"এ কেমন পরিণতি" (Poem of my writing"What is the outcome")||by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১৩ই আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎ-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
যারা প্রতিনিয়ত আমার পোস্টগুলো ভিজিট করেন তারা অবশ্যই জানেন আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে কবিতা শেয়ার করার চেষ্টা করি। মূলত পোস্টের ভিন্নতা এবং কোয়ালিটির উভয় ধরে রাখার জন্য সপ্তাহে একটি করে কবিতা শেয়ার করার চেষ্টা করি। সেই পোষ্টের ভিন্নতা ধরে রাখতে সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় আজকে একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। আসলে আজকের দিন টা পোষ্ট শেয়ার করার চেয়ে PUSS নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত ছিলাম। পয়েন্ট আমাদের কমিউনিটির নিজস্ব করেন বলা চলে এটা আমাদের কয়েন আর এই কয়েন আজকে যেহেতু বড় একটি এক্সচেঞ্জ সাইটে যুক্ত হয়েছে সে ক্ষেত্রে সবার মাঝেই একটা ভালো লাগা কাজ করছে। poloniex এ যুক্ত হওয়ার পরে আমি সামান্য কিছু কয়েন সেখানে যুক্ত করেছি তবে কমিউনিটির নির্দোষ অনুযায়ী এখনো পুরোটা কয়েন হোল্ড করে রেখেছি। যাই হোক আশা রাখছি আমাদের কমিউনিটির সবার যে ইচ্ছে আছে আমাদের সবার প্রিয় দাদার যে লক্ষ্য আছে সেটা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
আমি আগেও বেশ কয়েকটি কবিতা পোস্টে উল্লেখ করেছি মূলত মনের অনুভূতি ছাড়া কবিতা লেখা সম্ভব না। যখন মনটা উদাসীন থাকে তখন বিরহের কবিতা লিখতে ভালো লাগে আবার যখন মনটা ফুরফুরে থাকে তখন রোমান্টিক কবিতা লিখতে ভালো লাগে আসলে মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন হবে এটা কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে মানুষ যেটা চায় কখনোই সেটা পায় না অর্থাৎ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছু হয়ে যায় দিনশেষে সবকিছু মেনে নিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ যদি একটা কথা বলি তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন একটা ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করতেই পারে কিন্তু কতজন ছেলে মেয়ে পছন্দের মানুষটিকে আপন করে পায় সেটা একটু চিন্তা করে দেখুন। হয়তোবা পারিবারিক কারণে অথবা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক দুজনের একজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কে ঘাটতি থাকে যার কারণে দুজনের মধ্যে দেওয়ালের তৈরি হয় আর সবশেষে ভালোবাসার বিচ্ছেদ ঘটে। যাইহোক বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না কবিতার ভাষায় কিছু লাইন তুলে ধরেছি সেটা পড়ে বোঝার চেষ্টা করবেন।
আমি যে কবিতাটি লিখেছি সেটা নিচে তুলে ধরেছি এখন আপনারা মন্তব্য করে জানাবেন কবিতাটি কেমন হয়েছে?? আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে সবাই।
চলুন শুরু করা যাক
কিভাবে কাউকে পরম মমতায় আলিঙ্গন করতে হয়,
শূণ্যতায় হাত বুলিয়ে দেওয়া সান্ত্বনারা
ক্ষত সারানোর বিপরীতে শুধুই ব্যাথা পায়।
যন্ত্রণাদায়ক মরীচিকারা বাস্তবতার কাছে হেরে যায়
তখন শুভ্র নীলিমায় আর মেঘ ভাসে না,
অনুভূতিরা জঘণ্য হয়
যখন তার নিজস্বতা বলতে আর কিছুই থাকে না।
পরগাছা যেমন তার স্থায়ী নিবাস নাই জেনেও কি নিদারুণ নিজেকে মানিয়ে নেয়,
সেভাবে সহস্র মনে না পাওয়ার অপ্রত্যাশিত আর্তনাদ রোজ
কত উপায়ে চাপা পরে রয়।
অবশেষে সইতে সইতে নিঃশেষিত এই শরীর
হেরে যায় কঠিন বাস্তবতায়,
কোনো মতে ঠাঁই মেলে
মরুময় উপত্যকার শেষ ঠিকানায়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন মনের অনুভূতিকে কেন্দ্র করে এই কবিতা। কারণ অনুভূতি যদি না থাকে তাহলে কবিতা আসবে কোথা থেকে। চমৎকার কবিতা লিখেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
সহজ কথায় নিজের মনে যে অনুভূতিটা লুকিয়ে থাকে সেটা কবিতায় ভাষা প্রকাশ করার চেষ্টা করলেই কবিতা লেখা সম্ভব।
একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই। সত্যি অনূভুতি রা একেবারে জঘন্য হয়। পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু অনূভুতি রা তো পড়ে থাকে সেই পিছনেই। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
এই জন্যই মানুষ অতীত চিন্তা করে কষ্ট পায়।