রেনউইক বাঁধ|| by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৬ই শ্রাবণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
বেশ কিছুদিন যাবত কমিউনিটি থেকে দূরে ছিলাম এটা হয়তো অনেকেই জানেন কারণ আমার অ্যাক্টিভিটি একদমই কম ছিল। এই সপ্তাহ থেকে আবার ইনশাল্লাহ ঠিকঠাক কাজ করব আর এজন্যই নিজেকে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার জন্য আজকেও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। এ সপ্তাহে একটি কবিতা পোস্ট শেয়ার করেছি আর আজকে ট্রাভেল পোস্ট শেয়ার করব যদিও এই কাহিনীটা অনেক আগের। কমিউনিটিতে কাজ করিনি কিন্তু যখন যেখানে ঘুরতে গিয়েছি সেই ছবিগুলো সংগ্রহ করে রেখেছি আর আগে থেকে প্ল্যান করে রেখেছি যখন ফ্রি হয়ে কাজ শুরু করব তখন পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ছবিগুলো আলাদা করে ফাইল আকারে রেখে দিয়েছিলাম যাতে সহজেই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। বছরে দুইটা ঈদ আসে তার মধ্যে ঈদুল ফিতরে একটু বেশি ঘুরাঘুরি করা হয়। আজকে যে ট্রাভেল পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা ঈদুল ফিতরের দিনে ঘোরাঘুরি করার পুরো কাহিনী। ঈদের দিন আমরা রেনউইক বাঁধে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা এখন পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ শেষ করে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম কারণ দুপুর বেলায় তো বেশ গরম আর রোদ ছিল যার কারণে বাইরে বের হওয়া হয়নি। আমাদের মামাতো ভাই বোন সহ সবাইকে নিয়ে একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে সেখানে আমরা কয়েকজন মিলে কথা বললাম আর প্ল্যান করলাম বিকেলে কোথাও ঘুরতে যাব। তবে তখন পর্যন্ত কোথায় ঘুরতে যাব সেই লোকেশন ঠিক করা হয়নি। ঈদ উপলক্ষে ঘুরবো আর বিকেলে বের হব তাই খুব বেশি দূরে যাব এমনটা নয় হয়তো শহরের আশপাশে ঘুরবো এমনটা চিন্তা করেছিলাম। আমাদের বাড়ির পাশেই আমার নানাবাড়ি তাই আমি আর আমার ছোট ভাই রেডি হয়ে বাইক নিয়ে নানা বাড়িতে গেলাম আর সেখানে গিয়ে আমার মামাতো ভাই গুলোর সঙ্গে রেডি হয়ে বের হলাম তখন হঠাৎ আমার মামা বলে উঠলো তোমরা সবাই কুষ্টিয়া গিয়ে ঘুরে আসো। বুঝতে পারছিলাম মামা তার মেয়ের বাসায় যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এলাকায় তো সব সময় ঘুরাঘুরি করাই হয় তাই ভাবলাম কুষ্টিয়া গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত রেনউইক বাঁধে যাব। অনেকদিন যাবত সেখানে যাওয়া হয় না তাই ঈদের দিনে হুট করে সেখানে যাওয়ার প্লান করলাম। আমরা সবাই বাইক নিয়ে বের হলাম আর কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
আমরা বিকেলের আগেই রেনউইক বাঁধে পৌঁছে গেলাম যদিও আমার একটা মামাতো ভাই আসতে একটু লেট করেছিল কারণ মাঝপথে একটু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সে বলল তোমরা সেখানে যাও আমি একটু লেট করে আসছি। আমরা সেখানে গিয়ে বাইক পার্কে করার স্থানে বাইক পার্কিং করে টিকিট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। মজার বিষয় হচ্ছে আমরা যখন গেট পার হলাম তখন আমাদের থেকে টিকিট নিয়েছিল না আর সেই টিকিটগুলো আমরা পরবর্তীতে তাদের কাছে দিয়েছিলাম আর সেই টিকিটগুলা আমার মামাতো ভাই গুলো দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিল হা হা। চারটা টিকিট দিয়ে আটজন সেখানে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা প্রথমে গিয়েই বাম সাইডে থাকা সাদা বালুচরের দিকে এগিয়ে গেলাম আর সেখানে গিয়েই আমরা সবাই কিছু ছবি উঠেছিলাম। তবে সেই ছবিগুলো ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল বলে আজকে এখানে শেয়ার করতে পারিনি। নদীর চারপাশ ঘুরে দেখা সহ আশপাশের জায়গাগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতেছিলাম। আগে থেকেই প্লান ছিল এই বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাই বিভিন্ন স্থানের এলোমেলো ছবি তুলেছিলাম আর সেখানে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা অবস্থান করেছিলাম।
যখন সূর্য অস্ত গেল তখন আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম কারণ সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে হরিপুর ব্রিজের উপরে দারুন লাগে। ব্রিজের দুপাশে লাইটিং করায় জায়গাটা আরো বেশি সুন্দর হয় আর ঈদ উপলক্ষে অনেক লোকজনের সমাগম হয় সেখানে। তবে আমরা যখন বেরিয়ে আসলাম তখন দেখলাম আমাদের বাইক একদম সামনে আর আমাদের বাইকের পেছন দিয়ে অনেকগুলো বাইক রাখা আছে তাই বাইকগুলো বের করতে গিয়েই আবার অনেক সময় লস হলো। যাইহোক দুঃখের কথা কম শেয়ার করাই ভালো। অনেক সময় পর আমরা বাইকগুলো বের করে নিয়ে ধীরে ধীরে আমাদের পরবর্তী প্ল্যান মাফিক এগিয়ে চললাম।
এই ছিল আমাদের ভ্রমণ কাহিনীর গল্প। আসলে সমবয়সী বা ক্লোজ ফ্রেন্ডদের সাথে ঘোরাফেরা করলে সে সময় গুলো খুব সহজে ভোলা যায় না তাই আজকের এই গল্পটা একদম ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করলাম। কেননা সেদিনের প্রতিটা মুহূর্ত আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জুলাই,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1682421331160371200?s=20
@tipu curate
Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
ধন্যবাদ
ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। রেনউইক বাঁধে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নদীর পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলে বাইরে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানে গেলে নিজেকে অন্যরকম মনে হয়। আপনার ঘুরাঘুরির মুহূর্তগুলো বেশি দুর্দান্ত ছিল। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ঈদুল ফিতরের সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করা হয়। আর এই সময়টা অনেক বেশি আনন্দের হয়। আপনারা সবাই মিলে খুবই ভালোভাবে ঘোরাঘুরি করেছিলেন এবং সময় কাটিয়েছিলেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
আমার আগে থেকে প্ল্যান ছিল যে এই মুহূর্তগুলো কমিউনিটিতে শেয়ার করব।