স্বপ্নদীপ রিসোর্ট। (পর্ব-০২) || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগlast month (edited)

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২০শে আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎ-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000092885.png

Canva দিয়ে তৈরি



কয়েক দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে আবহাওয়া একদম খ্যাতসেতে অবস্থা। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকে, মোটামুটি মাঝে মাঝে বৃষ্টি আবার রোদ যদি এমন আবহাওয়া হয় সেক্ষেত্রে ভালো লাগে তবে একটানা বৃষ্টি আর অন্ধকার আবহাওয়া একদমই ভালো লাগেনা। তাছাড়া বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে ব্যাপক বন্যা হয়েছে এমন বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার কাছে সবাই প্রার্থনা করুন যেন অবস্থার উন্নতি হয়। যাই হোক এখন মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। গত সপ্তাহে স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট নিয়ে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আর সেই ধারাবাহিকতায় আজকে স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। মূলত বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে রিসোর্টে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বিস্তারিত সবকিছু প্রথম পর্বে শেয়ার করা হয়েছিল। রিসোর্টের মধ্যে প্রবেশ করার পর আমরা বাইক পার্কিংয়ে রেখে সেখানে ছোট্ট একটা দোকান ছিল সেই দোকানে গিয়ে কিছু ঠান্ডা পানি পান করার সিদ্ধান্ত নিলাম।



20240921_105421.jpg

20240921_105511.jpg

20240921_105528.jpg

20240921_110231.jpg

20240921_110236.jpg

20240921_110241.jpg

20240921_110254.jpg

20240921_110256.jpg



যেহেতু আমার মামাতো ভাই আর মামাতো বোন দুজন মিলে আমাকে জোর করে নিয়ে গিয়েছে তাই আমাকে আর কোন বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়নি এটা একটা সুবিধা হয়েছিল হা হা হা। মজার বিষয় বাসা থেকে বের হওয়ার পর কুষ্টিয়ায় এসে যখন বাইকে তেল নিলাম তখন সেই টাকাটাও মামাতো ভাই দিয়েছিল। আমি শুধু তাদের সাথে এসেছি আর মুহূর্তটা উপভোগ করেছি। বলা চলে পুরোপুরি লাভ প্রজেক্ট হি হি হি। যাই হোক দোকানে যাওয়ার পরে আমরা সবাই একটা করে ঠান্ডা লাচ্চি নিলাম। বাসা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এর অধিক পথ বাইক ড্রাইভ করেছি আর যে পরিসরে রোদের তাপ ছিল তাতে সবার ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাবার প্রচন্ড চাহিদা ছিল তাই সেই দোকানে গিয়ে সবাই একটি করে লাচ্চি খেলাম। মোটামুটি খাওয়ার পরে কিছুটা ভালো লাগছিল ভেতরটা মনে হচ্ছিল ঠান্ডা হয়ে গেল তারপর সেখানে বড় একটি গাছের নিচে চেয়ার বিছানো ছিল কিছু সময় বসলাম। যদি উপরের ছবিগুলো ভালোভাবে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন গাছের নিচে গোল আকারের চেয়ার রেখে দেওয়া হয়েছে যারা বাইরে থেকে পর্যটক এখানে ঘুরতে আসবে তারা এই দোকানের খাবারগুলো অর্ডার করে সেই চেয়ারে বসে খাবার গুলো খেতে পারবে এবং সবাই মিলে একসাথে বসে গল্প করতে পারবে।



20240921_110259.jpg

20240921_110312.jpg

20240921_110320.jpg

20240921_110325.jpg

20240921_110335.jpg

20240921_110341.jpg

20240921_110349.jpg

20240921_123134.jpg



আমরা রিসোর্টে প্রবেশ করার সময় রেস্টুরেন্টের প্যাকেজসহ নিয়েছিলাম তাই দুপুরের পরে রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্যাকেজ অনুসারে খাবারগুলো গ্রহণ করার ইচ্ছা ছিল তাই সেখানে বসে গল্প করে নিজেদের মধ্যে কথা শেষ করে ভাবলাম এবার ধীরে ধীরে মূল ভবনের দিকে যাওয়া যাক। সেখানে পাঁচ তলা বিশিষ্ট একটা মূল ভবন রয়েছে যেখানে বাইরে থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। এমনকি তার পাশেই বড় একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সুইমিংপুলে গোসল করতে গেলে আবার প্রতি ঘন্টা ১০০ টাকা করে টিকিট নিতে হয় যেহেতু আমাদের কাছে বাড়তি কোন কাপড় ছিল না তাই আমরা আর সুইমিং পুলের দিকে যায়নি বা সুইমিং পুলের জন্য ১০০ টাকার টিকিট নিই নি। মূল ফটক থেকে ডানদিকে গেলে পাঁচতলা ভবন সামনে আসবে আর আমরা সেই ভবনের নিচ তলায় গিয়ে বসলাম তবে সেখানকার ফ্যাসিলিটিস টা অনেক বেশি ভালো ছিল বাইরে বড় দুইটা ফ্যান রাখা হয়েছে যেন পর্যটকদের কোন সমস্যা না হয় আর সবচেয়ে মজার যে বিষয়টা সেটা ছোট ছোট টেবিলের পাশে দিয়ে চেয়ার রাখা হয়েছে আর তার পাশেই একটি লাইব্রেরি রাখা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশী এবং রাশিয়ান সব বই পাওয়া যায় যেহেতু প্রতিনিয়ত রাশিয়ান লোকজন আসা যাওয়া করে। বাংলাদেশের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রজেক্ট নিয়ে রাশিয়ান লোকেরা কাজ করছে যার কারণে তারা প্রতিনিয়ত এখানে আসা-যাওয়া করে।



20240921_123153.jpg

20240921_123201.jpg

20240921_123215.jpg

20240921_124141.jpg

20240921_124146.jpg

20240921_124259.jpg

20240921_124710.jpg



আমরা সেখানে বসে অনেকটা সময় কাটালাম এবং রিসোর্টে ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকেরা সেখানে বসে ছিল মজার বিষয় আমাদের পাশেই কয়েকজন রাশিয়ান বসেছিল। যে ভবনের নিচ তলায় আমরা বসে ছিলাম তার বিপরীত পাশে কিছু জায়গায় কয়েকটি বন্যপ্রাণী রাখা হয়েছিল বানর, ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি জাতের পাখিসহ বেশ কয়েকটি বন্য প্রজাতির প্রাণী ছিল তবে রোদের তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে সে দিকে সামনে যাওয়ার মত আর ইচ্ছে তৈরি হয়নি তাছাড়া পর্যায়ক্রমে দুপুর হয়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষুধা পেয়েছিল তাই আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো অর্ডার করেছিলাম সেগুলো গ্রহণ করব। পরবর্তীতে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেছিলাম যদিও রেস্টুরেন্টের প্রবেশ করা নিয়ে বিস্তারিত সবকিছু আরেকটি পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সেখানে এসির মধ্যে অনেক সময় বসে ছিলাম কারণ বাইরে আবহাওয়া টা অনেক গরম ছিল এসির মধ্যে বসে বসে সেখানে গল্প করতে বেশ ভালোই মজা লাগছিল দীর্ঘ সময় সেখানে কাটিয়েছিলাম। শুধু সময় কাটানো নয় সময় কাটানোর পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে ছবি তোলা একে অপরকে ছবি তুলে দেওয়া এরকম পর্যায়ক্রমে কখন যে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার হয়ে গিয়েছে আমরা বুঝতে পারিনি।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়অক্টোবর,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

অনেক সুন্দর একটি রিসোর্ট ভ্রমণ করেছেন আপনি। দেখে যেন মনে হচ্ছে স্বপ্নময় একটি স্থান। এত সুন্দরভাবে সাজানো রিসোর্টটা দেখে মন ভরে গেল। বেশি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বর্ণনার সাথে। সব মিলে বেশি ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ভ্রমন পোস্ট।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.18
JST 0.032
BTC 88358.62
ETH 3275.22
USDT 1.00
SBD 3.02