ক্রিটিভ রাইটিং (গল্প) // একজন পরিশ্রমী মানুষের সফলতার গল্প
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২-১২-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ক্রিটিভ রাইটিং (গল্প) // একজন পরিশ্রমী মানুষের সফলতার গল্প। আসলে কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। আসলে বাড়িতে মেহমান আসার কারণে আমি সেভাবে আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত একটিভ থাকতে পারছি না তাও চেষ্টা করছি আমি আমার নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে ভাবলাম প্রথমে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব। তাই ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে আমি আমার ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। তারপরে ভেবেছিলাম কি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখব বেশ কিছু সময় ভাবার পরে ল্যাপটপ নিয়ে শুরু করে দিলাম পোস্ট লেখা। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি একজন পরিশ্রমী মানুষের সফলতার গল্প। তবে চলুন আজকে আমার লেখা পোস্ট শেয়ার করা যাক..........
আমাদের গ্রামে একজন পরিশ্রমী মানুষ ছিল তার নাম হচ্ছে মিনারুল ইসলাম। তিনি আমাদের গ্রামের মধ্যে একটি অসহায় গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল। তিনি অনেক ছোট বয়স থেকেই বাবার সাথে মাঠের জমি দেখানো করতে এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করত। আসলে তারা এতটাই গরীব ছিল যে লেখাপড়া করার মতো সামর্থ্য ছিল না তার বাবার। এভাবে তিনি বাবার সাথে মাঠে অন্যের খেতে কাজ করে নিজেদের সংসারের কিছু উন্নত করার জন্য বাবাকে সহযোগিতা করত। আসলে তাদের তেমন কোন জমি জাতি ছিল না শুধুমাত্র বাড়িবান্ধা জমিটুকুই ছিল তাও সেটুকু হচ্ছে খাস জমি সরকারি জমির উপর তারা বসবাস করত। কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় সাতজন। আসলে এত বড় একটা পরিবার সামলাতে প্রত্যেকটা মানুষই হিমশিম খায়। কিন্তু মিনারুল ইসলাম এবং তার বাবা দুজন মিলে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের পরিবারটাকে সব সময় একটি বন্ধনীর মধ্যে বেঁধে রাখে। আপনাদের সাথে একটা কথা শেয়ার করা হয় মিনারুল ইসলাম ছিল আবার প্রতিবন্ধী। তার একটা পা ছিল একটু খাটো তিনি ভালোমতো হাঁটতে পারতো না। এভাবে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
মিনারুল ইসলামের বয়স যখন ২০-২২ বছর তখন তার মা মারা যায়। আসলে তার পরিবারের তখন বেশ বড় একটা ধাক্কা ছিল। আসলে একটা পরিবার থেকে যখন একজন ভারতী বয়স্ক লোক মারা যায় তখন সেই পরিবারটাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত আর কেউ থাকেনা। মিনারুল ইসলামের মা মারা যাওয়ার পরে দুই এক মাসের মধ্যেই তার বাবা মারা যায়। সত্যি এখানে মিনারুল ইসলাম বেশ ভেঙ্গে পড়ে। আসলে একটা পরিবারে বাবা বেঁচে থাকা মানে একটা বটগাছের মত। হঠাৎ তার বাবা এভাবে অকাল মৃত্যু হওয়ার কারণে তিনি অনেকটা ভেঙে পড়ে তার একটা ছেলে সন্তানদের নিয়ে কি করবে কি হবে কিছুই বুঝে ওঠে না। তারপরে আমাদের গ্রামের অনেক বড় মানুষ মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মিনারুল ইসলামকে কিছু সহযোগিতা করার জন্য। আমিও আমার নিজের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে চাই গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের কিছু সহযোগিতা করার জন্য এবং সকলকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
আমাদের গ্রামের মানুষ মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়ে আমরা মিনারুল ইসলামকে কিছু সহযোগিতা করব। আমরা এভাবে আমাদের গ্রামের মধ্যে টাকা তোলা শুরু করেছিলাম। বেশ কয়েক দিনের পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা প্রায় দুই লক্ষর উপরে টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। সেই টাকা গুলো আমাদের গ্রামের অনেক বড় মাপের বেশ কিছু মানুষ ছিল তাদের হাতে দেওয়া হয়েছিল। তারা এবং গ্রামের অনেক মানুষ মিলে ডিসিশন নিয়েছিল মিনারুল ইসলামকে যদি এই টাকা দিয়ে দুইটা গরু কিনে দেওয়া যায় তাহলে হয়তো সে পরবর্তীতে সাবলম্বী হতে পারে। পরবর্তীতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দুইটা গরু কিনে মিনারুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছিল সেই গরু থেকে এখন আলহামদুলিল্লাহ সে বেশ ভালো স্বাবলম্বী হয়েছে। আশা করা যায় এভাবেই মিনারুল ইসলাম ভবিষ্যতে সামনের দিকে আরো অনেক এগিয়ে যাবে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা সবাই জানি পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি। পরিশ্রম করলে তার সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা। আপনাদের গ্রামের মিনারুল ইসলাম দরিদ্র ব্যক্তি। আপনারা সবাই স্বাবলম্বী করার জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। তার মাধ্যমে এখন সে স্বাবলম্বী হয়েছে এটা শুনে আরো ভালো লাগলো।
পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না। যখন মানুষ পরিশ্রম করে তখন কোন এক সময় গিয়ে সেই ফলাফল অর্জন করে। আর ভালো কিছু অর্জন করে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক বেশি উৎসাহ পেলাম।
আসলে আমরা সকলে জানি যে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা সবকিছু সম্পন্ন করতে পারব৷ পরিশ্রম দ্বারা যদি আমরা কোন কিছু করতে চাই তাহলে সেটি অবশ্যই সফল হবে৷ আর পরিশ্রম কখনোই বৃথা হয় না৷ আপনাদের এলাকার মিনারুল সাহেবকে আপনারা স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷