বালাচাও তৈরির রিসিপি (১০% লাজুক শেয়াল এবং ৫% এবিবি স্কুলের জন্য)
আসসালামুয়ালাইকুম,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী কেমন আছেন সবাই?
আজকে দারুণ এক রিসিপি নিয়ে আসলাম। আজকের রিসিপি বালাচাও নিয়ে। বালাচাও শব্দটা হয়ত আজকেই প্রথম শুনেছেন।
বালাচাও মূলত শুটকির ভর্তা। যেটা এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে বয়ামে রেখে ৩-৪ মাস খাওয়া যায়। এটা কক্সবাজার, চট্টগ্রামের দিকে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। বার্মা থেকে এটি আমাদের দেশে এসেছে।
চলুন তাহলে শুরু করি।
ক্রমিক নং | উপকরণ |
---|---|
১ | ছুরি শুটকি |
২ | পেয়াজ কুচি |
৩ | রসুন কুচি |
৪ | সয়াবিন তেল |
৫ | গুড়াঁ মরিচ |
৬ | লবণ |
৭ | বিশেষ মসলা |
ছুরি শুটকি ছাড়াও অন্য শুটকি দিয়েও এটা করা যায়। মূলত চিংড়ি শুটকি দিয়ে এটা তৈরি করা হয়ে থাকে।
![]() | ![]() |
---|
প্রথম পেয়াজ ভালভাবে ধুয়ে কুচি কুচি করে খেটে নিতে হবে।
এবার পেয়াজ কুচি গুলোকে একটি পাত্র নিয়ে বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত মধ্য আচে ভাজতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে পেয়াজ কুচি পুড়ে না যায়। পেয়াজ গুলো এমনভাবে ভাজা লাগবে যাতে মচমচে হয়।
![]() |
---|
এবার ঠিক একই ভাবে রসুন গুলোকে ও ভেজে নিতে হবে।
![]() |
---|
ছুরি শুটকি গুলো আগে থেকে ভাল করে রৌদে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার চুরি বা দা দিয়ে ছোট ছোট পিস করে নিতে হবে এবং সেগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে টালাতে হবে অল্প আচে যতক্ষন না মচমচে না হয়। মচমচে হয়ে যাওয়ার পর তেল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। পেয়াজ, রসুন, শুটকি ভাজা হয়ে যাবার পর ভালভাবে তেল ছাড়িয়ে নিতে হবে।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
এবার লবন, গুড়াঁ মরিচ, বিশেষ মসলা, ভাজা পেয়াজ, রসুন, শুটকি মিক্সড করতে হবে।
লবন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথা রাখা লাগবে। শুটকিতে আগে থেকে লবন দেওয়া আছে কিনা দেখে নিতে হবে। আগে থেকে লবন দেওয়া থাকলে নতুন করে লবন ব্যবহার করার দরকার নাই।
![]() |
---|
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল বালাচাও।
![]() |
---|
এবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য একটি বয়ামে নিয়ে ফ্রীজে রেখে দিন।
গরম ভাত, পানি ভাত অথবা চাইলে এমনই চানাচুরের মত যেকোনো সময় খাওয়া যায়।
তবে ভিন্ন রকমের টেস্টের চাইলে টেমেটো ব্যবহার করা যায়।
![]() |
---|
এবারে বয়ামে প্রায় ৩-৪ মাস সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
কেমন হল রিসিপিটা কমেন্ট করে জানাবেন।
আমি যদিও বা কখনো মাছ খাই না কিন্তু আমার শুটকি ভালো লাগে ,আর আমি কখনো বালাচাও নাম শুনি নি ।যাক আজ একটা নতুন নাম শিখলাম ।আপনার পুরো প্রসেস টা আমার ভালো লেগেছে । যাই হোক এটা ভেবে ভালই লাগচে ভর্তা ৪ /৫ মাস রাখা যাই শুভ কামনা রইলো ভাই।
রান্না করা মাছের চাইতে শুটকিতে পুষ্টি গুন অনেক বেশি। নিয়মিত শুটকি খাবেন।
বালাচাও তৈরির রিসিপি দারুন হয়েছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম ।এমন রেসিপি কখনো দেখি নাই। আপনার মাধ্যমে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি আরও সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার দেবেন।
বেশ ইউনিক ছিলো এই রেসিপি টি। আমি শুটকি কে এভাবে রোদে শুকিয়ে মাখিশে খাইনি। তবে এমনি ভেজে পেঁয়াজ কুঁচির সাথে খেয়েছি। যাক নতুন একটি পদ্ধতি আজ শিখলাম।
ভালো লাগলো আমার। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
এভাবে একবার খেয়ে দেখবেন। আমাদের এখানে ভালই জনপ্রিয় এটা।
শুটকির ভর্তা আর প্রথম একটা নতুন নাম শুনলাম। বেশ ভালো ছিল তৈরীর প্রক্রিয়া গুলো। এবং সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে যে এগুলো সংরক্ষণ করে রাখা যায় হাহা।
সত্যি বলতে কি আপনার বালাচাও রেসিপিটি খাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার আজ প্রথম এই প্রথম এই রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম। তবে আপনি খুব সুন্দর করে বালাচাও রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও বালাচাও রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন কিন্তু আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। বালাচাও রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি।আসলে খেতে অনেক টেস্ট। আমরা নিয়মিত তৈরি করি।
বালাচাও তৈরির রিসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই রেসিপি কখনো আমার খাওয়া হয়নি। একদম ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। শুঁটকি মাছ যে এভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায় তা আজকে প্রথম দেখলাম। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি পুরো পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাসায় ট্রাই করে দেখুন। খেতে অনেক টেস্ট।
আপনি তো দেখছি অনেক গুলো বালাচাও তৈরি করেছেন ।বেশ কিছুদিন ধরে আমিও ভাবছিলাম আমি কিছু তৈরি করব কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না ।এভাবে চিংড়িগুলো গুরা না করে আস্ত রাখলেও ভালো লাগে ।অনেক দিন যাবত বয়ামে রেখে খাওয়া যায় ।আসলেই অনেক ভালো একটি খাবার আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন।
এটা ছুরি শুটকি দিয়ে করা। চিংড়ির টা না। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দোয়া করবেন আর সাথে থাকবেন।
এক কথায় অসাধারণ ভাই। আপনার বালাচাও এর রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও এই রেসিপির নাম আমি আজকে প্রথম শুনলাম। তবে আপনার উপস্থাপনা খুবই ভালো ছিল। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।এরকম সুন্দর একটি নতুন ধরনের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বালাচাও রেসিপি, এটা আবার কি? আপনার বালাচাও রেসিপি দেখে তো পুরাই অবাক। কেননা একদম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যিই ভাইয়া আজকেই প্রথম নাম শুনলাম। শুটকি মাছের ভর্তা তাও আবার তিন-চারমাস বয়ামে রেখে খাওয়া যায়। এই কথা ভাবতেই নিজের কাছে খুবই অবাক লাগছে। আমার বাংলা ব্লগে এসে সকলের এত নিত্য নতুন আইটেম দেখে মাঝে মাঝে ফিদা হয়ে যাই। যাইহোক ভাইয়া আপনার অসাধারণ ইউনিক ও সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই আমার বাংলা ব্লগ আমাদের সবাইকে অনেক অজানা কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে।