হঠাৎ দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১১ই আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | শরৎ-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
পোষ্টের টাইটেল দেখে অনেকেই বুঝতে পারছেন বর্তমানে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলতে চাইছি। হঠাৎ বাংলাদেশের প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম মাত্রার অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করেছে হঠাৎ বাজারে এমন প্রভাব পড়ার কারণ অবশ্য জানা নেই তবে হঠাৎ করে যদি প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে মনে প্রশ্ন জাগবে এটা স্বাভাবিক। হ্যাঁ এমনটা জানতে ইচ্ছে করবে কেন প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে?? বর্তমানে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে চাউল আটা তেল সবকিছুর দাম প্রচুর বাড়তে শুরু করেছে। যেহেতু আমাদের ছোট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সেহেতু কোন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে কিছুটা বুঝতে পারি। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে চাউলের দাম মাত্রার অতিরিক্ত বেড়েছে এমনকি এখনো চাউলের বাজারের অস্থিরতা কাটেনি এর কারণ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই??
চাউলের পরে যদি আটার কথা বলি তাহলে সেটার দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। স্বাভাবিকের অতিরিক্ত যখন কোন বাজার বেড়ে যায় তখন সহজেই বোঝা যায় এই বাজারের মাত্রার অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে কোন চক্র এই বাজার বৃদ্ধির কারণে সুবিধা ভোগ করছে। আবার যদি আপনি ভোজ্য তেলের কথা বলেন তাহলে গত ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতিটা ভোজ্য তেলের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হয়তো লোকাল বাজারে সেটার প্রভাব এখনো পুরোপুরি পড়েনি তবে নতুন বোতলজাতকরণ ভোজ্য তেল যখনই বাজারে আসবে তখনই এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে। অলরেডি খোলা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। যারা বাজার থেকে খোলা তেল কিনতে যাবেন তারা এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
সাধারণত পরিবারের কাঁচা বাজারের দায়িত্বটা আব্বু নিজেই পালন করেন। তবে এর আগে বেশ কিছুদিন হল আমি কাঁচা বাজার করেছিলাম তখন সবজির বাজার কিছুটা স্বাভাবিক ছিল তবে এই সপ্তাহে সবজির বাজারটা দেখলাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে অর্থাৎ ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে বাজারে কোন সবজি নেই। হঠাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে এরকম প্রতিটা সবজির বাজার দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে তবে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে মোটেও সুবিধার মনে হয়নি। একটা সবজির দাম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিছুটা বাড়তে পারে তাই বলে দ্বিগুণ বেড়ে যাবে সেটা তো হয় না। যারা সাধারণ সেটা খাওয়া মানুষ তাদের এমন পরিস্থিতিতে কি করণীয় সেটা একটু চিন্তা করে দেখুন।
স্বাভাবিকভাবে একজন দিনমজুর মানুষ সারাদিন কাজ করে যদি ৫০০ টাকা মজুরি পায় তাহলে বাড়ির জন্য চাল তেল ডাল সবজি এগুলো কিনতেই শেষ তাহলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছোটখাটো ইচ্ছাগুলো পূরণ করবে কিভাবে আর নিজের পরিবারের অন্যান্য সদস্য গুলোর জন্য সেভিং করবে কিভাবে। এমনও সময় আছে যখন এই ৫০০ টাকার বাজার করে বাসায় ফিরতেই কষ্ট হয়। যদি প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক থাকে সাধারণ মানুষের জীবন পরিচালনায় কোন বাধা থাকে না যারা দিনমজুর তারা প্রতিদিন যদি ৫০০ টাকা মজুরি পায় তার থেকে কিছুটা হলেও সেভিং করতে পারে যেটা তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগে। দেখুন যারা দিনমজুর মানুষ ৫০০ টাকার বিনিময়ে সারাদিন কাজ করে তারা যদি ৫০০ টাকা দিয়েই বাজার করে কোন মত খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে তাহলে যদি অসুস্থ হয় তখন চিকিৎসার টাকা কিভাবে বহন করবে??
যারা মধ্যবিত্ত এবং ভালো পরিবারে জন্মগ্রহণ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে তাদের ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তবে যারা দিনমজুর দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েছে তারা দ্রব্যমূল্যের এমন হঠাৎ উর্ধ্বগতি কতটা স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব ফেলবে সেটা বুঝতে পারবে। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে চাইছি যেন হঠাৎ দ্রব্যমূল্যের এমন উর্ধ্বগতি হওয়ার যে বিষয়টা যেন দ্রুত সমাধান হয় আর যারা স্বাভাবিক দিনমজুর মানুষ তারা যেন দিনশেষে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা সারাদিন যে পরিশ্রম করে টাকা পায় তা দিয়ে বাজার করতেই পুরো টাকা শেষ হয়ে যায় মনে আর স্বস্তি থাকে না।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চাউল, তেল, আটা সবকিছুর দাম দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সংসার চালানোটা কঠিন হয়ে যাবে। আর সবাইকেই হিমশিম খেতে হবে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা আরো বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছে ভাইয়া।
আসলেই সবারই সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে কারণ দ্রব্যমূলের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
আর বলবেন না ভাইয়া প্রতিনিয়ত যেন প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে এরকম দাম দিয়ে কিনে খাওয়া যেন কঠিন হয়ে পড়ছে। মানুষ কি যে করবে কিছুই বুঝতে পারছি না। অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে সবার দিন কাটছে। এত দাম বাড়ার কারণে সত্যি মানুষকে অনেক বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
হ্যাঁ যত দিন যাচ্ছে মানুষের জীবন যাপন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অনেক দাম। আসলে বাজারে গেলে টাকা হিসাব মেলানো যায় না। দ্রব্য মূল্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে। বাস্তব ভাই, দিন দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ।
হ্যাঁ একটা প্রোডাক্ট আজকে যে দামে কিনতে পারছেন পরবর্তী দিনে আর সেই দামে কিনতে পারছেন না।
আসলেই ভাই দ্রব্যমূল্যের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ৩/৪ মাস আগেও ৩০টা ডিম কিনতাম ৩৭০ টাকা দিয়ে, কিন্তু এখন ৩০ টা ডিম কিনতে হয় ৪৩০ টাকা দিয়ে। তাছাড়া প্রায় সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। দেশটা যে কোনদিকে যাচ্ছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু ডিম নয় ভাই বর্তমানে সবজির বাজারে কি অস্থিরতা একটু চিন্তা করে দেখুন।
সবজির বাজারে তো আগুন। আমি তো সপ্তাহে একদিন সবজি কিনতে বাজারে যাই। ৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। তাছাড়া কাঁচামরিচ ৬০০ টাকা কেজি, শিম ৩২০ টাকা কেজি, টমেটো ২২০ টাকা কেজি। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।