খুব সহজে বানিয়ে মধ্যাহ্নভোজে খেয়ে নিন সাহী চিংড়ি। রেসিপি পোস্ট।
শাহী চিংড়ির রেসিপি
আজ আপনাদের সামনে আমার একটি প্রিয় রেসিপি নিয়ে এলাম। রেসিপিটি হল শাহী চিংড়ি। বাজার থেকে চিংড়ি মাছ কিনে আনবার পর ঠিক করেছিলাম এবার শাহী চিংড়ি খাব। তাই ইচ্ছামত বানিয়ে ফেললাম প্রিয় এই পদটি৷ এটি প্রস্তুতকরণে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। পদ্ধতিটিও অপেক্ষাকৃত সহজ। এখন ধাপে ধাপে চেষ্টা করব সাহী চিংড়ি পদটি রান্নার পদ্ধতিগুলি আপনাদের সামনে তুলে আনতে।
আসুন প্রথমেই দেখেনি সম্পূর্ণ প্রস্তুতকরণের পরে শাহী চিংড়ি দেখতে কেমন হয়েছিল
বাগদা চিঙড়ি - ৭৫০ গ্রাম |
---|
আদা বাটা - ২ ইঞ্চি আদা |
লঙ্কা বাটা - ৭-৮ টি |
পেঁয়াজ বাটা - ৩ টি |
পোস্ট বাটা - ১ চামচ |
চার মগজ - ১ চামচ |
কাজু বাটা - ১০-১২ টি |
দই - ১০০ |
নুন - পরিমাণমতো |
গরম মশলা - পরিমাণমতো |
তেজপাতা - ২ টি |
সরষের তেল - ৪-৫ চামচ |
চিংড়ি মাছটিকে একটু নুন হলুদ মাখিয়ে অল্প জলের সেদ্ধ করা হলো। জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করে নিতে হবে। তার সাথে পেঁয়াজটিও সেদ্ধ করা হলো।
জল শুকিয়ে গেলে সেই কড়াইতেই উপরে একটু তেল দিয়ে মাছটি এক থেকে দেড় মিনিট ভেজে নিতে হবে।
এরপর কড়াইতে অল্প তেল দেওয়া হল। সেখানে তেজপাতা গোটা গরম মসলা দিয়ে একসাথে ভাজা হল। তাতে পরিমাণ মতো আদা বাটা ও লঙ্কা বাটা দিয়ে এবং রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
তারপর কড়াইতে চারমগজ কাজু বাটা এবং পোস্ত বাটা দিয়ে আবার নাড়িয়ে নেওয়া হল। এতে পরিমাণ মতো নুন দেওয়া হলো।
এরপর দুইটি জল দিয়ে ফেটিয়ে কড়াইতে ঢেলে দেওয়া হল।
এরপর কড়াইতে সেই মিশ্রণ ভাজা চিংড়ি মাছগুলি দিয়ে চাপা দিয়ে ফোটাতে হবে।
এরপর ফুটতে ফুটতে একটু ঘন হলে নামিয়ে সারভিং বোলে ঢালতে হবে।
প্রস্তুত হয়ে গেল শাহী চিংড়ি। প্রস্তুতকরনের পরে দেখুন কেমন সুন্দর দেখতে হয়েছে পদটি।
সম্পূর্ণ হওয়ার পর
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
X-Promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আরিব্বাস! মেয়ের জন্মদিনে বানিয়েছিলে না? কই সে কথা বললে না তো৷ দারুণ হয়েছে৷ বাগদার স্বাদ তো এমনিই দারুণ আর এভাবে রান্না করলে আরই ভালো লাগে খেতে৷ যদিও আমার অ্যালার্জি। তাই দেখেই খিদে মেটাই৷
হ্যাঁ জন্মদিনের দিন সকালে বানিয়েছিলাম। আসলে ও এই চিংড়িটা খেতে খুব ভালোবাসে। তাহলে সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে বলছিস?
শাহী চিংড়ি রেসিপি নামটাই কেমন যেন লোভনীয় লাগছে। চিংড়ি মাছ গুলো তেলেভাজি করার পর দেখে আরো বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে। ভিন্ন ধরনের মজাদার এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় তার প্রতিটা ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বানিয়ে একদিন খেয়ে নিন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর ভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবার জন্য।
লোভনীয়। জিভে জল আসার মতো একটি রেসিপি।রেসিপিটি দেখেই তো খেতে মন চাইছে।অনেক সুস্বাদু তা রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
ধন্যবাদ বোন এমন সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকলে বলে। কাছাকাছি থাকলে ভাগ দিতাম।
মাছের মধ্যে দই এই ব্যাপার টা কখনোই প্রেফার করি না আমি। চিংড়ি আমার কিন্তু বেশ পছন্দের ভাই। শাহী চিংড়ির রেসিপি টা দারুণ করেছেন এককথায়। বিশেষ করে বলতে হয় রেসিপি টার কালার টা এসেছে বেশ। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল রেসিপি টা। উপস্থাপনা টাও বেশ করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
অনেক ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকলেন বলে। রেসিপিটি খেতে খুব লোভনীয় হয়েছিল।