কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব-০১)। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১০ই মাঘ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনাদের মাঝে বান্দরবান নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছি হ্যাঁ গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা সবাই মিলে বান্দরবান ঘুরতে গিয়েছিলাম বান্দরবানের পর্ব শেষ করে আমরা কক্সবাজার গিয়েছিলাম। যদিও আমাদের প্ল্যানিংয়ের প্রথম দিকে কক্সবাজার থেকে বান্দরবান আসার চিন্তাভাবনা ছিল তবে ট্রেনের টিকিট না পাওয়ার কারণে প্রথমে বান্দরবান গিয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। যেহেতু বান্দরবানের পর্ব ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আবার আপনাদের মাঝে কক্সবাজারের পর্বগুলো পর্যায়ক্রমে শেয়ার করব। বান্দরবান থেকে আমরা বিকেল বেলায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম বুঝতে পারলাম কক্সবাজার পৌঁছতে আমাদের রাত হবে আর কক্সবাজারে আগে থেকে আমাদের হোটেল বুকিং করা ছিল তাই সরাসরি গিয়ে হোটেলে ওঠার পরিকল্পনা ছিল।
আমরা যখন কক্সবাজার পৌছালাম তখন রাত আটটা বাজে। বান্দরবান থেকে বাসে করে কক্সবাজার পৌছালাম। ডলফিন মোড় থেকে আমরা একটি ইজিবাইক নিয়ে যে হোটেল বুকিং করেছিলাম সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম। হোটেল রুমে ব্যাগ সহ সবকিছু রেখে দ্রুত রাতের খাবারের জন্য বেরিয়ে পড়লাম কারণ বান্দরবান থেকে দুপুরবেলায় খাওয়া দাওয়া করে বের হয়েছিলাম। এদিকে রাত প্রায় নয়টা বেজে গিয়েছে তবুও রাতের খাবার খাওয়া হয়নি তাই প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল। হোটেল রুমে ব্যাগ রেখে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ঢাকা রেস্টুরেন্ট নামক একটি রেস্টুরেন্টে আমরা রাতের ডিনার করার জন্য বসলাম। আমাদের গ্রুপের কয়েকজন প্রথমবার কক্সবাজার এসে এই রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছিল মোটামুটি এখানকার খাবার কোয়ালিটি এভারেস্ট টাইপের। তাই অন্য কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে না খেয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সেই রেস্টুরেন্টে খেতে বসলাম।
রাতে সেখানকার খাবার ভালো মতোই খাওয়া হলো আবার খাবারের টেস্ট মোটামুটি ভালোই ছিল আমরা শুধু বান্দরবানের খাবারের সাথে তুলনা করছিলাম কারণ বান্দরবান সদরের খাবারের কোয়ালিটি একদম নিম্নমানের। যাই হোক মোটামুটি ভালোই খাওয়া দাওয়া হল খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা আবার সমুদ্র সৈকতের দিকে রওনা হলাম। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমি প্রথম কক্সবাজার গিয়েছিলাম সে ক্ষেত্রে সমুদ্র সৈকতের দিকে যাওয়া আমার কাছে অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিল তারপর রাতের বেলায় সমুদ্র সৈকতে যাওয়া নিজের কাছে আরো বেশি এক্সাইটেড লাগছিল। গত বছর জানুয়ারির শেষের দিকে মোটামুটি ভালোই শীত ছিল সোয়েটার পরে সবাই ধীরে ধীরে সমুদ্র পারে পা ভিজে হাঁটছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। আবার অনেকেই সমুদ্রপাড়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছিল আমি অবশ্য সবাইকে একসাথে এক ফ্রেমে সমুদ্রের ঢেউ দেখার একটি ছবি উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
কিছু সময় সমুদ্রের সময় কাটানোর পরে সবাই হুটহাট প্লান করলাম আজকে অনেক রাত পর্যন্ত সমুদ্র পাড়ে থাকবো তবে দিনের বেলায় আমরা বান্দরবানে কিছুটা ট্রেকিং করেছি সে ক্ষেত্রে শরীর কিছুটা ক্লান্ত তাই অনেকেই আবার বলছিল ভাই আজকে নয় কালকে আমরা প্রায় সারা রাত কক্সবাজার এই সমুদ্র সৈকতে কাটাবো। তবে আজকে কিছুটা ঘুমের প্রয়োজন শরীর অনেক ক্লান্ত। সবাই সহমত প্রকাশ করে ভাবলাম তাহলে একটু বিচের পাশ দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে হোটেলে ফিরব। বিচের পাশ দিয়ে ভিন্ন রকম সৌন্দর্যে শামুকের তৈরি সৌখিন অনেক জিনিস দেখতে পাবেন মূলত দোকানদাররা পর্যটকদের কে আকৃষ্ট করার জন্য এবং মেয়েদের জন্য সুন্দর সুন্দর শামুকের তৈরি জিনিসগুলো দোকানের সাজিয়ে রাখে। রাতের বেলায় রঙিন লাইটের আলোয় এই সৌন্দর্যটা আরো বেশি ভালো লাগছিল।
সেখানে আমরা কিছুটা সময় কাটিয়ে এলোমেলো কিছু ছবি তুলে আবার সবাই গল্প করতে করতে হোটেলের দিকে রওনা হলাম সেই সাথে আমরা হাটাহাটি করার পাশাপাশি পরবর্তী দিনে আমরা কিভাবে আমাদের দিনটা পরিচালনা করব অর্থাৎ পরবর্তী দিনের প্ল্যানিং করছিলাম। সেই সাথে সকালবেলায় সমুদ্র পাড়ে এসে সমুদ্রপাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে বসে ঢেউ দেখব আর সকালের নাস্তা করব এমন একটা প্ল্যানিং করেছিলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জানুয়ারি,২০২৫ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনারা বান্দরবান থেকে কক্সবাজার গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে তো দারুন সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। রাতের বেলায় বিচের সৌন্দর্য কিছুটা হলেও উপভোগ করেছেন। রাতের বেলায় রঙিন লাইটের আলো অনেক বেশি ভালো লাগছিল। আসলে ভালো লাগারই কথা। খুব সুন্দর করে ভ্রমণ কাহিনী উপস্থাপনা করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
হ্যাঁ রাতের বেলায় রঙিন লাইটের আলোয় আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার বান্দরবান ভ্রমণের বেশ কিছু পোস্ট আমি দেখেছি। এখন আবার আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে কক্সবাজার ভ্রমণ বিষয়ে পোস্ট উপস্থাপন করা শুরু করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে আপনার পোস্ট উপস্থাপনা করা দেখে। প্রাথমিক পর্যায়ের বিষয়গুলো গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কক্সবাজার এবং বান্দরবান আমার যাওয়ার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। তবে ভবিষ্যতে যাবো ইনশাল্লাহ তখন আপনার পোষ্টের কথা মনে পড়বে কারণ আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু ধারনা হয়ে গেল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এখন নিয়ে যেতে ইচ্ছে করলো কত সুন্দর এই দেশের পর্যটক কেন্দ্রগুলো। আপনি নিশ্চয়ই ভালো সময় উপভোগ করেছেন সেখানে।
হ্যাঁ আপু সেখানে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত যেন স্বরণীয়।
রাতের চমৎকার সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করলাম আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি থেকে। রাতের বেলা দেখতেছি সমুদ্র নতুন সাজে রূপ নেয়। বান্দরবানের পরে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চলে গেছেন বেশ আনন্দের ব্যাপার এটা। প্রথম পর্বটি খুবই মজা করে উপভোগ করলাম। পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
পরবর্তী মজা গুলো আরো বেশি মজা লাগবে।
অত্যন্ত দুর্দান্ত একটি ভ্রমণের পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার কক্সবাজার ভ্রমণ সম্পর্কে লেখাগুলো অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। একই সাথে বেশি ভালো লাগলো আপনার পোস্টের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। দারুন একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।