তৈরি করে থাকে। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য।
এখন রমজান মাস আর এই রমজান মাসে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বরার রেসিপি তৈরি করা হচ্ছে। খুবই চমৎকারভাবে আপনি এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি রমজান মাস উপলক্ষে প্রায় প্রত্যেকটিতে বাড়িতে কোন না কোন রেসিপি তৈরি করা হয়। আসলে ইফতারের সময় এসব রেসিপি গুলো খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই মতামত প্রদান করার জন্য।
দুলাভাইয়ের এরকম শালার দরকার। দুলাভাই বড়া ভাজি করতে পারে সেই কারণে শালাও ঘরোয়া পরিবেশে বড়া ভাজি করেছে। তবে আমার কাছে বেশি অবাক লাগলো আপনি এতগুলো কাঁচামরিচ বড়ার মধ্যে দিতেছেন। তবে মনে হয় বড়া গুলো পরিবারের সবাই অনেক মজাই করে খেয়েছেন। এবং অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম শালা আরেকটা থাকলে দুলাভাই প্রায় ফকির হয়ে যাবে। আসলে আপু তখন কাঁচা মরিচে খুব একটা ধক ছিল না তাই এতগুলো দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য আপনাকে আপু।