ভোজনবিলাসের নতুন অভিজ্ঞতা - সুলতান ডাইনে খাওয়া দারুণ মুহূর্ত! 🍴
আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় সদস্যবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম/ আদাব৷ আশা করি আপনারা সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন, আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি @junaidahmed আপনাদের সাথে আজকে একটি ভোজনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। মানুষের জীবনে খাবার কেবল ক্ষুধা মেটানোতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আনন্দ ও স্মৃতির সঙ্গেও জড়িত। আর তেমনই একটি স্মৃতির অংশ হচ্ছে সুলতান ডাইন এ খেতে যাওয়া। আর ভোজনরসিকদের জন্য নিত্য নতুন খাবার খাওয়াও অনেক আনন্দের আর নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার।
আসলে শুরুতে সুলতান ডাইন'সে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিলো না। আমি আর অভ্র গিয়েছিলাম সাহেব বাজার শীতের জন্য টিশার্ট কিনতে। আমরা অনেকগুলো দোকান দেখলাম, কিন্তু আমি মনে মনে একটা কালার পছন্দ করে রাখছিলাম সেটা পাচ্ছিলাম না। ফুটপাতের দোকান শেষ করে আড়ং,ইজি,ইনফিনিটিতেও খোঁজলাম কিন্তু পেলাম না।
এরপর অভ্র বললো প্যান্ট কিনবে, সেজন্য আমরা আরেকটা দোকানে গেলাম। সেখান থেকে থেকে নেভিব্লুর মধ্যে একটা প্যান্ট কিনা হলো।
এরপর বাজার দেখতে দেখতে বেজে গেলো রাত আটটা, আমি অভ্রকে বললাম রাতে খাবি কোথায়? সে বললো আশেপাশে ভালো রেস্টুরেন্ট কোথায় আছে? আমি বললাম নিউমার্কেট কাচ্ছি ভাই আছে, ডালাস আছে ওমর প্লাজায় আছে। সে বললো কাছাকাছি কোনটা? আমি বললাম এখান থেকে হেটে যাওয়া যাবে এমন কাছে আছে মাইডাস, মাস্টারশেইফ আর সুলতান ডাইন'স। সে জিজ্ঞাস করলো খাবার ভালো কোনটাতে, আমি বললাম সুলতান ডাইন'সে, কারণ এখানের মাংসটা অনেক নরম দেয়। এর আগে একবার আসছিলাম গতবছরের সেপ্টেম্বরে যখন রাজশাহীতে প্রথম সুলতান ডাইন'স আসলো।
আমরা সুলতান ডাইন এর উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করলাম। এর মাঝেও কাপড়ের দোকান গুলো দেখে দেখে যাচ্ছিলাম যদি আমার পছন্দের কালারটির টিশার্ট পেয়ে যাই। দূর থেকে সুলতান ডাইন এর নাম দেখা যাচ্ছে, আমরা খুব তাড়াতাড়িই যেতে পারবো। আর অবশেষে পৌঁছে গেলাম।
রেস্টুরেন্টের নাম কাঠের মধ্যে খোদাই করা মনে হয় সুলতান ডাইনে প্রথম দেখলাম। পরিবেশটাও খুব চমৎকার সাজিয়েছে। উঠার সিড়ি থেকে শুরু করে গেইট পর্যন্ত বিভিন্ন আর্ট আর ক্যালিওগ্রাফি আছে, আছে খাবারের সুন্দর সুন্দর ছবি। পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে মৃদু এয়ারকুলার আর সাথে সফট সাউন্ড সিস্টেম, মনে হয় যেনো খাবার খাওয়ার পারফেক্ট পরিবেশ।
আমরা প্রথমে ঢুকে ওয়েটারকে বললাম দুজনের জন্য একটি জায়গা করে দিতে, এখানে এসে প্রথমে ওয়েটারকে বলে চেয়ার বুক দিতে হয়, কারণ মানুষের ভিড় বেশি কিন্তু সে তুলনায় চেয়ার কম। যাইহোক আমাদের জানালার ধারে দুটি চেয়ার দেওয়া হলো। এরপর আমি আর অভ্র মেনুকার্ড দেখছিলাম।
রেস্টুরেন্টে আসা সহজ কিন্তু মেনু ঠিক করা কঠিন!!! আমরা পাঁচ মিনিটের মতো দেখে ঠিক করলাম ওয়ান ইজ টু টু একটা কাচ্চি আর বুরহানি নিবো । ওয়েটারের কাছে ওর্ডার দিয়ে প্রথমে অভ্র পরে আমি গেলাম ফ্রেশ হয়ে আসতে। ফ্রেশ হয়ে এসে অভ্র বলতেছে মানুষ অনেক সৌখিন। আমি বললাম যেমন? সে বললো এমন অনেকেই আছে যারা জানেই না রেস্টুরেন্টেও খাওয়া যায় কিংবা বাইরে খাওয়ার চিন্তাও করতে পারে না। আমিও এটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম, এরই মধ্যে ওয়েটার খাবারের প্লেট নিয়ে আসায় চিন্তা থেকে বের হয়ে আসলাম।
অবশেষে খাওয়া শেষ করে পে স্লিপ পেমেন্ট করে বের হয়ে আসলাম। আবার হেটে হেটে জিরো পয়েন্ট এ আসলাম, এসে দেখি ভার্সিটির বাস আসছে, আমার সাথে কার্ড ছিলো, বাস দাড়ানোর জন্য হাত তুললাম। আর অবশেষে ভার্সিটির বাসে করে এসে পরলাম।
ভার্সিটির বাস। |
---|
আজকে আমার ভোজন অভিজ্ঞতাটি এখানেই শেষ করছি। সকলেই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আমার পুরোনাম জোনায়েদ আহমদ । স্টিমিট আইডি @junaidahmed।
বাসা নেত্রকোনা সদর নেত্রকোনা । আমি অর্থনীতি বিভাগে অনার্স কমপ্লিট করেছি, বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছি। আমার প্রকৃতির ছবি তুলতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।বিভিন্ন বিষয়ে গল্প লিখতেও ভালো লাগে। হলের বারান্দায় আমার কিছু গাছ আছে এগুলোর সাথে মাঝে মাঝে সময় কাটাই। আমি স্টিমিটে জয়েন করি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আমার এই স্বল্প সময়ে আমার বাংলা ব্লগে ক্যারিয়ার শুরু করতে পেরে খুবই আনন্দিত অনুভব করছি। আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter promotion
https://x.com/Junaid_2208/status/1869944677799223438
Task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাচ্চি ডাইন এ যদিও বা বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম কিন্তু সুলতান ডাইনে কখনো যাওয়া হয়নি তবে খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে মোটামুটি ভালই খাওয়ার পাওয়া যায় সুলতান ডাইনে ও। যাইহোক আপনার বন্ধু অভ্র সহ সুলতান ডাইনে আহার করার চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুলতান ডাইনের কাচ্চি আমি কখনো ট্রাই করিনি। তবে শুনেছি ওদের কাচ্চিটাও নাকি ভীষণ সুস্বাদু। আমাদের এদিকে নতুন করে আউটলেট ওপেন হচ্ছে। একদিন সেখানে যাওয়ার ট্রাই করবো। আপনি আপনার খাওয়া দাওয়ার খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।