এগুলো কি ধরনের প্রশ্ন...।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে সমাজের কিছু মানুষের কুৎসিত মন-মানুষিকতা নিয়ে আলোচনা করবো। সামাজের কিছু মানুষের প্রশ্ন শুনলে রাগে শরীরাটা ফেটে যায়। মাটির দিকে তাকিয়ে রাগকে সংবরণ করতে হয়। বিষয়টা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
আমি কলেজে পড়ার সময় এক বাড়িতে জায়গীর বা লজিং মাষ্টার থেকে পড়াশোনা করতাম। লজিং বাড়িতে শুধু খাবার খেতাম আর রাতে কলেজের হোস্টেলে থাকতাম। প্রতিদিন সকাল আটটার সময় গোসল সেরে নাস্তা করার জন্য লজিং বাড়িতে যেতাম। খেয়ে আসার সময় প্রতিদিন একজন স্কুল টিচার ম্যাডামকে স্কুলে যেতে দেখতাম। উনার বয়সটা আনুমানিক ২৫/২৬ হবে। আমি উনার সাথে কোনদিন কথা বলিনি। উনি স্কুলে যেতেন আর আমি আসতাম। মানে আমাদের দুইজনের মাঝে ক্রসিং হতো। ম্যাডম চলে যাওয়ার পরে আমি আসার পথে রাস্তার দুই পাশে, চায়ের দোকানে,ব্রিজের উপরে বসে থাকা কিছু মানুষ ম্যাডামকে নিয়ে সমালোচনা করতে শুনতাম। ম্যাডামের এখনো বিয়ে হয়নি কেন...? তিনি কেন বিয়ে করেন না...? কোন সমস্যা আছে না কি...? নাকি কারো সাথে কোন সম্পর্ক আছে..ইত্যাদি নানা রকম প্রশ্ন। এমন প্রশ্নও তুলতো যা এখানে লিখতে পারলাম না।
২০১৪ সালের কথা এখন মনে হওয়ার কারন। আমি যে বাসায় ভাড়া থাকি সেই বাসায় পাশের ফ্লাটে একজন ম্যাডাম থাকেন।তিনি আবার আমাদর বাড়িওলার মেয়ে। তিনি অনার্স কম্পিলিট করে মাস্টার্সে পড়ছেন। বিয়ে হয়েছে সাত বছর হয়েছে। কোন বাচ্ছা নেই,হাসবেন্ড ইতালি থাকে। স্বামী বিদেশ হাকলে সেফটির জন্য সাধারনত মেয়েরা বাবার বাড়িতেই থাকে,এটা কোন খারাপ কিছু না,পজেটিভ বিষয়। ম্যাডামের হাসবেন্ড তাকে কোন চাকরি করতে দিবে না। তাই সময় কাটানোর জন্য নিজের চাঁচার বাড়িতে নিজের উদ্যোগে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল গড়ে তুলেছেন। সেখানেই সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বাচ্ছাদের সাথে সময় দেন। সেখানে কিছু ছেলে মেয়েকে টিচার হিসাবেও নিয়োগ দিয়েছে। খুবই সুন্দর উদ্যোগ,প্রশংসনীয় কাজ।
যতই ভালো কাজ,প্রশংসনীয় কাজ,মহৎ উদ্যোগ হোক না কেন এলাকার কিছু মানুষের চোখে সেটা ভালো লাগে না। গত রাতে শুনতে পায় ম্যাডামের বাবা নাকি ম্যাডামকে স্কুলটি বন্ধ করে দিতে বলতেছে। কারন এলাকার মানুষ সেটা ভালে নজরে দেখছে না। ম্যাডামের কেন বাচ্ছা হয় না,হাসবেন্ড কেন বিদেশ থেকে আসে না। টাকা পয়সার কোন অভাব না কি ...। স্বামীর বাড়িতে যায় না কেন...সংসারে অশান্তি না কি.... শ্বশুর শ্বাশুড়ির সাথে বনিবনা হয় না নাকি.. এমন হাজারো প্রশ্ন তুলছে। আচ্ছা বলেন তো এগুলো কি ধরনের প্রশ্ন। এসব মানুষের মন-মানুষিকতা কত কালো,কত কুৎসিত,কতটা নিচু মনের মানুষ তারা।
আবার কিছু ছেলে মেয়ে চাকরি করুক বা না করুক একটু দেরিতে বিয়ে করলেও এসব প্রশ্নে সম্মখিন হতে হয়। এই ঘটনা গুলো ভিন্ন ধরনের হলেও প্রশ্ন গুলো কিন্তুু একরকম। এমনও তো হতে পারে যে,বাবা-মায়ের সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বা ভাই-বোনদের মানুষের মত মানুষ করতে গিয়ে অথবা মনের মত মানুষকে খুঁজে পায়নি বলে একটি ছেলে বা একটি মেয়ে বিয়ে করতে দেরি হয়। আর্থিক বা মানুষিক কত ধরনের সমস্যাই তো মানুষের থাকতে পারে। আর বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রবাসে থাকে। সবাই কি সঠিক সময়ে আসতে পারে...। আর একটি বিষয় শুনেছি ইউরোপ কান্ট্রিতে গেলে প্রথম প্রথম খুব তারাতারি আসতে পারে না। আর মেয়ে গুলো তো অন্যায় কিছু করছে না। ছোট ছোট বাচ্ছাদের পড়াচ্ছে,তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। এগুলো মানুষ কেন পজিটিভলি নেয় না,সেটাই আমি বুঝি না।
মানুষের ভিতরে যখন বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ববোধও থাকে না তখন এসব চিন্তা করে। তারা মানুষের কাতারেই পড়ে না। তাদের থেকে পশু অনেক গুণে ভালো। তারা মানুষের বিষয়ে নাক গলায় না। আমার মাঝে মাঝে মন চাই তাদের চোখ গুলো অন্ধ করে দেয়, তাদের কান গুলো নষ্ট করে দেয়। নাকটা কেটে দেয়। যেন কারো কোন বিষয় শুনতে না পারে,কারো পার্সোনাল বিষয়ে নাক গলাতে না পারে। কখন যে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ ফিরে আসবে,এক মাত্র আল্লাই জানে। সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
প্রথমত এসব প্রশ্ন নিসন্দেহে অশোভনীয় প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলো কাউকে করা বা এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা মোটেও উচিত না, ব্যাপারগুলো মানুষের খুবই ব্যক্তিগত বিষয়। এইটুকু কমনসেন্সের বড়ই অভাব আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোর। আর সবসময় এসব কথাগুলো মেয়েদেরই শুনতে হয়, এটিও খুবই বেদনাদায়ক। নারীরা এই সমাজে সম্মান তো পায়ই না, উলটো কিছু না করেও অপমানজনক কথাবার্তা শুনতে হয়
আপু কিছু কিছু প্রশ্ন শুধু মেয়েরা নয় ছেলেরাও সম্মুখীন হয়। সমাজের কিছু মানুষকে মন চায়,ধরে ধরে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে ফেলে দিতে।
আসলে সমাজের অনেক মেয়েরাই এমন বাজে কথার স্বিকার হয়ে থাকে কোন ভালো উদ্যোগ নিলে কিছু মানুষের তা সহ্য হয় না।সমাজের কিছু মানুষের কাজেই মানুষকে নিয়ে সমালোচনা করা আর এই সমালোচনার ভয়ে অনেকেই নিজেকে গুটিয়ে নেয়।খুব খারাপ লাগছে আপনার বাড়িওলার মেয়ের ঘটনাটি পড়ে।শুধু মাত্র কিছু মানুষের আজেবাজে কথা সহ্য করতে না পেরে এতো সুন্দর একটা উদ্যেগ বন্ধ করতে বলছে তার বাবা।খুব দুঃখজনক ঘটনা।
জি আপু বাড়িওলার মেয়ে কত সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছে, অথচ সেটা এলাকার কিছু মানুষের ভালো লাগলো না। ধন্যবাদ আপু।
প্রতিনিয়ত আপনার পোস্টগুলি পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে, অনেক কিছু জানতে পারি। এখন লজিং মাস্টার কমই দেখা যায়।শহর অঞ্চলের দিকে একটু বেশি দেখা যায়। মানুষের এটাই সমস্যা ভাইয়া, আমরা সবসময় অন্যকে দিয়ে সমালোচনা করি। ম্যাডাম বিয়ে করে নাই, ম্যাডামের সেটা ব্যক্তিগত বিষয় এটা আমাদের নাক গলানোর কি আছে? মানুষের মন মানসিকতা অনেক কুৎসিত।উনি বেশ ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজের বাড়িতে একটা কিন্ডারগার্ডেন স্কুল খুলেছেন এবং সময় কাটান।আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন? এলাকার মানুষ সেটা ভালো চোখে দেখতে পারে না, এটা এলাকার মানুষের দোষ। খারাপ করলেও সমালোচনা, ভালো করলেও সমালোচনা তাহলে আমরা করবোটা কি? এগুলো যারা অমানুষ তারা এরকম প্রশ্ন করবে। যারা নিচু মনের মানুষ। খুবই খারাপ লাগলো একটা মানুষকে এভাবে প্রশ্ন তোলার কারণে। আমার ব্যক্তিগত বিষয় আমি কবে বিয়ে করব, বিয়ে করব না সেটা কি সমাজ ঠিক করে দেবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটার বেশি সম্মুখীন হতে হয় যে, একটু দেরিতে বিয়ে করলেও এরকম প্রশ্ন শুনতে হয়। এখনো পরিবার আছে যে বড় ভাই বিয়ে করে না, ছোট ভাইদের মানুষের মত মানুষ করার জন্য কিন্তু মানুষ এটা বুঝতেই পারে না। আমি এসব মানুষ থেকে দূরে থাকি ভাইয়া, মানুষের মধ্যে যেত অনেক ভয় লাগে। আমার কাছে এক সময় মনে হয়েছিল যে মানুষ এক হিংস্র প্রাণী।
জি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন, যাদের মন মানসিকতা কুৎসিত, ছোট, হিংসুটে তারাই এসব প্রশ্ন করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে সমাজে এই ধরনের লোক থাকবেই পাছে লোকে কিছু বলে তাদেরই এই ধরনের কথা বলার স্বভাব । নিজেরা কিছু করতে পারেনা বলেই একজনকে নিয়ে সমালোচনা করে কখনো ভাবে না আমি নিজে কতটুকু যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি। জীবনে কতটুকু অর্জন করলাম এই ধরনের মন মানসিকতা যদি তাদের মধ্যে থাকতো তাহলে এই ধরনের প্রশ্ন করত না। সেজন্য যারা এই ধরনের মন্তব্য খারাপ কথাবার্তা ছড়ায় তাদের দ্বারা কোন কিছু সম্ভব না।
জি ভাই ঠিক বলেছেন, নিজের যোগ্যতার দিকে তাকায় না। অন্যরা কি করলো সেদিকে তার মাথাব্যথা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমাদের সমাজের মানুষরা সবসময় আবোল তাবোল প্রশ্ন করার জন্য সেরা। ম্যাডাম কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষাদান করছে সেটা তো অনেক মহৎ একটি কাজ। আমাদের সমাজের অগ্রগতি কিভাবে হবে যদি মানুষ সঠিক শিক্ষায় না পায়! চারপাশের মানুষের বাজে কথার কারণে স্কুল বন্ধ করাটা জানিনা কতটুকু যৌক্তিক হবে। তবে চারপাশের মানুষের কথায় আমরা যদি সব সময় কান দিই তাহলে আমাদের জীবনটা মনে হয় বিষাদে ভরে যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই চিন্তা করে দেখেন,আমাদের সমাজ কি চিন্তা ভাবনা করে। এই মেয়ের হাসবেন্ড বিদেশে থাকে বিদায় সে একটি কিন্ডার গার্ডেনও চালাতে পারবে না।
যারা এ ধরনের প্রশ্ন করে তারা নিজেরাই বুঝে না যে অপর পাশের মানুষটি কতটুকু বিব্রত বোধ করে। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে আমাদের সমাজের একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরে বাবা কে কি করে বা কার বিয়ে হল বা না হলো তবে তোমাদের কি যায় আসে? তোমরা কি তাদেরকে ভাত খাও? তাদের কোন খোঁজ খবর রাখ? তাহলে এত কেন প্রশ্ন?
যে আপু আপনি ঠিক বলেছেন।যাদের কমনসেন্স নাই তারাই এসব প্রশ্ন করে থাকে।